• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া বিএনপি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।  বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয়। বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুমসৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়। বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত।  বিবৃতিতে কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য ‘বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৭

সিঙ্গেলরা যে উপায়ে উদযাপন করবেন ভালোবাসা দিবস
ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি সেজেছে বর্ণিল সাজে। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। প্রকৃতিও আগুনরঙা ভালোবাসার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে আজ পহেলা ফাল্গুন। একই দিনে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে ভালোবাসার দিন। ভালোবাসা দিবস আর বসন্তের রঙ যেন মিলেমিশে একাকার। শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরে যুগলরা ঘুরে বেড়াচ্ছে বইমেলা, ক্যাম্পাস, পার্ক আর রাস্তায়। ফলে সিঙ্গেলরা কিছুটা মলিন হয়ে বসে আছে। এদিকে ভালোবাসা দিবস আসার সঙ্গে সঙ্গে সিঙ্গেল লোকজনের হাহাকারে সিক্ত হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ভ্যালেন্টাইনের দিন তো অনেকে বলেই বসেন-এ বছরেও এই দিনে সিঙ্গেল, এই জীবনের কী মানে? অথচ সিঙ্গেল থাকা মানে জীবনের শেষ নয়, বরং চমৎকার কিছু কাজের মাধ্যমে আপনিও দিনটাকে করে তুলতে পারেন সুন্দর ও আনন্দময়। সিঙ্গেল বন্ধুদের নিয়ে পার্টি- বলা হয়ে থাকে, বন্ধু ফেল করলে কষ্ট লাগে। কিন্তু বন্ধু প্রথম হলে আরও বেশি খারাপ লাগে। তাই এই কয়েক দিন যে কোনো মূল্যে প্রেমের পরীক্ষায় প্রথম হওয়া বন্ধুদের এড়িয়ে চলুন; বরং আপনার মতোই সিঙ্গেল বন্ধুদের সঙ্গে চলাফেরা বাড়িয়ে দিন। ভ্যালেন্টাইন দিবসে সিঙ্গেল বন্ধুদের নিয়ে একটা পার্টির ব্যবস্থা করুন। এতে আপনাদের কারোরই আর ভ্যালেন্টাইনের দিন একা একা লাগবে না। ফেসবুক বন্ধ রেখে বই পড়ুন- ভ্যালেন্টাইনে একা একা লাগার আরও একটি বড় কারণ হলো-ফেসবুকে অন্যদের যুগল ছবি দেখা; বরং অন্তত এই দিন বা সম্ভব হলে কয়েকটা দিনের জন্য ফেসবুক থেকে ছুটি নিয়ে নিন। হাতে তুলে নিন পড়ব পড়ব করেও পড়া না হওয়া চমৎকার কোনো বই। এতে একদিকে আপনার বই পড়ার অভ্যাস হলো, অন্যদিকে ভ্যালেন্টাইনের রঙবেরঙের ছবি দেখে আর হাহুতাশও করতে হলো না! সিনেমা দেখুন তবে রোমান্টিক নয়- ভ্যালেন্টাইনের দিনটাকে চাইলে মুভি দিবসও ঘোষণা করতে পারেন বা সারা দিনে লম্বা সিরিজটা দেখে ফেলতে পারেন। তবে সাবধান, বেশি রোমান্টিক সিনেমা আবার আপনাকে একাকিত্বের সাগরপাড়েই টেনে নিয়ে যাবে। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারকে ভালোবাসুন- ভালোবাসা দিবসে যে শুধু প্রেমিক বা প্রেমিকাকেই ভালোবাসতে হবে-এ কথা কে বলেছে? বরং কাছের বন্ধু বা পরিবারের লোকজনের কাছেও নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেন। পাঠাতে পারেন ছোট ছোট উপহার। এতে তারা যেমন খুশি হবে, আপনাদের বন্ধনও সুন্দর হবে অনেকখানি। অনেক দিন ফোন করব করব করে করা হয় না, এমন বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনদের ফোন করুন। গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ান- ভালোবাসা দিবসে খুব একা একা লাগছে? করার মতো কাজ খুঁজে পাচ্ছেন না? আশপাশের পথশিশুদের কিছু খাবার বা বেলুন কিনে দিন। গরিব রিকশাওয়ালাকে একবেলা পেট ভরে খাওয়ান বা রাস্তার শিশুদের নিয়েই কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে বসে যান। দেখবেন আপনার ভ্যালেন্টাইন হয়ে উঠেছে আর দশজনের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর। রেস্টুরেন্ট বা শপিংমলকে বোকা বানান- ভ্যালেন্টাইন উপলক্ষ্যে রেস্টুরেন্ট বা শপিংমলে নানা কিসিমের যুগল অফার দেয়। আপনি সিঙ্গেল তো কী হয়েছে? আপনার মতোই আরেকজন সিঙ্গেল বন্ধু খুঁজে বের করে ওই অফারে খাওয়াদাওয়া বা কেনাকাটা করে আসেন। মা–বাবাকে নিয়েও শপিংয়ে বের হতে পারেন। কেনাকাটা শেষে খাওয়াদাওয়া করে ঘরে ফিরলেন! একদিকে কম টাকায় খাওয়ার আনন্দ, অন্যদিকে যুগলদের জন্য অফার সিঙ্গেল হয়েও নিজে সেই সুবিধা নেওয়ার আনন্দ মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। জমে থাকা কাজগুলো করে ফেলুন- ওপরের কোনো কিছুই ভালো না লাগলে ভ্যালেন্টাইনের কথাটাই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন। ফেসবুক বন্ধ করে দৈনন্দিন সব কাজে ব্যস্ত হয়ে যান। জমে রাখা কাজগুলো করে ফেলুন। ঘর গোছানো, বাথরুম পরিষ্কার, খাবার রান্না করা বা বইয়ের তাক গোছানো ও গাছে পানি দেওয়ার মতো কাজ করতে করতে কখন যে ভ্যালেন্টাইন পার হয়ে যাবে, টেরই পাবেন না।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০২

কালার করে চুলের দফারফা, যে উপায়ে করবেন সমাধান
ফ্যাশানের যুগে অনেকেই চুলে পছন্দের রঙ করান। আর এতেই তৈরি হয় সব ঝামেলা। সঠিক পরিচর্চা না করলে চুলের হাল বেহাল হয়ে যায়, চুল একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। চুল রুক্ষ হয়ে যায়, নষ্ট হয়ে যায় চুলের মানও। শুরু হয় চুল পড়া। একই সঙ্গে হারাতে শুরু করে চুলের সৌন্দর্য। তাই এই সময় চুলের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। এক্ষেত্রে ঘরোয় উপায়েই নিতে পারেন চুলের যত্ন। তার জন্য কী করতে হবে জেনে ঝটপট যত্ন নিন চুলের। জেনে নিন উপায়গুলো- >> সবার আগে যেটা প্রয়োজন তা হলো চুলের রুক্ষভাব কাটানো। তার জন্য মাথায় তেল ব্যবহার করতে পারেন। আজকাল অনেকেই তেলের নাম শুনলে নাক সিঁটকোন ঠিকই। তবে তারা হয়তো জানেন না যে চুলের জন্য তেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে দু থেকে একদিন ক্যাস্টর অয়েল গরম করে চুলে লাগালে দূর হবে রুক্ষভাব। >> এ ছাড়া ব্যবহার করতে পারেন কারিপাতার তেল। নারকেল তেলের মধ্যে কয়েকটি কারিপাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এ বার এটি ছেঁকে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে তারপর চুলে প্রয়োগ করুন। >> মাথায় মাখতে পারেন ডিম। এতে চুল নরম ও উজ্জ্বল হবে। হেনার সঙ্গে মিশিয়েও ডিম মাখতে পারেন। এতে আরও ভালো ফল পাবেন। >> সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শ্যাম্পু করুন। এবং শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এ ছাড়া ব্যবহার করতে ভুলবেন না হেয়ার মাস্কও। 
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৫

রান্নায় রেস্তোরাঁর স্বাদ পাবেন তিন উপায়ে
রান্না একেবারেই সহজ কাজ নয়। পরিমাণ মতো মশলা, সঠিক উপকরণ দিয়ে রাঁধলেও রান্নার স্বাদ মনের মতো হয় না। বিশেষ করে মাছ, মাংস রান্নার সময়ে একটু সতর্ক থাকতে হয়। একটু এদিক থেকে সেদিক হলেই স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।  তাই বাড়িতে রেস্তরাঁর মতো রান্নার স্বাদ চাইলে জানুন তিন কৌশল- ১. ভালো করে পরিষ্কার করুন মাছ, মাংস যেটাই রাঁধবেন, রান্না শুরুর আগে ভালো করে সেগুলো ধুয়ে নিতে হবে। যাতে কোনো আঁশটে গন্ধ না থাকে। ঠিক করে না ধুয়ে রান্না করলে মাছ, মাংসের গন্ধে খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ২. ম্যারিনেট করুন রান্না সুস্বাদু হয় সঠিক ম্যারিনেশনের গুণেও। তাই মাছ, মাংস যা-ই রান্না করুন, আগে ভালো করে ম্যারিনেট করে নিন। ম্যারিনেট করে রাখলে তেল, ঝাল, মশলা মাছ-মাংসের মধ্যে ভালো করে ঢোকে। ম্যারিনেশন ভালো না হলে স্বাদও ভালো হয় না। ৩. অতিরিক্ত রান্না করবেন না অনেকেই রান্না বেশিক্ষণ ধরে কষান। ভালো করে কষালে রান্না সুস্বাদু হয় ঠিকই। তবে তারও একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। যতক্ষণ ইচ্ছা রান্না কষানো যায় না। বেশিক্ষণ তাপে থাকলে খাবারের নিজস্ব স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়