• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ নিয়ে তথ্যচিত্র

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৪ মার্চ ২০১৮, ১৩:৩৫

সময়টা তখন ১৯৭১। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচারে গণহত্যার ফলে প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়।

বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর ভরণ-পোষণ করতে গিয়ে ত্রাণ-সামগ্রীর অপ্রতুলতা দেখা দেয়। এসব দেখে চুপ থাকতে পারেননি বিশ্বখ্যাত সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্কর। এ নিয়ে মনঃকষ্টে ভুগছিলেন তিনি।

অন্যদিকে জর্জ হ্যারিসন নিজের রেকর্ডিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। বন্ধু ও শিক্ষক রবিশঙ্করকে বিষণ্ণ দেখে তার কারণ জানতে চান জর্জ হ্যারিসন। রবিশঙ্কর তখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও শরণার্থী বিষয়ে আলোচনা করেন। সেই সময়েই রবিশঙ্কর বাংলাদেশের জন্য তহবিল সংগ্রহে একটি কনসার্ট করতে চান। এই উদ্যোগে জর্জকে সাথে থাকার আহ্বান জানান।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: জুলফিকার রাসেল হাতে পেলেন মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড
--------------------------------------------------------

‘আই, মি, মাইন’ বইয়ে জর্জ হ্যারিসন লিখেছেন- আমার তখন মনে হলো এ কাজে আমার যুক্ত হওয়া উচিৎ। আমার আহ্বানে অনেকে সাড়া দিবে। বাংলাদেশের ঘটনাবলির ব্যাপারে আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। তারপর থেকেই আমাদের কনসার্টের জন্য বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, রিঙ্গো স্টার, লিওন রাসেল ও অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। বাংলাদেশের আর্থিক সাহায্যার্থে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে কনসার্টের আয়োজন করা হয়।

২৭ জুলাই সে কনসার্ট নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করেন জর্জ হ্যারিসন এবং পণ্ডিত রবিশঙ্কর। ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে সেই ঐতিহাসিক কনসার্টটি।

এ কনসার্টের পরিকল্পনা, বাংলাদেশের শরণার্থীদের নিকট তার অর্থ পৌঁছানোসহ সবকিছু তুলে ধরা হয়েছে ডকুমেন্টারিটিতে। সুজন আহমেদ-এর গ্রন্থনা ও প্রযোজনায় ‘যেভাবে দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে প্রচার হবে ২৫ মার্চ রোববার বিকেল ৫টায়।

এ বিষয়ে সুজন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানি হায়েনাদের দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিল্প-সংস্কৃতির মানুষরাও আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। পণ্ডিত রবিশঙ্কর এবং জর্জ হ্যারিসন তাদের মধ্যে অন্যতম। এ ডকুমেন্টারির উদ্দেশ্য হলো তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তাদের অবদানকে তুলে ধরা। শিল্পমনা মানুষ সবসময় নিপীড়িত মানুষের পক্ষে অবস্থান নেয়। পৃথিবীর সকল শিল্পী এবং সকল নির্যাতিত মানুষের হৃদয় এক- এই কনসার্টটি তার প্রমাণ।

আরও পড়ুন:

এম/কেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh