কেন তাবলিগ করবেন?
আল্লাহ তায়ালার দ্বীনের নুসরত ও খেদমত করতে গেলে যে কাজগুলো করতে হয় সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দুইটির একটি হলো ‘দাওয়াত’ এবং অপরটি ‘তাবলিগ’। দাওয়াত অর্থ হচ্ছে মানুষকে ডাকা, আহ্বান করা। আর তাবলিগ অর্থ হচ্ছে প্রচার করা, প্রসার করা। শরিয়ত ও কুরআন হাদিসের পরিভাষায় দাওয়াত হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে মানুষকে আহ্বান করা। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘কে তার কথাবার্তায় বেশি ভালো, যে আল্লাহর প্রতি আহ্বান করে এবং সৎকর্ম করে আর বলে নিশ্চয়ই আমি মুসলিমদের মধ্যকার।(সুরা হা-মিম-আস সাজদাহ, আয়াত: ৩৩)
এই আয়াতে যারা আল্লাহর পথে মানুষকে আহ্বান করে, তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। তাদের প্রশংসা এজন্য করা হয়েছে যে তারা শুধু আল্লাহর পথে মানুষকে আহ্বানই করে না বরং নিজেরাও নেক আমল করে এবং নিজেদের মধ্যে একজন মনে করে। দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ মানুষকে সৎকাজের আদেশ দেয় এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: হজ অব্যবস্থাপনায় ১৪ হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
--------------------------------------------------------
এই সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত, যারা আহ্বান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভালো কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে। আর তারাই হলো সফলকাম।(সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০৪)
এই সম্পর্কে পবিত্র হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি গর্হিত কাজ হতে দেখে, তবে তা হাত তথা শক্তি দিয়ে পরিবর্তন করবে। যদি না পারে, তবে মুখ দিয়ে বলে তার পরিবর্তন করবে। যদি তাও না পারে, তবে অন্তর দিয়ে তা অপছন্দ করবে। আর এটা হলো দুর্বল ইমানের পরিচায়ক।(মুসলিম শরিফ)
হজরত মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) এই কথাটাই সবাইকে বোঝাতে চেয়েছেন। আমরা যে কালিমা পড়ে ঈমান এনেছি, তিনি বলেছেন আসুন সবাই ওই ঈমানটাকে তাজা করি। আর ঈমানকে তাজা ও মজবুত করতে হলে এর জন্য কিছু মেহনত করতে হবে। দুনিয়ার কোনো কাজই যেমন মেহনত ছাড়া হয় না, তেমনি এর জন্যও কিছু মেহনত লাগবে। সে মেহনতের জন্য বলি না, তুমি তোমার দুনিয়া ছেড়ে দাও। বরং বুঝ বোঝার চেষ্টা কর এবং পারলে আল্লাহর রাস্তায় একটু বের হও।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে কল্যাণকর কাজ করার ও কল্যাণকর কাজে সহযোগিতা করার তাওফিক দান করুন। (আমিন)
আরও পড়ুন
কে/এমকে
মন্তব্য করুন