‘সস্তা খ্যাতির আশায় ফাঁদে পা দেয়’

অভিনেত্রী প্রিয়া ডায়েজ দীর্ঘদিন ধরেই প্রবাসে বসবাস করছেন। দূরে রয়েছেন মিডিয়া থেকে। ব্যস্ত আছেন সংসার নিয়ে। শোবিজের এক সময়ের জনপ্রিয় এই তারকা অভিনেত্রী ফেসবুকের ফেক আইডি নিয়ে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করলেন নিজের ফেসবুক পোস্টে। শনিবার দুপুরে এনিয়ে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রিয়া।

সেখানে একটি মেয়ের আইডির স্ক্রিনশট দিয়ে প্রিয়া লিখেছেন, প্রায় প্রতিদিনই এরকম কিছু ফেক মেয়ে মডেলের কাছ থেকে রিকোয়েস্ট পাই, যাদের মিউচুয়াল ফ্রেন্ড থাকে কয়েকশ। এই কয়েকশ মিউচুয়ালেরা প্রায় সবাই বিভিন্ন ছেলে ফটোগ্রাফার কিংবা উঠতি ছেলে মডেল।

এই প্রোফাইলও তার ব্যতিক্রম নয়। যে ধরনের অসুস্থ মানুষ এমন প্রোফাইল খোলেন, তাদের কথা না হয় অন্যদিন বলা যাবে কিন্তু পর্নোস্টার কিংবা অশ্লীল ছবিযুক্ত মেয়ের প্রোফাইল দেখলেই ফেসবুকে অ্যাড করা মানুষদের প্রতি এক বুক ঘৃণা।

তিনি আরো লিখেছেন, বিবেক বিচারের অভাবে তারা নিজের অজান্তেই নিজের নোংরা মনের কথা সবাইকে জানান দিয়ে দেয়। এসব গর্ধভ নোংরা মডেল এবং ভুঁইফোঁড় ফটোগ্রাফারকেই আবার কদিন পর পর তাদের তোলা স্থুল-অশ্লীল তথাকথিত মডেলিং ছবি নিয়ে প্রশ্ন করলেই বলতে শুনি বড় বড় আর্টের কথা, সবখানে যৌনতা টেনে না আনার কথা।

তবে ভেতরে ভেতরে যে এরা কতটা নিচু মনের, এসব কাজেই তা প্রকাশ হয়ে যায়। উঠতি মডেলদের জন্য আমার পরামর্শ এসব চোখ এবং ক্যামেরা দিয়ে ধর্ষণ করা লোকেদের এবং ভুঁইফোঁড় অনলাইন সংবাদের সাংবাদিকদের কাছ থেকে দূরে থাকতে।

প্রিয়া লিখেছেন, আর যদি জেনেশুনে কেও এসব সস্তা খ্যাতির আশায় ফাঁদে পা দেয়, তাদের নিয়ে কিছু বলার নেই। সর্বোচ্চ দু-চার বছর পর এমনিতেই এর আগের এসব স্থুল মডেলদের মতই দুরবস্থা অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।কারা কারা মিউচুয়াল আছে, তাদের নাম আর প্রকাশ করলাম না, আশা করি নিজে নিজেই সংশোধন হয়ে যাবেন।

২০০৯ সালে স্বামী টনি ডায়েস ও একমাত্র মেয়ে অহনাকে নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমান প্রিয়া। সেখানে বেশ সুখেই কাটছে তাদের দাম্পত্য জীবন।

এম/সি