নিজেদের মধ্যে কোন্দল মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ কাদেরের
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে নেতাকর্মীদের দলীয় কোন্দল মেটানো নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যকার বিরোধ নির্বাচনে বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের বেশি সময় নাই। ঘরে ঘরে গিয়ে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। নির্বাচনে কেন্দ্র কমিটি ও পোলিং এজেন্ট ঠিক করতে হবে। নিজেদের কোন্দল মিটিয়ে ফেলতে হবে।
আমাদের বিভিন্ন কমিটির মধ্যে কিছু সমস্যা আছে। সেখানে বাদ পড়াদের সংযুক্ত করে নিতে হবে। নয়তো নির্বাচনে বড় বিপদের কারণ হতে পারে। নিজেরা নিজেদের সঙ্গে ঝগড়া করে লাভ হবে না।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : সিটি নির্বাচনের সাত দিন আগে সেনা চায় বিএনপি
--------------------------------------------------------
তিনি বলেন, লন্ডনে বসে তারেক রহমান দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে টাকা বিলানো হয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে। তাই শেখ হাসিনার ঘোষণা আন্দোলনকারীদের স্বস্তি দিলেও বিএনপি শান্তিতে নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনী ইশতেহারে মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লোভ দেখানো প্রতিশ্রুতি দিলেও অন্তরে তা লালন করে না। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সমর্থন করেনি, বিরোধিতা করেছে, তাদের মুখোশ আজ উন্মোচিত হয়েছে। বাংলাদেশে বাস করেও তারা পাকিস্তানের সেবাদাস।
তিনি বলেন, তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিলো। ২১ আগস্ট বিএনপির সরকার আমাদের নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো। তাদের যুবরাজ তারেক রহমান এখন টেমস নদীর পাড়ে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বিএনপি ৯ বছর ধরে আন্দোলনের ডাক দিয়েও ৯ মিনিটের জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি। আমরা বাধাও দেইনি। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাহারা খাতুন, আব্দুস সোবহান গোলাপ, মহিবুল হক চৌধুরী নওফেল, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
আরও পড়ুন :
এসএস
মন্তব্য করুন