প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’র ৯ বছর
উপকূলীয়দের নিরাপত্তায় নেই কোনো উদ্যোগ
প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’র ৯ বছর পার হলেও ঝালকাঠি ও বাগেরহাটে এখনো তৈরি হয়নি বেড়িবাঁধ। উপকূলীয় অনেক এলাকায় নেই সাইক্লোন সেন্টারও। আর লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী সিডর-ক্ষতিগ্রস্তরা আজো পাননি কোনো সহায়তা।
২০০৭ এর ১৫ নভেম্বর সাইক্লোন সিডরের আঘাতে লন্ডভণ্ড হয় উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠি। ১০ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিষখালী নদীর পাশের আমুয়া ইউনিয়ন। এখানকার মানুষের নিরাপত্তায় ৯ বছরেও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।তৈরি হয়নি বেড়িবাঁধ। নতুন কোনো ঘুর্ণিঝড়ে আশ্রয়ের জন্য সাইক্লোন শেল্টারও হয়নি। এসব অভিযোগ করলেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
সিডরে প্রাণ হারান বাগেরহাটের শরনখোলার সহস্রাধিক মানুষ। জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত হয় এ উপজেলার ৭০ কিলোমিটার বাঁধ। এতদিনেও সেসব বাঁধ পুন:নির্মাণ করা হয়নি। সম্প্রতি কেবল শুরু হয়েছে তৈরি কাজ। দুর্গত এলাকার মানুষের দাবি, দ্রুত যেন এ বাঁধ তৈরি শেষ করা হয়।
এদিকে, সিডরের ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগজারিয়া ও তেলির চরের ঘরবাড়ি হারানো ক্ষতিগ্রস্তরা পাননি কোনো ধরণের সরকারি সহায়তা। যদিও দেরিতে হলেও পুনর্বাসনের আশ্বাস দিলেন ত্রাণ কর্মকর্তা।
ডিএইচ
মন্তব্য করুন