• ঢাকা শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
logo

ভোটের হাওয়া: কুমিল্লা-১১

আ.লীগের একক প্রার্থী, বিএনপিতে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব

গোলাম কিবরিয়া, কুমিল্লা

  ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৫৩

কুমিল্লা-১১ আসনে এবার আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। তবে এ আসনে বিএনপির প্রার্থিতা নিয়ে রয়েছে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। এছাড়া জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় প্রার্থী থাকায় নির্বাচনী লড়াই জমজমাট হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-১১ আসন। এ আসনের ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭৮২ জন। এই আসনটিতে এবার আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, যিনি এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্যও। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে আসনটিতে টানা বিজয়ী হন তিনি।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রতন বলেন, চৌদ্দগ্রামে এত উন্নয়ন হয়েছে এবং সাংগঠনিকভাবে এই আসনটি এত শক্ত হয়েছে যে এখানে একক প্রার্থী হিসেবে বর্তমান এমপি রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের বিকল্প নেই।

-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বিএনপির দুর্গে আ.লীগের শক্ত অবস্থান
-------------------------------------------------------

এদিকে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপি নেতা শামসুদ্দিন আহমেদ। এবার এ আসনে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা ছাড়াও রয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি করেছি। কেন্দ্র পাহারা কমিটি করেছি। চৌদ্দগ্রাম ১২১টি সাংগঠনিক কমিটি রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে এই আসনে আমারা জয়ী হবো।

এছাড়া, বিএনপি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলে চৌদ্দগ্রাম আসনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।


অপরদিকে ১৯৯১ সালে এই আসন থেকে নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির নেতা প্রয়াত কাজী জাফর আহমেদ। এবার এই আসনে প্রার্থী হিসেবে তার মেয়ে কাজী জয়া আহমেদ এবং জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক এইচ এন এম শফিকুর রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে।

শফিকুর রহমান জানান, চৌদ্দগ্রামে জাতীয় পার্টি এখন অনেক সংগঠিত। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ বাস্তবায়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি আসনটি দল ও মহাজোটকে উপহার দিতে পারবেন।

এদিকে কাজী জয়া আহমেদ জানান, তার বাবা কাজী জাফর আহমেদ আমৃত্যু এ জনপদের তৃণমূল মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। চৌদ্দগ্রামের উন্নয়নে সবার সহযোগিতা নিয়ে তিনি কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন :

এসএস

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অনেক সচিব এখনও নাশকতা করার চেষ্টা করছে: রিজভী 
বন্যার্তদের জন্য বিএনপির ত্রাণ তহবিলে ২০ কোটি টাকা জমা পড়েছে
সেলিমা রহমানের প্রশ্ন—ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেওয়ারা কোথায়
আগের মতো রাজনীতি এখন চলবে না: এ্যানি