• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০২ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:৪৮

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস। প্রায় ১ হাজার ৪০০ বছর আগে এই দিনে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। সারাদেশে জাতীয়ভাবে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা আলাদা আলাদা বাণী প্রদান করেছেন। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান শুক্রবার বাদ আসর বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন।

একটা সময় গোটা আরব জাহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। সেই যুগকে বলা হতো আইয়্যামে জাহেলিয়াত। তখন মানুষ মারামারি আর হানাহানিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করতো। এ অন্ধকার থেকে মানুষদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তায়ালা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে পাঠান।

এই মহামানব প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির ললিত বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

ইসলাম ধর্মমতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতের সিলসিলায় শেষ নবী। তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। এরপর বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও শান্তির পথে আহ্বান জানান। সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি। এরপর মহানবী (সা.) দীর্ঘ ২৩ বছর এ বার্তা প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকারি, আধাসরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতীয় পতাকা ও ‘কালিমা তায়্যিবা’ খচিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইটপোস্টে প্রদর্শনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাতে সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

সারাদেশে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসরকারি সংস্থাসমূহে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার দিবসটির যথাযোগ্য গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

এসএস /এএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh