• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিয়ানমারের কারাগার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে তাদেরকে নিয়ে কক্সবাজার নুনিয়াছড়া ঘাঁটিতে এসে ভিড়ে মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ চিন ডুইন। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাখাইন রাজ্যের সিত্তে বন্দর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে রওনা দেয় জাহাজটি।  বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার ও ৩০ জন বান্দরবানের বাসিন্দা। এছাড়া রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী ও নরসিংদীর ৭ জন এবং নীলফামারীর একজন রয়েছেন। এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় নৌযানে করে মিয়ানমারের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল কক্সবাজার পৌঁছান। এ সময় প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানায় বিজিবি। বাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষ করে ১৭৩ জন বাংলাদেশি দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার নুনিয়াছড়া ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন। এখন প্রথমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এরপর বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৬

কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেন নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তবাতাস নিষিদ্ধ। এদের সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত বিএনপির রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। রিজভী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের জেলে রেখে আওয়ামী লীগ যে খেলায় মেতেছে, অচিরেই সে খেলায় তারা পরাজিত হবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে ঢোকানো, ধরে ফেলা-এই কর্মসূচি যেন শেষই হচ্ছে না। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে, সেই জিনিসটা বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচন সামনে রেখে প্রায় চার মাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনও কারাগারে। কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢোকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। রিজভী বলেন, উপমহাদেশে অনেকেই কারাগারে গেছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গেছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গেছেন সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি (সরকার) বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। এটাতো আপনি বলছেন! গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্য কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রেখেছেন। জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শপু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির প্রমুখ।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে মিঠু মিয়া (৪০) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।  মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বুক ব্যথা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  মারা যাওয়া মিঠু মিয়া দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে।  চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেলার ফখর উদ্দিন বলেন, একটি চুরির মামলায় মিঠু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে গত শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠায় দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন মিঠু মিয়া। রাত ১১টার দিকে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টায় মারা যান তিনি। তিনি আরও বলেন, মিঠু মিয়ার বুকে ব্যথা ছাড়াও কিডনির সমস্যা ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৯

কারাগার থেকে বেরিয়েই যা বললেন ফখরুল-খসরু
সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। মুক্ত হয়েই তারা জানান, ভোটাধিকার ফেরানোর আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একসঙ্গে জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। কারাফটকে নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সময় তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান। ফখরুল বলেন, আমাদের আন্দোলনের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত রাখব। ৭ জানুয়ারির একপাক্ষিক নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি। তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। দেশের জনগণ সবসময় গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। ইনশাআল্লাহ এই সংগ্রামে তারা জয়ী হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফেরানোর চলমান আন্দোলনে চূড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রশক্তিকে কবজা করে ক্ষমতা দখল করেছে, বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা নির্বাচনে নৈতিকভাবে জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্রের আন্দোলন অটুট থাকবে। যতদিন দেশে গণতন্ত্র ফেরত না আসবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসবে ততদিন এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। এর আগে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বুধবার মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে জামিন দেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের। এই মামলার জামিনের আগে আরও ১০টি মামলায় তাদের জামিন হয়েছে। গ্রেপ্তার দেখানো সবকটি মামলায় দুই বিএনপি নেতার জামিন হওয়ায় তারা কারামুক্তি পেলেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারাদেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ২ নভেম্বর রাতে গুলশানের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ হত্যার মামলায় রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়