‘মোরা’ নিয়ে এনডিটিভিতে তথ্য বিভ্রাট
বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’আঘাত হানার পর এরই মধ্যে দুর্বল হতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি সিলেট হয়ে ভারতের মণিপুরে গিয়ে শেষ হবে। জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘মোরা’র খবর ফলাও করে প্রকাশ করেছে। তবে ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভির ওয়েবসাইটের একটি সংবাদে তথ্য বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
‘ঘূর্ণিঝড় মোরায় বাংলাদেশে মিয়ানমারের শরণার্থী ক্যাম্প ধ্বংস’ এ শিরোনামের সংবাদটিতে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি শ্রীলঙ্কায় চলমান বন্যার একটি ছবি।
ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে বিবিসি, সিএনএন, জিনহুয়া, আল-জাজিরাসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম নিউজ প্রকাশ করে। অন্যদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্থান টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মতো ভারতের গণমাধ্যমগুলো গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে।
সংবাদটির ওই ছবির ক্যাপশন হিসেবে আছে ‘বন্যায় প্লাবিত মাতারার একটি গ্রামের পাশের হাইওয়ে।’
মাতারা শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ প্রদেশের একটি জেলা। চলমান বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ওই অঞ্চলে।
রয়টার্সের বরাতে করা এনডিটিভির নিউজটিতে বলা হয়, বাংলাদেশে মিয়ানমারের মুসলিম জনগোষ্ঠি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কয়েকটি ক্যাম্প এ ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শামসুল আলম নামে এক নেতা্ বরাতে জানানো হয়, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ও কুতুপালংয়ের ক্যাম্পের বেশিরভাগ ঘর ভেঙ্গে গেছে।
এদিকে মঙ্গেলবার ভোরে প্রথম ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার ও ১১৪ কিলোমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন গতিবেগে আঘাত হেনেছে। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে। তারপর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
ওয়াই/এমকে
মন্তব্য করুন