মানবতাবিরোধী অপরাধ
ঘোড়ামারা আজিজসহ ৬ জনের রায় বুধবার
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সাবেক এমপি ও জামায়াত নেতা আবু সালেহ মুহম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় জনের রায় বুধবার (২২ নভেম্বর)।
আজ (মঙ্গলবার) সকালে বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করেন।
দ্বিতীয় দফা যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গেলো ২৩ অক্টোবর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, হত্যা, আটক, অপহরণ, লুণ্ঠন ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই ছয় আসামির বিরুদ্ধে।
অন্য আসামিরা হলেন- মো. রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু, মো. আব্দুল লতিফ, আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী, মো. নাজমুল হুদা, এবং মো. আব্দুর রহিম মিঞা।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এটি হবে ট্রাইব্যুনালের ২৯তম রায়।
গেলো বছর ২৮ জুন তিনটি অভিযোগ (চার্জ) আমলে নিয়ে এই ছয় আসামির বিচার শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের মধ্যে লতিফ ছাড়া সবাই পলাতক।
প্রসিকিউশন পক্ষে চুড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ও ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
অপরদিকে পলাতক পাঁচ আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম এবং আবদুল লতিফের পক্ষে খন্দকার রেজাউল করিম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
এর আগে প্রসিকিউশন পক্ষে ১৫ জন ট্রাইবহ্যৃনালে সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষে কেউ সাফাই সাক্ষ্য দেয়নি।
২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর আজিজসহ এই ছয়জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়।
তদন্তের পর ৮৭৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা, এতে ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একাত্তরের ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর বর্তমান গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান আসামিরা।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল আজিজ মিয়া ২০০১ সালে চার দলীয় জোটের অধীনে জামায়াত থেকে গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ-১ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন।
জেএইচ
মন্তব্য করুন