• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আন্ডারপাস কার দখলে? (ভিডিও)

মিথুন চৌধুরী

  ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:২৭

সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও রাস্তা পারাপার সহজ করতে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোয় ফুটওভার ব্রিজ ছাড়াও তৈরি করা হয় আন্ডারপাস।

রাজধানীতে আন্ডারপাস রয়েছে তিনটি। যা গুলিস্তান, কারওয়ানবাজার ও গাবতলীতে নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে গুলিস্তানের আন্ডারপাসটি পুরোদমে ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেট হয়ে গেছে। যা চলে গেছে ব্যবসায়ীদের দখলে।

আর কারওয়ান বাজার ও গাবতলী আন্ডারপাস দু’টি টোকাই, বাস্তুহারা, ছিনতাইকারী ও মাদকাসক্তদের দখলে। আন্ডারপাসগুলোতে নেই কোনো রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা।

পাশাপাশি পকেটমার, ছিনতাইকারী ও বখাটেদের অভায়ারণ্য হয়ে উঠেছে। সেগুলো অতি প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই ব্যবহার করতে চান না আন্ডারপাস।

এদিকে আন্ডারপাসগুলোতে নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হন- এমন অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর আন্ডারপাসগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের পাশে গুলিস্তান আন্ডারপাস। এতে ৮ টি প্রবেশ ও বাহির পথ রয়েছে। যাতে বিভিন্ন দিক থেকে আসা লোকজন চলাচল করতে পারেন। তবে আন্ডারপাসটি পুরোপুরি ব্যবসায়িক কেন্দ্রে রূপ নিয়েছে।

আন্ডারপাসের ভেতরে বরাদ্দ দেয়া বিভিন্ন দোকানের মালামাল চলাচলের পথের ওপর রাখার কারণে পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়েই পারাপার হচ্ছেন তারা।

এদিকে বেশ কয়েকটি প্রবেশপথে ভবঘুরেদের ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। যারা সুযোগ পেলেই পকেট কেটে নিচ্ছেন পথচারিদের। তাই সাধারণ মানুষ আন্ডারপাস ব্যবহার না করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওপর দিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। এছাড়া আন্ডারপাসটির ভেতর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও তা বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকে।

গাবতলী আন্ডারপাসটি বাস টার্মিনালের সামনেই স্থাপিত। এখান দিয়ে মানুষ পারাপারের কোনো অবস্থাই নেই। গাবতলীর আন্ডারপাসে বিরাজ করছে রীতিমতো ভুতুড়ে অবস্থা।

নিরাপত্তা না থাকায় দিনের আলো নিভে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিনতাইকারী, চোর আর ভাসমান যৌনকর্মীদের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয় এ আন্ডারপাস। প্রবেশমুখগুলো মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। ফলে ভয়ে যাত্রী ও পথচারিরা আন্ডারপাসটি ব্যবহার না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ততম রাস্তা দিয়েই পারাপার হন।

কারওয়ানবাজারের আন্ডারপাসটি গাবতলী আন্ডারপাসের তুলনায় কিছুটা ভালো হলেও এতে বেড়েছে যৌন হয়রানী ও মাদকাসক্তদের উৎপাত। এটি নান্দনিক ও সুন্দর রূপে গড়ে তোলা হয়েছিল। নাম দেয়া হয় প্রজাপতি গুহা। আন্ডারপাসের ভেতরে দেয়ালে এবং ঢোকার রাস্তায় লাগানো আছে হরেক রকমের প্রজাপতি। পাশাপাশি বসানো হয় লাইটিং, বড় মনিটরের টিভি, সর্বক্ষণ সিকিউরিটি, সিকিউরিটি ক্যামেরা, বিশাল আকারের সব ছবির ফ্রেম, ময়লার ঝুড়ি।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে উদাও হয়ে গেছে বড় মনিটরের টিভি ও অধিকাংশ প্রজাপতি। ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ছে চুন। ব্যবস্থাপনায় নেই কোনো তদারাকি। চোখে পড়ে না কোনো নিরাপত্তা কর্মী। পুরো আন্ডারপাসজুড়ে মাদকসক্ত ও হকার-ভিক্ষুকের দখল থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় বাধ্য হয়েই রাস্তা পারাপার হতে দেখা যায় অনেককেই। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর অনেকটা ভুতুড়ে এই আন্ডারপাসে মানুষ যাতায়াত করে না বললেই চলে।

এমসি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh