ফ্রান্স নির্বাচনে কড়া নিরাপত্তা (ভিডিও)
ফ্রান্সে রোববার হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। একে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গেলো বৃহস্পতিবার প্যারিনে বন্দুকধারীর হামলায় পুলিশ সদস্য মারা যান। এরপর থেকেই দেশটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ফ্রান্সজুড়ে ৫০ হাজার পুলিশ ও ৭ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।
দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবার জন্য নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১১ জন প্রার্থী লড়াই করছেন।
পশ্চিমা বিশ্বে এখন টক অব দ্য টপিক এ নির্বাচন।
এর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি করে।
ফ্রান্স নির্বাচন আলোচিত হবার মূল কারণ, এতে উদারপন্থী নীতি ও মূলধারার রাজনীতির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে।
শীর্ষ প্রার্থীদের মধ্যে উগ্র-বামপন্থী থেকে উগ্র-ডানপন্থী মতবাদের প্রার্থী রয়েছেন।
প্রথম ধাপের ফলাফলে সবচে’ এগিয়ে থাকা দু’জন প্রার্থীকে নিয়ে ১৫ দিন পর ফের ভোটাভুটি হবে।
প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে গেলোবারের তুলনায় এবার উত্তেজনাও বেশি বলে জানান ফ্রান্সে দীর্ঘদিন বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী টি এম রেজা।
১১ জন প্রার্থীর মধ্যে চার জনের প্রেসিডেন্ট হবার সম্ভাবনা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা হলেন রক্ষণশীল প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া ফিলন, উগ্র-ডানপন্থী মারি লে পেন, উদার মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রন ও উগ্র-বামপন্থী জঁ-লুক মেলেশন।
এরই মধ্যে প্রার্থীরা ফ্রান্সে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। ইউরোপ, অভিবাসন এবং ফরাসি পরচিয় নিয়ে তাদের প্রত্যেকের চিন্তা-ভাবনা নাটকীয়ভাবে আলাদা।
তবে ইস্যু হিসেবে সাধারণ ফরাসিদের কাছে অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানান রেজা।
তিনি বলেন, ফ্রান্সে অন্যান্য অভিবাসীদের মতো বাংলাদেশি অভিবাসীরা প্রথাগতভাবে বামপন্থীদেরই ভোট দিয়ে আসছে।
ডিএইচ
মন্তব্য করুন