• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আদালতের রায়, বাড়ি পাচ্ছেন না মওদুদ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৪ জুন ২০১৭, ১১:০৬

বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১৫৯ নম্বর প্লটের বাড়িটি পাচ্ছেন না।

বাড়ি নিয়ে করা মামলায় আপিল বিভাগের দেয়া রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনটি রোববার খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।

গেলো ৩১ মে শুনানি শেষ রায়ের জন্য রোববার দিন ধার্য ছিল।

এদিকে এ রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি বাড়ি ছাড়ব না। এটা আমার এবং মালিকের বিষয়। এটা সরকারের কোনো বিষয় নয়।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে রোববার সকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

গেলো বুধবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গুলশানের বাড়ির মালিকানা নিয়ে চলমান মামলার দুদক ও মওদুদের রিভিউ শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আসছে ৪ জুন রায়ের দিন ঠিক করেন।

আদালতে মওদুদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

গেলো বছর ২ আগস্ট ২০১৬ রাজধানীর গুলশানের একটি বাড়ি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ভাই মঞ্জুর আহমেদের নামে মিউটেশন করার জন্য দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউকের করা আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই বাড়ি নিয়ে মওদুদ আহমেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলাটিও বাতিল করে দেন আদালত।

এক আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ১২ আগস্ট ওই বাড়িটি মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন করার জন্য হাইকোর্ট রায় দেয়। রাজউক এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি লিভ টু আপিল দায়ের করে। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ আপিল বিভাগ রাজউককে আপিলের অনুমতি দেয়।

২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাড়িটি নিয়ে দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ রাজধানীর গুলশান থানায় মওদুদ আহমদ ও তার ভাই মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অবৈধভাবে বাড়ি দখল ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৪ সালের ১৪ জুন এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেয় বিচারিক আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ হাইকোর্টে আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ২৩ জুন দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ আমলে নিয়ে বিশেষ জজ আদালতের আদেশ বৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট।

আর/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh