ইজতেমায় মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত র্যাব
শুক্রবার বাদ ফজর টঙ্গীতে শুরু হতে যাওয়া ইজতেমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত এবং দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত বলে জানালেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক(এডিজি) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গীতে ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এই কথা জানান।
আনোয়ার লতিফ খান জানান, ইজতেমায় লাখো মুসল্লির নিরাপত্তায় র্যাবের আড়াইশ’ সদস্য প্রস্তুত রয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে মনিটরিং করা হবে। সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করবে তারা।
তিনি জানান, বিশ্ব ইজতেমায় জল, স্থল ও আকাশ পথে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বোম ডিস্পোজাল এবং ডগ স্কোয়াড ইউনিট মোতায়েনের পাশাপাশি ইজতেমা মাঠে এবং মাঠের কয়েকটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, ১০টি ওয়াচ টাওয়ার এবং সিসি টিভি স্থাপন করা হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, র্যাব সিসিটিভি’র মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। প্রধান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় এবং ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তার বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।
এ বিষয়ে তিনি আরো জানান, তুরাগ নদীতে র্যাবের দুটি স্পিডবোট টহল দেবে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হেলিকপ্টার ইজতেমা মাঠের আকাশে টহল দেবে।
মুসল্লিরা অসুস্থ হলে র্যাব সদস্যরা তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে উল্লেখ করে আনোয়ার লতিফ খান জানান, যদি কোনো মুসল্লি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তবে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থাও থাকছে। মুসল্লিদের চিকিৎসায় মেডিকেল সেন্টার খোলা হয়েছে। সেখানে ডাক্তারদের পরামর্শের পাশাপাশি থাকছে ফ্রি পর্যাপ্ত ওষুধের সুবিধা।
দুই দফায় অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম দফা ১২ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফা ১৯ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি হবে।
বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম ধাপে ১৪ জেলা এবং দ্বিতীয় দফায় ১৪ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকা জেলার মুসল্লিরা দুই দফায়ই অংশ নেবেন। বাকি ৩৭ জেলার মুসল্লিরা নিজ নিজ জেলায় আঞ্চলিক ইজতেমায় অংশ নেবেন।
প্রথম দফায় অংশগ্রহণকারী জেলাগুলোর মধ্যে হল- ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, গাইবান্ধা, শেরপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, নড়াইল, মাগুরা, পঞ্চগড়, নীলফামারী ও নাটোর।
আরও পড়ুন
এসএস/কে
মন্তব্য করুন