ইসলাম মানুষকে জীবনের নিরাপত্তা দিয়েছে
প্রতিটি মানুষই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সমাজে হত্যাকাণ্ড ঘটছে তুচ্ছ কারণে। বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলা করে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করে তার দায়ভার ইসলাম ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে। এরকম জঘন্য খুন ও হত্যার সংবাদ জাতীয় পত্রিকাগুলোতে প্রায় প্রতিদিন ছাপা হচ্ছে। অথচ ইসলাম কখনই হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না।
ইসলাম মানুষ হত্যা ও আত্মহত্যাকে হারাম ঘোষণা করে মানুষকে জীবনের নিরাপত্তা দিয়েছে। কুরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত কোন মুমিনকে হত্যা করে। তার প্রতি আল্লাহ অসন্তুষ্ট হয়ে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্য মাহশাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন। (সুরা আল নিসা, আয়াত: ৯৩)।
নবী কারিম সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোন ইমানদারকে হত্যা করল এবং এতে আত্মপ্রসাদ লাভ করল, আল্লাহ তার কোন ফরজ বা নফল ইবাদত কুবল করবেন না। (আবু দাউদ শরিফ)।
নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কেউ কোন অমুসলিম নাগরিককে হত্যা করলে কেয়ামতের দিন আমি তার বিরুদ্ধে ফরিয়াদি হব। (মুসনাদ আহমদ)।
আল্লাহর রাসুল আরও বলেন, যে ব্যক্তি কোন অমুসলিম নাগরিককে অন্যায়ভাবে হত্যা করে, আল্লাহতায়ালা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন। (আবু দাউদ ও নাসায়ী শরীফ)।
হজরত আবু বকর (রা,) বর্ণনা করেন, বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের ইজ্জত তোমাদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ, যেমন তোমাদের এই (হজের) মাসে তোমাদের এই (মক্কা) নগরে তোমাদের এই মহান (হজের) দিবসটি মর্যাদাপূর্ণ। (বুখারী ও মুসলিম)।
আরও পড়ুন:
- হজ নিবন্ধন শুরু, ফ্লাইট ১৪ জুলাই থেকে
- শিশুর সুন্দর নাম তার জন্মগত অধিকার
- হজে যৌন হয়রানির অভিজ্ঞতা জানালেন আরেক নারী
এমকে
মন্তব্য করুন