• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, শিক্ষক কারাগারে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট শেয়ার করার অভিযোগে করা মামলায় ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ জিকেপি ডিগ্রি কলেজের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষকে (৪৮) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) শম্ভুগঞ্জ বাইতুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মো. কাইয়ূম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেপ্তার করে।    পুলিশ জানায়, শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষ মুক্তাগাছা উপজেলার মহিষদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সতেন্দ্র ঘোষের ছেলে। তবে বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ নগরীর বাঘমারা এলাকায় বসবাস করতেন।  মামলার বাদী জানান, সম্প্রতি সুনীল চন্দ্র ঘোষ তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি লেখা শেয়ার করেন। পরবর্তীতে এই পোস্টের কমেন্টসে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটূক্তিমূলক কমেন্টস করেন। এরপর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় শম্ভুগঞ্জ এলাকার মুসলিমদের মধ্যে মুহূর্তেই চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।     জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহম্মেদ ভূঞার নির্দেশে সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ফেসবুকে আপলোডকৃত পোস্টের স্ক্রিনশট জব্দ করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট মামলায় সুনীল চন্দ্র ঘোষকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।  
১৮ ঘণ্টা আগে

বাবা মুসলিম, মা হিন্দু— যে ধর্ম অনুসরণ করেন সারা
নবাব পরিবারে জন্ম সারা আলী খানের। তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা সাইফ আলি খানের মেয়ে তিনি। সারার মা অমৃতা সিংও ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তবে তারা দুজন ভিন্ন ধর্মের অনুসারী।  যেহেতু সারার বাবা মুসলিম এবং মা হিন্দু। তাই তিনি কোন ধর্ম অনুসরণ করেন, সে বিষয়ে ভক্তদের আগ্রহের কোনো শেষ নেই। বাবা-মা ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হওয়ায় ছোট থেকেই বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে সারাকে। যদিও অভিনেত্রীর নামের টাইটেলে সবসময় ‘আলি খান’ পদবিই ব্যবহার করেন সারা।   মুসলিম পদবি ব্যবহার করলেও মাঝে মধ্যেই মন্দিরে যেতে দেখা যায় সারাকে। তাই তিনি কোন ধর্ম আসলে অনুসরণ করেন, সে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহটা একটু বেশিই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ধর্মীয় বিশ্বাস ও পদবি নিয়ে মুখ খুলেছেন সারা।  সারা জানান, অতীতে অভিনেত্রীর ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্নে উঠলে ভীষণ বিরক্ত হতেন তিনি। তবে এখন আর বিষয়গুলো নিয়ে ভাবেন না তিনি। সারা মনে করেন— এগুলো একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। কে কী ভাবছে, কী বলছে তাতে কিছু আসে যায় না তার।      অভিনেত্রী বলেন, আমার ধর্মীয় বিশ্বাস, কী পছন্দ, আমি কীভাবে বিমানবন্দরে যাব, এই সবই আমার একান্ত সিদ্ধান্ত। এজন্য আমি কখনই কাউকে জবাবদিহি করব না। এমনকি কোনো কর্মকাণ্ডের জন্যও কারও কাছে ক্ষমাও চাইব না। আমার ধর্ম নিয়ে অন্য কারও প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই।  তিনি আরও বলেন, আমি একটি ধর্মনিরপেক্ষ, সার্বভৌম এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। আমি কখনও অন্যায় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার প্রয়োজন মনে করি না। কারণ, অযথা কথা বলায় বিশ্বাস করি না আমি। তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস আছে। তাই শুধু আমার সঙ্গে নয়, যদি এমন ঘটনা আমার চারপাশের লোকদের সঙ্গেও হয়, তাহলে তখনও অবস্থান নেব আমি।    বিভিন্ন সময়ই সারার মসজিদ কিংবা মন্দিরে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সমালোচকরা। মন্দিরে গেলে সারার শাস্তি দাবি করেন নেটিজেনদের একাংশ। অন্যদিকে আবার মসজিদে গেলেও ক্ষমা চাইতে বলেন। মূলত এসবের জবাবেই এমন মন্তব্য করেছেন সারা।  
২১ মার্চ ২০২৪, ১৩:০১

ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি : ফেনীতে সহকারী অধ্যাপক বহিষ্কার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় ফেনীতে এক সহকারী অধ্যাপককে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, ছাগলনাইয়া উপজেলার আবদুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ মিজানুল হক নিজের ফেসবুক আইডিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘আমি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে মানবধর্মে যোগ দিবো’ এই শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন। ৫০ লাইনের ওই স্ট্যাটাসের শেষভাগে তিনি লিখেছিলেন, ‘ইসলাম ধর্ম একটি সন্ত্রাসী ধর্ম’ । অপর লাইনে লেখেন, ‘ধর্মের ভুল ধরলে শুধুমাত্র এদেশে চাপাতি নাও, দা নাও, ছুরি নাও, মানুষ হত্যা কর’। শেষ লাইনে তিনি লিখেছেন, ‘সকলে আদম-হাওয়া থেকে এসেছে, তবুও কেন এত বিভেদ’।  এ পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ফুঁসে ওঠে ওই কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত শিক্ষক কলেজে আসছেন এ খবর শুনে ওই কলেজের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ছাগলনাইয়া-বক্সমাহমুদ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।  এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণের শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে তার শাস্তির দাবি জানান তারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, ইসলাম ধর্ম অবমাননাকারী শিক্ষককে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেবেন না তারা। পরবর্তীতে কলেজের অধ্যক্ষ বিক্ষোভকারীদের কাছে গিয়ে কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত ওই  শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এতে বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হক বলেন, মুঠোফোনটি বাসায় রেখে গেলে কে বা কারা আমার আইডি থেকে আপত্তিকর একটি স্ট্যাটাস দিয়ে দেয়। আমার নজরে পড়লে আমি স্ট্যাটাসটি ডিলিট করে দিই। কলেজের অধ্যক্ষ ড. মহাম্মাদ মহাতাব উদ্দিন প্রামাণিক জানান, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তের আলোকে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হককে কলেজে অবাঞ্ছিত, কলেজ আঙিনায় প্রবেশ নিষেধসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলেজের সভাপতি ও ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, অভিযোগ জানার পর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৫

বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. রফিকুল ইসলাম জামালকে মনোনীত করা হয়েছে। তিনি ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দল আশা প্রকাশ করে যে, মো. রফিকুল ইসলাম জামাল দলকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এর আগে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে শহীদ মিনারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার জন্য আজকে রাষ্ট্রশক্তি আক্রমণ চালাচ্ছে। গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া ৬ থেকে ৭ বছর ধরে বন্দি। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের সব অধিকারকে আজ বন্দি করে রাখা হয়েছে। দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, আমি মনে করি, ‘আমরা আজও গণতন্ত্র-হারা। আমরা আজও অধিকার-হারা। ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। কিন্তু সরকার অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে হানাদার শক্তি আমাদের ভাষার অধিকারকে আত্মসাৎ করেছিল, হরণ করেছিল। ঠিক একইভাবে দেশীয় হানাদার শক্তি জনগণের ভোটাধিকার, জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে একটি একচ্ছত্র রাজকীয় শাসন চালু করেছে।’ রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিলেন। ৫২ সালে এদেশের জনগোষ্ঠীর ভাষা ছিল বাংলা, জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল উর্দু। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতা অনেক রক্ত ঝড়িয়ে আমরা একাত্তরের স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু আজকে আমরা কী পেয়েছি?’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারি না। আমরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারি না। আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে চাই। সোচ্চার কণ্ঠে কথা বলতে চাই। নির্বিঘ্নে কথা বলতে চাই। সে অধিকারের মূল প্রেরণা ৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন। আমরা সেই পথ ধরে এগিয়ে যাব।’
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩১

ধর্ম পরিবর্তন নিয়ে মুখ খুললেন বাপ্পী চৌধুরী
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের নায়ক বাপ্পী চৌধুরী। নতুন বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করলেও সেগুলো এখনো আলোর মুখ দেখেনি। সম্প্রতি এই নায়ক ওয়াজ মাহফিলে অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন। সেই ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন তিনি নিজেই। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আলোচনা করছেন একজন আলেম। এ নায়ক তার পাশে বসে মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো শুনছেন। ভিডিওর ক্যাপশনে বাপ্পি লিখেছেন, সত্যের পথে, ন্যায়ের পথে এবং সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে আনুগত্যবোধ ও শ্রদ্ধাবোধ থাকাই খাঁটি মানুষের পরিচয়। আমি একজন মানুষ হিসেবে দেশের সকল ধর্ম ও ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি মনে করি প্রতিটি মানুষেরই নিজের ধর্মের পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই তো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। এই নায়ক বলেন, ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন দিক আমার বেশ পছন্দের। বিশেষ করে, শিশু-কিশোরদের কোরআন তেলওয়াত। হাজারও শিশু এই কোরআন মুখস্থ করে, তেলাওয়াত করে। যা আমাকে বেশ মুগ্ধ করে। বাপ্পী যোগ করেন, ইসলামিক কোনো আয়োজনে অংশগ্রহণ করায় বিষয়টি নিয়ে কোনো বিতর্ক হোক আমি চাই না। ইসলাম ধর্মের প্রতি সম্মান আছে, তাই বলে নিজ ধর্ম পরিবর্তন করব- এমন কোনো ভাবনা নেই। আমার কাছে মানবধর্ম বড় ধর্ম। প্রসঙ্গত, বাপ্পী অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আশরাফ শিশিরের পরিচালনায় ‘৫৭০’, শাহীন সুমনের ‘কুস্তিগির’, বেলাল সানির ‘ডেঞ্জার জোন’ এবং সাফি উদ্দিন সাফির ‘সিক্রেট এজেন্ট’। অনেক আগেই সিনেমাগুলোর কাজ শেষ হলেও আজও আলোর মুখ দেখেনি। আদৌ আলোর মুখ দেখবে কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫১

ইসলামকে শান্তির ধর্ম মনে করেন বাপ্পি চৌধুরী
ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী বেশ কয়েক দিন ধরেই সরব হয়ে উঠেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফেসবুকের পাতায় ঢুঁ মারলেই আজকাল এই চিত্রনায়কের পোস্ট সামনে ভেসে আসে।  মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে নিজের ফেসবুক থেকে লাইভে এসেছিলেন বাপ্পি। ভিডিওতে তাকে দেখা গেছে একটি মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করতে। সেসময় বেশ মনোযোগ সহকারে বাপ্পি আলেমের কথাও শুনছিলেন। আর এই ভিডিও প্রকাশের পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।    জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ জেলায় এক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন বাপ্পি। এ সময় তিনি  দশজন কোরআন প্রতিযোগীর হাতে পুরস্কারও তুলে দেন।      অন্য ধর্মের হয়েও এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কারণ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে বাপ্পি বলেন, আমি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করি এবং আল্লাহকেও বিশ্বাস করি। এ ধরনের অনুষ্ঠানে আমি প্রশান্তি পাই। আর তাছাড়া কুরআন পাঠ শুনলে অনেক কিছু শেখা যায়। আর কুরআন তেলোয়াত শুনলে অনেক নেকিও হয়।  বাপ্পির লাইভ দেখে রীতিমতো চমকে গেছে নেটবাসী। তাই কমেন্টে এই নায়কের প্রশংসা করে একজন লিখেছেন, মাশআল্লাহ। কেউ কেউ আবার লিখেছেন, সত্যি আপনি অসাধারণ।   সিনে জগতে বাপ্পির পথচলা শুরু হয় ২০১২ সালে। তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘শশুরবাড়ী জিন্দাবাদ’, ‘সুলতানা বিবিয়ানা’, ‘সুইটহার্টে’র মতো একাধিক ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। সবশেষ তাকে দেখা গেছে ‘শত্রু’ সিনেমায়।     
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৭

কোটার মাত্র ৪২ শতাংশ বাংলাদেশি হজে যাচ্ছেন
নিবন্ধনের সময় তিন দফা বাড়িয়েও চলতি বছর হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে কোটার ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ ৭৪ হাজার ৮৩ জনের আসন খালি রেখেই হজ নিবন্ধন শেষ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমের হজের নিবন্ধনের সময় শেষ হয়।  জানা গেছে, বাংলাদেশে থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার অনুমতি থাকলেও বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, মোট ৫৩ হাজার ১১৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৮০২ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯ হাজার ৩১৩ জন। সেই অনুযায়ী, কোটার ৪২ শতাংশ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এখনো ৭৪ হাজার ৮৩ জন নিবন্ধন করেননি। অর্থাৎ, কোটার ৫৮ শতাংশ খালি রয়েছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, হজের নিবন্ধন আজকে শেষ হলেও তা আর বাড়ানো হবে না। সামনের সপ্তাহে আমারা সৌদি আরবকে হজযাত্রীর সংখ্যা জানিয়ে দেব। ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া মিনায় জায়গা করে ফেলেছে। আমরাই একমাত্র দেশ যারা এখনো হজযাত্রীদের সংখ্যা জানাতে পারিনি। জায়গা না পেলে পরে সবাই গালাগালি করবে, সরকার আমাদের দূরে রেখেছে, কষ্ট দিয়েছে।  উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয়। সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। 
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩১

হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না, ৮০ হাজার ৫২৩ কোটা ফাঁকা
২০২৪ সালের হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। দ্বিতীয় দফার সময় শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে। তবে, এখনও আছে ফাঁকা ৮০ হাজার ৫২৩ কোটা।  সর্বশেষ দিনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পবিত্র হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৪৬ হাজার ৬৭৫ জন। শেষ সময়ে আরও হাজার তিনেক ব্যক্তি নিবন্ধন করতে পারেন বলে আশা করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের প্রধান অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, হজে নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। সৌদি আরব আমাদের আর কোনো সময় দিচ্ছে না। এরই মধ্যে সৌদির অনুমতি নিয়ে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে আর সময় বাড়ছে না। তিনি আরও বলেন, গত বছর সৌদি সরকার সময় দিয়েছিল, তাই আটবার সময় বাড়ানোর সুযোগ ছিল। এবার সেই সুযোগ দিচ্ছে না। আজকের মধ্যেই সৌদি আরবকে হজযাত্রীদের সংখ্যা এবং বিমানের ফ্লাইটের শিডিউল জানাতে হবে। তাই ইচ্ছে থাকলেও আর সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। যারা হজে যেতে চায় তারা যেন বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেন সেই আহ্বান রইল। এদিকে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয়। সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি এ সময়ে।   চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত কোটা রয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। বিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৪৬ হাজার ৬৭৫ জন। এখনও ৮০ হাজার ৫২৩ কোটা ফাঁকা। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় তিন হাজার ৭৬৯ জন ও বেসরকারি কোটায় ৪২ হাজার ৯০৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। ফলে দ্বিতীয় দফায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা বৃদ্ধির পরও প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কোটা পূরণ হচ্ছে না।  চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়