• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ক্যাডারদের ২৩ নামের ভুল সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন
৪১তম বিসিএসে গত ২১ মার্চ দুই হাজার ৪৫৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ২৩টি নামের বানান ভুলভাবে প্রকাশিত হয় তাতে।  শেষ পর্যন্ত এটিকে মুদ্রণজনিত ভুল দাবি করে এবার ওইসব বানান সংশোধন করলো মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নামের এই বানান সংশোধন করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে জানানো হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখার ২১ মার্চের প্রজ্ঞাপনে ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের প্রকাশিত নিয়োগ প্রজ্ঞাপনে মুদ্রণজনিত ভুলের কারণে ২৩ জন কর্মকর্তার নামের বানান ও রেজি. নম্বরে ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। ওইসব বানান ও রেজি. নম্বর সংশোধন করা হয়েছে।  উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে চার লাখের বেশি প্রার্থী আবেদন করেন। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ২১ হাজার ৫৬ জন। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন তারা। ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর হয় মৌখিক পরীক্ষা। ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট ৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে পিএসসি। ৪১তম বিসিএসে দুই হাজার ৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। এরপর চলতি বছরের ২১ মার্চ দুই হাজার ৪৫৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালায়।  
১০ ঘণ্টা আগে

চার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রজ্ঞাপন 
টানা তাপপ্রবাহের কারণে ঘোষিত দীর্ঘায়িত ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)। চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চারটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে।  প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন থেকে সপ্তাহের ছয় দিন খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই হিসেবে শনিবারও খোলা থাকবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্যান্য কর্মদিবসের মতোই পুরোদমে ক্লাসও চলবে এ দিনে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। শনিবার শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার যুক্তিস্বরূপ এতে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার এ নির্দেশনা ছাড়াও প্রজ্ঞাপনের অন্য তিন নির্দেশনা হলো- ১. আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ২. তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। ৩. শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। প্রসঙ্গত, পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় আরও এক সপ্তাহ বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি জানান অভিভাবকদের একটি অংশ। কেউ কেউ অনলাইনে ক্লাস চালুর দাবিও তোলেন।তবে সার্বিক দিক বিবেচনায় ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস চালুর নির্দেশনা দিলো সরকার।  
১৩ ঘণ্টা আগে

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন 
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে বর্ধিত হারে মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। যা চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে কার্যকর হবে। এছাড়া আগের বকেয়া ভাতা নির্ধারিত হারে পাবেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। সোমবার (৮ এপ্রিল) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এতে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের বাজেট ১-শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব সুশীল কুমার পাল। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘উপরি-উক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ-সচিবালয় অংশে সাধারণ থোক বরাদ্দ খাতে বরাদ্দকৃত ৯৬ কোটি ২১ লাখ এক হাজার টাকার অব্যয়িত অর্থ হতে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় সর্বশেষ ইন্টার্ন চিকিৎসকের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ জন হিসাবে মাসিক ভাতা ৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে ২০ হাজার টাকায় উন্নীতকরণের ফলে অতিরিক্ত একত্রিশ কোটি আশি লক্ষ টাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুকূলে নিম্নবর্ণিত শর্তে নির্দেশক্রমে বরাদ্দ প্রদান করা হলো।’ শর্তাবলী হলো ১. এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ২. এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম উদ্ঘাটিত হলে সংশ্লিষ্ট বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন। ৩. এ অর্থ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা পরিশোধ ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যয় করা যাবে না। ৪. এ অর্থ চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সংশ্লিষ্ট খাতে প্রতিফলন করতে হবে। ৫. এ বিষয়ে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সকল আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালনপূর্বক সরকারি আদেশ (জি,ও) জারি করে ০৪ (চার) কপি পৃষ্ঠাংকনের জন্য অর্থ বিভাগে প্রেরণ করতে হবে। ৬. প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়ে ভাতা পরিশোধ করতে হবে। ৭. ২০২৪ সালের ০১ এপ্রিল থেকে এ বর্ধিত হার কার্যকর হবে এবং এ তারিখের পূর্বের বকেয়া ভাতা ইতোপূর্বে নির্ধারিত হারে প্রাপ্য হবেন।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৩

বাসভাড়া ৩ পয়সা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন
প্রতি কিলোমিটারে বাসভাড়া মাত্র ৩ পয়সা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) থেকে এটি কার্যকর হবে। সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার রুটে চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটার সর্বোচ্চ ভাড়া ২ টাকা ১৫ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ১২ পয়সা নির্ধারণ করা হলো। এ ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ২ টাকা ৪৫ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ৪২ পয়সা নির্ধারণ করা হলো। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া যথাক্রমে ১০ টাকা এবং ৮ টাকা আগের মতো বহাল থাকবে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী মিনিবাস এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) আওতাধীন জেলার (নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা জেলা) অভ্যন্তরে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাস উভয় ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ২ টাকা ৩৫ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণ করা হলো। ভাড়ার এই হার গ্যাস চালিত বাস বা মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। ভাড়ার হার প্রতিটি বাস ও মিনিবাসের দৃশ্যমান স্থানে আবশ্যিকভাবে টাঙিয়ে রাখতে হবে। এদিকে বাসভাড়া মাত্র ৩ পয়সা কমানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির দাবি, দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমলেও হিস্যা অনুযায়ী বাস ভাড়া কমানোর পরিবর্তে প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৩ পয়সা কমিয়ে দেশের যাত্রী সাধারণের সঙ্গে তামাশা করছে সরকার।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২৫

সার্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির
পেনশনের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি। সম্প্রতি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ড. বশির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের স্বার্থের পরিপন্থী। কারণ প্রজ্ঞাপনটিতে ২০২৪ এর জুলাই বা তৎপরবর্তী নতুন যোগদানকৃতরা সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতাভুক্ত হবেন মর্মে জানানো হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনটি যেমন বৈষম্যমূলক ঠিক একই সাথে অধিকার বিবেচনায় সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। এই প্রজ্ঞাপন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নিকট বৈষম্যমূলক, হতাশাসৃষ্টিকারী, পক্ষপাতদুষ্ট ও চরমভাবে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এছাড়াও বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি বলেন, জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ও দর্শনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এই ধরনের প্রজ্ঞাপনের ফলে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে শিক্ষকতা পেশায় অনীহা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সৃষ্ট বৈষম্যের কারণে উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক সংকট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিক্ষকদের অমর্যাদা, অবজ্ঞা ও মানসিক নিপীড়নের মধ্যে রেখে কোনো সভ্য জাতির উন্নতি হয়েছে এমন নজির বিশ্বের ইতিহাসে নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব ও সম্মান দিয়েছিলেন এ কারণে তার হাত ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা হয়, তারই সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জাতির পিতার আদর্শের হাত ধরেই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনিও গুরুত্ব দিয়ে চলছেন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার প্রতি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য এই ধরনের বৈষম্যমুলক সার্বজনীন পেনশন পরিকল্পনা উচ্চ শিক্ষার জন্য যেমন অন্তরায় হবে ঠিক তেমনই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। ধারাবাহিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ও দেশকে মেধাশূণ্য করতেই এই ধরনের প্রজ্ঞাপন, যা নিঃসন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তীব্রভাবে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করছে এবং শিক্ষক সমিতি উচ্চ শিক্ষাকে আরো গতিশীল, আধুনিকায়ন এবং গবেষণা বান্ধব করার লক্ষ্যে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের জোর দাবি জানাচ্ছে।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৮

বৈষম্যমূলক পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির
সম্প্রতি জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সাদেকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, এরূপ বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। হঠাৎ করেই এরূপ প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যেও চরম হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে।  হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি মনে করে, এরূপ বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা দর্শনের প্রতি চরম অবমাননা প্রদর্শনের শামিল। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধু উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেছিলেন, গঠন করেছিলেন একটি কার্যকরী শিক্ষা কমিশন। তার শিক্ষা দর্শন আমাদের মুক্তির পথকে সুগম করেছে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো নির্দেশনাতেই তারই আদর্শের উত্তরসূরি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিতে নিরলস কাজ করে চলেছেন।  শিক্ষকদের প্রতি এরূপ বৈষম্যমূলক পদক্ষেপের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ব্যহত হবে। কেননা, এর ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসতে আগ্রহী হবেন না, ফলশ্রুতিতে ব্যাহত হবে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান ও গবেষণা, তৈরি হবে মেধা শূন্য অদক্ষ জাতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পেশাগত দায়িত্ব পালনে সদা অঙ্গীকারবদ্ধ। যেখানে বিশ্বের অনেক দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো আছে, সেখানে আমাদেরকে বিদ্যমান সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে শিক্ষকদের আন্দোলনের পথে ঠেলে দেওয়ার এহেন হটকারী প্রজ্ঞাপন জারি করা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের অন্তরায়। অনতিবিলম্বে এ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজকে প্রাপ্য সম্মান ও ভবিষতের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৪

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পেনশন নিয়ে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও তার অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পেনশনের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।  শনিবার (১৬ মার্চ) ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম এবং মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, হঠাৎ করেই এমন একটি প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। একই বেতন স্কেলের আওতাধীন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ননীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এই প্রজ্ঞাপন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষাদর্শনের প্রতি চরম অবমাননা প্রদর্শনের শামিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই প্রজ্ঞাপনের ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসতে আগ্রহী হবেন না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে। এটি দুরভিসন্ধি কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানায় ফেডারেশন।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৮

নতুন ৭ জনকে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
বর্ধিত মন্ত্রিসভায় নতুন ৭ জনকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এতে বলা হয়, সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের ২ দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ১ মার্চ থেকে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগদান করেছেন। প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগ পাওয়া ৭ জন হলেন- মো. শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), মো. আব্দুল ওয়াদুদ (রাজশাহী-৫), নজরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৪), বেগম রোকেয়া সুলতানা (সংরক্ষিত মহিলা আসন),  বেগম শামসুন্নাহার চাঁপা (সংরক্ষিত মহিলা আসন), বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান (সংরক্ষিত মহিলা আসন) এবং বেগম নাহিদ ইজাহার খান (সংরক্ষিত মহিলা আসন)। নতুন প্রতিমন্ত্রীরা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শপথ নেবেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এরপর গত ১১ জানুয়ারি বঙ্গভবনে শপথ নেন নতুন মন্ত্রিসভার ৩৭ সদস্য। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।
০১ মার্চ ২০২৪, ২০:০০

প্রতি ইউনিটে যত বাড়ল বিদ্যুতের দাম
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, খুচরা পর্যায়ে সাড়ে ৮ শতাংশ এবং পাইকারি পর্যায়ে ৫ দশমিক ০৭৪ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে আজই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। যা চলতি ফেব্রুয়ারির ১ থেকেই কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী জানান, খুচরা পর্যায়ে বর্তমান দাম গড়ে প্রতি ইউনিট ৮ দশমিক ২৫ টাকা, নতুন দাম ৮ দশমিক ৯৫ টাকা। পাইকারি পর্যায়ে বর্তমান দাম গড়ে প্রতি ইউনিট ৬ দশমিক ৭০ টাকা। নতুন দাম ৭ দশমিক ০৪ টাকা।  তিনি বলেন, এখন বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ পড়ছে ১২ টাকার মতো, আর ৭ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি বছর বিদ্যুতে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ধীরে ধীরে কয়েক বছর ধরে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। কম ব্যবহারকারী গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম কম বাড়বে, আর ওপরের দিকে বেশি বাড়বে। নসরুল হামিদ বলেন, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে ডলারের দর বেড়ে যাওয়ায়। তেল-গ্যাস ও কয়লার আন্তর্জাতিক বাজারদর ক্ষেত্র বিশেষে একই থাকলেও আগের চেয়ে ডলার প্রতি ৪০ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে। এখানেই বিশাল গ্যাপ তৈরি হয়েছে। ডলারের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম আধুনিক প্রাইসিংয়ে যাচ্ছি। ইনডেক্স ও ফর্মূলা করা হয়েছে প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় হবে, প্রতিবেশী দেশ প্রতিদিন সমন্বয় করে। সেখানে অতিরিক্ত বেড়ে গেলে সরকার অন্যভাবে সহায়তা করে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে না, সমন্বয় করা হচ্ছে। লাইফ লাইন গ্রাহকের (৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী) মাসের বিল ২০ টাকার মতো বাড়তে পারে। এখন গ্রাহকরা যদি একটু সাশ্রয়ী হন, তাহলে বিল আগের অবস্থায় থাকবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের মিতব্যয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করা। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে , গ্রাহক পর্যায়ে গত বছর মার্চে পাঁচ শতাংশ বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম। সে সময় গড় মূল্যহার দাঁড়ায় ৮ টাকা ২৫ পয়সা। এ বছর মার্চে সে মূল্যহার বেড়ে হচ্ছে ৮ টাকা ৯৫ পয়সা। অর্থাৎ বিদ্যুতের দাম বাড়ছে প্রায় আট দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে কম বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে লাইফ লাইন (০-৫০ ইউনিট) গ্রাহকদের। তাদের বিল বাড়ছে সর্বনিম্ন ২৮ পয়সা। বর্তমানে এই শ্রেণির গ্রাহকদের বিল প্রতি ইউনিটে ৪ টাকা ৩৫ পয়সা। নতুন মূল্যহার কার্যকর হলে তা দাঁড়াবে ৪ টাকা ৬৩ পয়সা। এদিকে প্রথম ধাপে (০-৭৫ ইউনিট) বিদ্যুৎ বিল ৪ টাকা ৮৫ পয়সা। আট দশমিক ৪০ শতাংশ বা ৪১ পয়সা বেড়ে তা দাঁড়াচ্ছে ৫ টাকা ২৬ পয়সা। দ্বিতীয় ধাপে (৭৬-২০০ ইউনিট) বর্তমানে বিদ্যুৎ বিল ৬ টাকা ৬৩ পয়সা, যা বাড়ছে ৫৭ পয়সা বা আট দশমিক ৬০ শতাংশ। এতে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল পড়বে ৭ টাকা ২০ পয়সা। সেচ গ্রাহকদের বিল গুনতে হয় বর্তমানে ৪ টাকা ৮২ পয়সা। তা বাড়ছে ৪৩ পয়সা বা আট দশমিক ৯০ শতাংশ। এতে সেচে বিল পড়বে প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ২৫ পয়সা। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহার যত বেশি হলে বিল তত বেশি হারে বাড়বে। এতে আবাসিকে সবচেয়ে বেশি হারে বিদ্যুৎ বিল বাড়বে ৬০০ ইউনিটের ঊর্ধ্বের গ্রাহকদের। এ শ্রেণির গ্রাহকদের বর্তমান বিল দিতে হয় ১৩ টাকা ২৬ পয়সা হারে। তা ১ টাকা ৩৫ পয়সা বা ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়ে হচ্ছে ১৪ টাকা ৬১ পয়সা। লাইফ লাইন গ্রাহকদের বিলে ছাড় দেওয়ায় তাতে মাসে খরচ বাড়বে সর্বোচ্চ ২২ টাকা। প্রথম ধাপের (০-৭৫ ইউনিট) গ্রাহকদের বিল বাড়বে মাসে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা। দ্বিতীয় ধাপের (৭৬-২০০) গ্রাহকদের বিল বাড়বে মাসে সর্বোচ্চ ১২২ টাকা। সেচে বিদ্যুতের ব্যবহার মাসে ৫০০ ইউনিট পর্যন্ত থাকলে বিল বাড়বে ২৬২ টাকা। আর কোনো আবাসিক গ্রাহক মাসে এক হাজার ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে খরচ বাড়বে সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৪৩ টাকা।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৩

চার পণ্যে সুসংবাদ
চিনি, চাল, খেজুর ও ভোজ্যতেলের শুল্ক-কর কমানোর সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসবেন, তার আগেই চার পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রজ্ঞাপন হবে। ফাইল চালাচালি করে সময় নষ্ট না করে সরাসরি বৈঠকের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছে। শুল্ক বিভাগ চিঠির পর এসব পণ্যে কতটুকু শুল্ক কমলে কত রাজস্ব ক্ষতি হবে ইত্যাদির হিসাব-নিকাশ করেছে। শেষ পর্যন্ত সংস্থাটি চূড়ান্ত করে তা অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠায়। এরই মধ্যে সারমর্মে অনুমোদনও দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অর্থমন্ত্রীর অনুমোদন সম্পন্ন হয়েছে। এখন এর প্রজ্ঞাপন জারি করতে যেটুকু সময় লাগবে, তার অপেক্ষা। এদিকে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এই চার পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রজ্ঞাপন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।   এ সময় তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যৌক্তিক মূল্যে বাজারে কৃষি পণ্য ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। ভোক্তাদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে বাজারে কখনো যাতে পণ্যের সংকট না হয়, সেদিকে নজর রাখা হবে। উল্লেখ্য, পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে চারটি নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৯ জানুয়ারি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সে সময় তিনি জানান, চার পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে, এ সকল পণ্যে শুল্ক কী পরিমাণ কমানো হবে, তা এনবিআর এখন ঠিক করবে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়