• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পর্নোগ্রাফির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন কুসুম শিকদার

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:২৭

দেশীয় শোবিজের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম শিকদারের ‘নেশা’ মিউজিক ভিডিওর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কুসুম বলেন, গানটিতে কোনো শয্যাদৃশ্য কিংবা চুম্বনের দৃশ্য নেই।

তবে মিউজিক ভিডিওতে সুইমিং পুলের দৃশ্য কিংবা কয়েকটি স্বাভাবিক অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকলেও সেগুলোকে অশ্লীল অথবা বেআইনি হয়েছে মনে করেন না তিনি।

কুসুম শিকদারের নিজের লেখা এবং গাওয়া গানের মিউজিক ভিডিও ‘নেশা’র বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির অভিযোগে রোববার ঢাকার একটি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় কুসুম শিকদারসহ আরো ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে আগস্ট মাসে গানটি রিলিজ হবার পরই অশ্লীলতার অভিযোগ তুলে এর বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান একজন আইনজীবী।

কুসুম দাবি করেছেন, মিউজিক ভিডিওতে কোনো শয্যাদৃশ্য কিংবা চুম্বনের দৃশ্য নেই। তবে সুইমিং পুলে গোসলের দৃশ্য কিংবা কয়েকটি অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকলেও সেগুলোকে তিনি অশ্লীল অথবা বেআইনি হয়েছে বলে মনে করেন না।

‘লালটিপ’ খ্যাত এ নায়িকা আরো বলেন, বাংলাদেশ আইন মেনেই গানের দৃশ্যায়ন বা শুটিং করা হয়েছে, এবং নিয়ম মেনেই সেটি ইউটিউবের বঙ্গবিডি নামক চ্যানেলে প্রচার করা হয়েছে।

মামলা বিষয়ে তিনি এখনো আদালতের কোনো নোটিশ পাননি। গণমাধ্যম দেখে জেনেছেন। এর আগে লিগ্যাল নোটিশ পেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দিয়েছিলেন। এখন যেহেতু মামলা হয়ে গেছে, ফলে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

এদিকে, মামলার বাদী সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী খন্দকার নাজমুল আহসান বলেছেন, মিউজিক ভিডিওটিতে অপ্রাসঙ্গিক এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে রগরগে দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এ ধরনের অশ্লীল ভিডিও তৈরি এবং প্রকাশনা পর্নোগ্রাফির নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, নেশা ভিডিওটি শুরুই হয় চোখে আমার তোমার নেশা। শ্বাসে আমার তোমার নেশা। সারা দেহে তোমার নেশা। রগে রগে তোমার নেশা। তোমায় পান করে....জ্ঞান হারাই, হই মাতাল- এমন উত্তেজক কথার আবৃত্তি দিয়েই।

মূল গানটি বিচ্ছেদ ধাঁচের। তাতে প্রিয়জন হারানোর বেদনা প্রকাশ পেয়েছে। অথচ দৃশ্যায়নে অহেতুক ও অপ্রাসিঙ্গকভাবে জুড়ে দেয়া হয়েছে একের পর এক আপত্তিকর, যৌন উত্তেজক ও অশ্লীল দৃশ্য।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ভিডিওটিতে ৫টি শাওয়ারের দৃশ্য, ৭টি সুইমিং পুলের দৃশ্য, ১টি শয্যাদৃশ্য ও ৩টি চুম্বন দৃশ্যসহ অনেক শিল্পগুণবর্জিত যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী অশ্লীল অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন দৃশ্য রয়েছে। যার সঙ্গে গানের থিম বা বক্তব্যের কোনো মিল বা সংযোগ নেই। নেই কোনো শিল্পগুণের সঙ্গে সম্পর্ক।

দ্রুত জনপ্রিয় করার সস্তা রাস্তা হিসেবে কাটপিসের মতো ওইসব দৃশ্য সংযোজন করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওটির কভার ছবিও অত্যন্ত অশ্লীল এবং অরুচিকর। এ ধরনের যৌন উত্তেজক, কাটপিস স্টাইল মিউজিক ভিডিও কেবল মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি নয়; গোটা সমাজ, পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য অশনি সংকেত।

মামলায় গানটির গায়িকা ও মডেল কুসুম শিকদার ছাড়াও সহ-মডেল খালেদ হোসাইন সুজন, ভিডিওটির পরিচালক শুভ্র খান ও শ্রাবণী এবং ভিডিও প্রকাশক প্রতিষ্ঠান বঙ্গ (স্টেলার ডিজিটাল লি.)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়। বিবিসি বাংলা।

এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আহমেদ রুবেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তারকারা
X
Fresh