• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ত্রিপুরায় ফের লাল ঝাণ্ডা নাকি গেরুয়া বিপ্লব?

আহাম্মদ উল্লাহ সিকদার

  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৪:৩৪

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে ৫৯টিতে নির্বাচন হচ্ছে। একটি আসনের প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সেটিতে নির্বাচন হবে আগামী ১২ মার্চ।

এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে গেছে ত্রিপুরা। সকালে ৭টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ত্রিপুরায় গেলো ২৫ বছর ধরে ক্ষমতায় বামপন্থী সিপিআইএম। তবে এই নির্বাচনে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি ও তাদের সহযোগী উপজাতীয় দল আইপিএফটি’র জোট।

ত্রিপুরায় কমপক্ষে ১৯টি উপজাতি গোষ্ঠীর বাস হলেও রাজ্যে বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই নির্বাচন নিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ইরানে ৬০ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত
--------------------------------------------------------

তবে ত্রিপুরার সাম্প্রতিক রাজনীতি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি এবার কমিউনিস্টদের কাছ থেকে রাজ্যটি ছিনিয়ে নিতে চাইছে। তবে বামদের দুর্গ ভাঙা যে সহজ হবে না, সেটা বিজেপি স্বীকার না করলেও কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারণায় কিন্তু সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলছেন, বিজেপি এবারই রাজ্যটিতে সরকার গঠন করবে।

আসলে ত্রিপুরায় কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়া আর দুর্নীতি বন্ধ করতে সিপিআইএম সরকারের ব্যর্থতা কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। যদি এটাতে তারা সফল হয়, তাহলে একই অভিজ্ঞতা কেরালায়ও প্রয়োগ করবে বিজেপি।

বিজেপি না ফের সিপিআইএম?

এতো হিসাব নিকেশের পরও বলা যাচ্ছে না ত্রিপুরায় সরকার গঠন করবে কে? তবে লড়াইটা যে হাড্ডাহাড্ডি হবে সেটি নিশ্চিত করেই বলা যায়।

বিগত নির্বাচনে বিজেপি ভোট পেয়েছিল ২ শতাংশেরও কম। কিন্তু কংগ্রেস ও শাসক সিপিআইএম থেকে অনেকেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। ফলে রাজ্যে বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে।

এছাড়া কেন্দ্রের মন্ত্রীরাও গত এক বছরে নিয়মিত সফর করেছেন রাজ্যটিতে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে দুইবার ত্রিপুরায় এসে চারটি জনসভা করেছেন। দলটির অনেক শীর্ষ নেতাও এসেছেন।

কমিউনিস্টদের কী অবস্থা?

দীর্ঘ ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও খুব একটা স্বস্তি নেই সিপিআইএমের মধ্যে। নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটির প্রচারণাই এর প্রমাণ। নির্বাচনকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার একাই ৫০টির মতো সভায় বক্তব্য দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতের দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রীর খেতাব পাওয়া মানিক সরকার সৎ লোক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি দুর্নীতি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন। কয়েকদিন আগেই নির্বাচনী প্রচারণায় মোদীও মুখ্যমন্ত্রীর দিকে কামান দাগিয়েছেন। নাম উল্লেখ না করলেও তিনি বলেছেন, সাদা পাঞ্জাবি কালো দাগে ভরে গেছে। ইঙ্গিতটা যে মানিক সরকারের দিকেই ছিল সেটা কিন্তু সুস্পষ্ট।

আরও পড়ুন:

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ, ইসির নোটিশ
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিলে ভোট আজ
‘আমাকে কেনার মতো ধনী এখনও তারা হননি’
গাজা ও রাশিয়ায় পারমাণবিক বোমা ফেলার আহ্বান মার্কিন কংগ্রেসম্যানের 
X
Fresh