• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন মামলার রায় আজ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০৮:৫৩

আজ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই রায় দেবেন। গেলো বছরের ৩০ নভেম্বর এ রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন আদালত। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, ‘ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ২১ জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১০৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।’

ঘটনার পর থেকেই সারাদেশে এ হত্যাকাণ্ড মানুষের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এর সুষ্ঠু বিচার ও রায়ের অপেক্ষায় এখন দেশবাসী। নিহতদের পরিবারের প্রত্যাশা, অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজার। আর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন তারা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে পেরেছেন।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। পরদিন ২৮ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী। ওই মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূর হোসেনকে প্রধান করে ৬ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ের জামাই বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় আরো একটি মামলা করেন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে স্বজনরা লাশগুলো শনাক্ত করেন। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে খবর বের হলো র‌্যাব-১১-এর অধিনায়কসহ তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জড়িত থাকার কথা।

শুরুতে অভিযুক্ত র‌্যাব কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি করে পুলিশ। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার, তাদের নিজ নিজ বাহিনী থেকে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর গতি পায় মামলার তদন্ত। একে একে বেরিয়ে আসে অপহরণ, খুন ও লাশ গুমের কাহিনি এবং নেপথ্য কারণ।

ঘটনার সপ্তাহ দুয়েক পর প্রধান আসামি আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের একটি টেলিফোন কথোপকথন প্রকাশ পায়। যদিও ঘটনার পর থেকেই শামীম ওসমান টেলিভিশনের টকশোতে র‌্যাবকে দায়ী করে আসছিলেন। নূর হোসেন পালিয়ে যান ভারতে। পরে ২০১৪ সালের ১৪ জুন রাতে কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের কাছে কৈখালী এলাকার একটি বাড়ি থেকে নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। পরে ওই বছরের ১৮ আগস্ট নূর হোসেন, ওহাদুজ্জামান শামীম ও খান সুমনের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বারাসাত আদালতে চার্জশিট জমা দেয় বাগুইআটি থানা পুলিশ। ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ দমদম কারাগার কর্তৃপক্ষ নূর হোসেনকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করতে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। এরপর ১৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ আদালতে উপস্থাপন করা হয় নূর হোসেনকে।

আরওয়াই/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh