• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আ.লীগের কাছে ৭০ আসন চায় ১৪ দলের শরিকরা

সিয়াম সারোয়ার জামিল, আরটিভি অনলাইন

  ০৮ এপ্রিল ২০১৮, ১৪:০৩

ঘনিয়ে আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা আসন নিয়ে এখন থেকেই দরকষাকষি শুরু করেছে। তারা আগের চেয়ে বেশি আসন চান। এ নিয়ে শরিক নেতারা ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনিও শরিকদের আশ্বাস দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের কোনো বৈঠকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে আসন বণ্টনের বিষয়টি ওঠেনি। এ নিয়ে বিভিন্ন সমীকরণ চলছে। যেখানে আওয়ামী লীগ ও শরিকদলের প্রভাবশালী নেতা সেখানকার বিষয় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন জোটের নেতারা। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আগেই আলাপ আলোচনা করতে চাচ্ছে শরিক দলের নেতারা।

১৪ দলের শরিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনের আগেই আসন বণ্টনের বিষয়টি ‘ফয়সালা’ চায় তারা। মূলত গেল দুই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তাদের অনাস্থা তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা রাখছে। নির্বাচন এগিয়ে আসায় এ অনাস্থা জোটের ঐক্যে কিছুটা হলেও সংকট তৈরি করছে বলে মনে করছেন সংশ্নিষ্ট নেতারা। ১৪ দলের সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোতেও বিষয়টি তোলার চেষ্টা করেছেন শরিক দলগুলোর কোনো কোনো নেতা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শরিক সব দলই আগামী নির্বাচনের জন্য তাদের দলীয় প্রার্থীর তালিকাও ইতোমধ্যে তৈরি করে ফেলেছে। বেশিরভাগ দলই নিজস্ব প্রার্থীর তালিকার পাশাপাশি দরকষাকষির জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাও করে রেখেছে। জয়লাভের সম্ভাবনা বিবেচনায় এনেই এসব তালিকা করা হচ্ছে বলে দাবি শরিক দলগুলোর নেতাদের। সব মিলিয়ে ১৪ দলের শরিকরা আগামী নির্বাচনে অন্তত ৭০টি আসনের নিশ্চয়তা চাইছে। গেলো নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক দলগুলোকে মাত্র ১৬টি আসনে ছাড় দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ।

শরিক নেতারা জানান, ওয়ার্কার্স পার্টি আগামী নির্বাচনে অন্তত ১৫টি আসনে জোটের মনোনয়নের নিশ্চয়তা চাইছে। তবে দলের পক্ষে ৩০টি আসনের দলীয় প্রার্থী তালিকা তৈরি করে রাখা হয়েছে। দলের সভাপতি সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের ঢাকা-৮ ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার রাজশাহী-২ আসনসহ বর্তমান সংসদের নির্বাচিত দলীয় ছয় এমপির আসন তাদের প্রত্যাশায় অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

একইভাবে জাসদ সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কুষ্টিয়া-২ ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারের ফেনী-১ আসনসহ ১৫টি আসন চাইছে দলটি। জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পিরোজপুর-২ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলামের মাদারীপুর-৩ অথবা অন্য যে কোনো আসন এবং তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর চট্টগ্রাম-২ ও মহাসচিব এমএ আউয়ালের লক্ষ্মীপুর-১ আসনসহ ১৫টি আসনের দাবি তুলেছে এ দুই দল। জোটের আরেক শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার চট্টগ্রাম-১ আসনসহ অন্তত ছয়টি আসন চায়।

গণতন্ত্রী পার্টি দলের সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলীর সিলেট-১ আসনসহ ১০টির বেশি আসনে মনোনয়নের নিশ্চয়তা চায়। কমিউনিস্ট কেন্দ্র চাইছে দলের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. অসিতবরণ রায়ের জন্য দুটি আসন। এছাড়া ন্যাপ, গণআজাদী লীগ, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি এবং বাসদ (একাংশ) সহ শরিক অন্য দলগুলো মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে ‘যথাযথ মূল্যায়ন’ আশা করছে আওয়ামী লীগের কাছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহীর সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ১৪ দলীয় জোটে এখনও কোনো দলকে নির্দিষ্ট করে কোনো আসনে প্রার্থী করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নির্দেশনা আছে। তবে আমি নির্বাচনী আসনের বিষয়গুলো চূড়ান্ত করার পক্ষে। এতে নির্বাচনের ঠিক আগে ভুল বোঝাবুঝির শঙ্কা থাকবে না।

জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ১৪ দলের শরিক হিসেবে দলের ডিমান্ড জানানো হবে। দলের শক্তি আগের চেয়ে আরও বেড়েছে। পার্লামেন্টে এখন যে কয়টা আসন আছে, শক্তি বাড়বে। দলের বৈঠকে আলোচনা করে জোটের বৈঠকে চাহিদার কথা বলবো।

এ ব্যাপারে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। শরিক হিসেবে তারা তো নির্বাচনী আসন পাবেনই। নির্বাচনের আগে বৈঠক করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব কে কোথায় নির্বাচন করবেন।

এসজে/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভোটের ফলাফল নিয়ে ১৪ দলে বিরূপ প্রভাব পড়বে না : মেনন
X
Fresh