• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হলুদিয়া হুমায়ূন

নিউজ ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৩ নভেম্বর ২০১৬, ১০:০৪

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৬৮তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণার কুতুবপুরে জন্ম নেন বাংলা সাহিত্যের একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার ও চলচিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ। তার ‘নন্দিত নরকে’, ‘মিসির আলী’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘এই সব দিনরাত্রি’, ‘বহুব্রীহি’, ‘হিমু’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’ কারো অজানা নয়। সাহিত্যে অবদান রাখায় হুমায়ূন আহমেদ পান একুশেপদক, বাংলা একাডেমি ও জাতীয় চলচ্চিত্রসহ অসংখ্য পুরস্কারে।

হুমায়ূন আহমেদ নামটি সবার মাঝে জায়গা করে নিয়েছে তার অনন্য সৃষ্টি দিয়ে। বাবার চাকরির সুবাদে শিক্ষা জীবন পার করেন বিভিন্ন স্থানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক ও স্নাতক সম্মান ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি লাভ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু করেন শিক্ষকতা। হাস্যরসে জ্ঞানদানে রসায়ন ক্লাসে শিক্ষার্থী মহলে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল অসাধারণ। লেখালেখির অভ্যাস তার ছোটবেলা থেকেই। ১৯৭২ সালে ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশনার মধ্যদিয়ে বাংলা সাহিত্যে বিচরণের আভাস দেন হুমায়ূন।

তারপর একে একে প্রকাশিত হতে থাকে ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক। ‘লীলাবতী’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘কৃষ্ণপক্ষ’, ‘বহুব্রীহি’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘দারুচীনি দ্বীপ’, ‘শুভ্র’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘আগুনের পরশমনি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ এমন অসংখ্য লেখা পাঠকদের মন কাড়ে।

১৯৮৩ সালে ‘প্রথম প্রহর’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত নাটক হুমায়ূন আহমেদকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তুলে। এরপর দর্শকদের তিনি একে একে উপহার দিতে থাকেন ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘বহুব্রীহি’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘আজ রবিবার’র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক। ‘বহুব্রীহি’ নাটকের সংলাপ ‘তুই রাজকার’ তখন সবার মুখে মুখে স্থান করে নেয়।

‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে বাকের ভাই চরিত্র সৃষ্টিতে হুমায়ূন আহমেদের দক্ষতা দর্শকদের ধরে রেখেছিল টিভি সেটের সামনে। এ লেখক উপহার দিয়েছেন ‘হিমু’র মতো ভিন্ন ধর্মী চরিত্রও।

বইয়ের পাতা কিংবা ছোট পর্দায় নয়, হুমায়ূন আহমেদের শিল্পকর্মের যাদু ছড়িয়ে পড়তে থাকে চলচ্চিত্রাঙ্গনেও। ‘আগুনের পরশমনি’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথার’ মতো চলচ্চিত্র তারই প্রমাণ।

২০১২ সালের ১৯ জুলাই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যন্য লেখক হুমায়ূন আহমেদ।

‘হিমু পরিবহন’ নামের হুমায়ূন ভক্ত সংগঠনের সদস্যরা তার ৬৮তম জন্মদিন উদযাপন করছে ভিন্ন কায়দায়। সংগঠনটির একদল হিমু, হলুদ পাঞ্জাবী গাঁয়ে, পায়ে হেঁটে রওনা হন গাজীপুর নুহাশ পল্লীর উদ্দেশে। আর হিমুদের চলার পথে সঙ্গে রয়েছে হুমায়ূনের আরেক বিখ্যাত চরিত্র রূপারা। ক্যানসার সচেতনতামূলক লিফলেট বিলি করতে করতে ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় এলাকা থেকে সকালে রওনা হয় দলটি।

রাত ১২টা ১ মিনিটে হুমায়ূন আহমেদের বাসায় তার পরিবারের সদস্যরা কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন। বেলা ২টায় চ্যানেল আই চেতনা চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে ‘পঞ্চম হিমু মেলা’। মেলার উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেবেন হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্য মেহের আফরোজ শাওন ও দুই ছেলে এবং বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বিকেল সাড়ে ৪টায় হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের প্রায় ৫০টি জেলায় হিমু পরিবহনের সদস্যরা মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে।

এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh