ট্রাম্প নট মাই প্রেসিডেন্ট
এবারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নানা দিক থেকে আলোচিত - সমালোচিত।
নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প-হিলারি কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি। নির্বাচনের পর হিলারি অবশ্য ফল মেনে নিয়েছেন। এক সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন। ট্রাম্প বলেছেন সবাইকে নিয়ে কাজ করার কথা।
তারপরও থেমে থাকেনি একটি পক্ষ। নেমেছে বিক্ষোভে।
নানা জরিপে এগিয়ে ছিলেন হিলারি। শেষ পর্যন্ত জয় লাভ করলেন ট্রাম্প।
এ জয় মেনে নিতে পারছে না দেশটি কিছু মানুষ। তারই বহিঃপ্রকাশ বিক্ষোভ।
নানা প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রতিবাদী এসব বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে ট্রাম্পবিরোধী আওয়াজ উঠেছে।
সমাবেশ হয়েছে সানফ্রান্সিসকো, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, শিকাগো, সিয়াটল, টেক্সাস, ফিলাডেলফিয়াসহ কয়েকটি রাজ্যে।
জেএইচ
মন্তব্য করুন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন / জরিপে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ট্রাম্প
চলতি বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ৭টি অঙ্গরাজ্যের ৬টিতেই জনপ্রিয়তায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপের ফলাফলে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, নেভাদা এবং নর্থ ক্যারোলিনায় ২ থেকে ৮ শতাংশ পয়েন্টে বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। তবে উইসকনসিনে বাইডেন এগিয়ে রয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাজে ওই ছয়টি অঙ্গরাজ্যের নাগরিকরা অসন্তুষ্ট। এ ছাড়া অর্থনীতির গুরুতর অবস্থাও তার জনপ্রিয়তা কমার কারণ। জরিপের এসব অঙ্গরাজ্যে প্রার্থী হিসাবে তৃতীয় পক্ষ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের রাখা হয়। এ ছাড়া শুধু বাইডেন ও ট্রাম্পকে রেখে করা জরিপেও একইরকম ফল দেখা গেছে।
রিয়েলক্লিয়ার পলিটিকসের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত সব জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে ট্রাম্প এবং বাইডেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বাইডেনের তুলনায় গড়ে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।
৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল নিউইয়র্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও আশপাশের অঞ্চলে আঘাত হেনেছে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নিউইয়র্ক।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, নিউইয়র্কের ৪০ মাইল উত্তরের নিউ জার্সির লেবানন নামক এলাকায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছিল।
আজ সকালে নিউইয়র্ক সিটির অসংখ্য মানুষ কম্পন অনুভব করেন। ওই সময় অনেক বাড়ি ঘর কেঁপে ওঠে। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় এটি একটি ভূমিকম্প ছিল।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল মাইক্রো ব্লগিং সাইটে ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এক্সে লিখেছেন, “পূর্ব ম্যানহাটনে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এবং এটি পুরো নিউইয়র্কে অনুভূত হয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না সেটি নিরূপণ করছে আমার দল। আমরা এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে আরও অবহিত করব।”
সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, তারা এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পায়নি।
পূর্ব উপকূল এবং নিউইয়র্ক সিটিতে ভূমিকম্পের আঘাত এই প্রথম নয়। ২০১১ সালে, ভার্জিনিয়ায় একটি ৫ দশমিক 8 মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ১৮৮৪ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে একটি ৫ দশমিক 0 মাত্রার ভূমিকম্প পরিমাপ করা হয়েছিল। সূত্র : সিবিএস নিউজ
মুন্সীগঞ্জে হত্যাকাণ্ড ঘটানো মার্কিন নাগরিক নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার
বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে হত্যাকাণ্ড ঘটানো যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক গেনেট রোজারিওকে (৫২) নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় অভিযুক্ত নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসের ওই বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ফৌজদারি শাখার প্রধান ও মুখ্য উপসহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিকোল এম আর্জেন্টিয়েরি এক বিবৃতিতে বলেছেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিককে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, গেনেট রোজারিও ২০২১ সালের ১১ জুন বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় মাইকেল রোজারিও নামে অপর এক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিককে হত্যা করেন। তার বিরুদ্ধে বিদেশে একজন মার্কিন নাগরিককে হত্যা ও সশস্ত্র সহিংসতার সময় আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখা, বহন ও ব্যবহারের বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
মুখ্য উপসহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিকোল এম আর্জেন্টিয়েরি বলেন, বিদেশে এক জন আমেরিকান নাগরিক অপর এক আমেরিকান নাগরিককে হত্যা করলে তাকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১১ জুন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের খ্রিস্টানপল্লী কেয়াইন ইউনিয়নের শুলপুর গ্রামে মাইকেল রোজারিও (৭২) নামে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীকে গুলি করে হত্যা করেন তার ভাতিজা গেনেট রোজারিও। ওই রাতেই স্থানীয় পুলিশ গেনেট রোজারিওকে বন্দুক ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেন। পরে গেনেট রোজারিও আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান।
কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচি ঘোষণা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পানিবাহিত রোগ কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
ডব্লিউএইচও’র হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর ২০২৩ সালে সেটি প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ৭ লাখ আক্রান্ত হয়েছিল। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত রয়েছে। এজন্য কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ডব্লিউএইচও।
কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। প্রাথমিকভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে
এসব সরঞ্জাম পাঠানো হবে।
আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকারবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল বৈশ্বিক এই কর্মসূচিতে অংশীদার হিসেবে কাজ করবে বলে জানায় ডব্লিউএইচও।
স্ত্রীকে ২০০ টুকরা করার পর সুবিধা জানতে গুগলের দ্বারস্থ যুবক
নিকোলাস মেটসন। যুক্তরাষ্ট্রের নেবরাস্কার অধিবাসী ২৮ বছর বয়সী এক যুবক। এক বছর আগে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হন তিনি। সম্প্রতি আদালতে সেই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন লিংকন শহরের এই বাসিন্দা। তার বয়ানে উঠে এসেছে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক এক বর্ণনা।
লিংকন ক্রাউন কোর্টে দেওয়া ওই বয়ানে জানা যায়, গত বছরের মার্চে স্ত্রী হলি ব্রামলিকে ২০০ টুকরা করে হত্যা করেন মেটসন। এরপর টুকরোগুলো বস্তাবন্দি করে রান্নাঘরে রেখে গুগলে সার্চ করেন বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর। এর মধ্যে একটি প্রশ্ন ছিল- ‘আমার স্ত্রী মারা গেলে আমি কী সুবিধা পাব?’ আরেকটি প্রশ্ন ছিল- ‘মৃত্যুর পর কেউ কি ভূত হয়ে তাড়া করতে পারে?’
পরে ব্রামলির মরদেহের টুকরাগুলো ফেলে দেওয়া হয় উইথাম নদীতে। আর এ কাজে অর্থের বিনিময়ে জোসুয়া হ্যানকক নামে নিজের এক বন্ধুকে কাজে লাগান মেটসন।
এর কয়েক দিন পরেই হলি ব্রামলির মরদেহের টুকরাগুলো পাওয়া যায় উইথাম নদীতে। এরপর মেটসন-ব্রামলি দম্পতির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশের সন্দেহ হয় বাড়ির অবস্থা দেখে। ফ্ল্যাটটিতে অ্যামোনিয়া এবং ব্লিচের তীব্র গন্ধ পেয়েছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া তারা বাথটাবে রক্তে ভেজা চাদর এবং মেঝেতে কালো দাগও খুঁজে পান। পরে মৃতের সঙ্গে মিলে যায় সেই রক্তের নমুনা।
জানা যায়, ২০২১ সালে হলি ব্রামলির সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন নিকোলাস মেটসন। যখন হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়, তখন ছাড়াছাড়ির পর্যায়ে ছিলেন এ দম্পতি।
নিজেকে যে কারও চেয়ে বেশি ইসরায়েলপন্থী দাবি ট্রাম্পের
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার ইহুদি ভোটব্যাংকের দিকে নজর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সেই লক্ষ্যে নিজেকে এবার অতীতের যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের তুলনায় বেশি ইসরায়েলপন্থী বলে দাবি করলেন তিনি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, বাইডেন শতভাগ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে।
রিয়েল আমেরিকাস ভয়েস নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যে ইহুদি ব্যক্তি বাইডেনকে ভোট দেয় সে ইসরায়েলকে ভালোবাসে না এবং খোলাখুলিভাবে তার সঙ্গে কথা বলা উচিত। ইহুদিদের বুঝতে হবে যে তারা বাইডেন বা ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিতে পারেন না; কারণ ডেমোক্রেটরা শতভাগ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। সত্যিই, এটা অবিশ্বাস্য যে ঐতিহাসিকভাবে ইহুদিরা ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেয়।
এরপরই ট্রাম্প দাবি করেন, এখন পর্যন্ত অন্য যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে তিনি অনেক বেশি ইসরায়েলপন্থী ছিলেন। এ সময় ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি প্রত্যাহার ও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এসব কেউ চায়নি; কিন্তু আমি না চাইতেই করে দিয়েছি।’
ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেওয়া ইহুদিদের খারাপ একটি অভ্যাস উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বুঝি না, কোনো ইহুদি কীভাবে ডেমোক্র্যাটদেরকে ভোট দেয়।’
সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
হোয়াইট হাউসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা হুমকি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হতে পারে এ সাক্ষাতে৷
মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসে জাপানের সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট৷ এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা৷ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন এবং উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পাওয়া হুমকি মোকাবিলায় জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করবেন দেশ দুটির দুই শীর্ষ নেতা৷ ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৬০ সালের পর সামরিক খাতে এবারই ওয়াশিংটন ও টোকিওর মধ্যে বড় ধরনের অগ্রগতি দেখা যাবে৷
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছেন, এই দুই নেতা আমাদের সামরিক বাহিনীর সমন্বয় ও একীকরণের বিষয়ে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর ঘোষণা দেবেন বলে আশা করছি৷
কিশিদার সফরে যা থাকছে স্ত্রী ইউকোকে নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন কিশিদা৷ তাই হোয়াইট হাউসে তাদের স্বাগত জানানোর সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দেখা গেছে ফার্স্ট লেডি জিলকেও৷
বুধবার রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আগে জিল বাইডেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের দেশগুলো এমন একটি বিশ্বের অংশীদার যেখানে আমরা ধ্বংসের বদলে সৃষ্টি, রক্তপাতের পরিবর্তে শান্তি এবং স্বৈরাচারের বদলে গণতন্ত্রকে বেছে নিই৷
বুধবার দেশ দুটির মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে৷ এরপর বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী৷ বৈঠক শেষে রোজ গার্ডেনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসবেন দুই নেতা৷
বৃহস্পতিবার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইনসের মধ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন জো বাইডেন৷ সেখানে উপস্থিত থাকবেন ফিলিপাইনসের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস৷ প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের পর দ্বিতীয় জাপানি নেতা হিসাবে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেবেন কিশিদা৷ এরপর তিনি যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে বিশেষ নৈশভোজে৷ গত বছরের আগস্টে সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন কিশিদা৷ সেবার সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল৷
গত মাসে জাপানের নিপ্পন স্টিলের কাছে ইউএস স্টিল বিক্রির বিরোধিতা করেছিলেন বাইডেন৷ এ ঘটনায় কিশিদার সঙ্গে তার সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল৷ যা এখন সম্পূর্ণ বদলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।