• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘রপ্তানিতে চাপ সৃষ্টির জন্যই অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের তদারকি’

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:৫৪

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির উপর চাপ সুষ্টির জন্যই অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের তদারকি বলে জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর ক্রেতাদের সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এরপরও ক্রেতারা অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স দিয়ে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করেছে’।

দুই দিনব্যাপী ব্যবসা ও অর্থনীতি বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রথমদিন সোমবার সন্ধ্যায় এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। ঢাবির ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে গ্রিন ফ্যাক্টরিতে রূপান্তর করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল বিশ্বের যে ১০টি তৈরি পোশাক কারখানাকে এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেট দিয়েছে, তার মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়সহ সাতটি ফ্যাক্টরিই বাংলাদেশের।

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০২১’ সফল করতে সরকার দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করছে। এর প্রায় ৮১ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে’।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০২১ সালে দেশের মোট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আসবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ কারণেই আমাদের তৈরী পোশাক রপ্তানির উপর এতো চাপ।

আন্তর্জাতিক রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ পেপারলেস ট্রেড করার সক্ষমতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব। এজন্য ব্যবসায়ীরা বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন, কিন্তু পোশাকের দাম বাড়েনি বরং ইউরোর অবমূল্যায়নের ফলে মূল্য কম পাওয়া যাচ্ছে। অথচ পণ্যের রপ্তানি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে’।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাছ থেকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি রপ্তানি বাণিজ্য সুবিধা পাবার কথা। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নসহ অনেক উন্নত দেশ এ সুবিধা প্রদান করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এ সুবিধা দেয় না। ডিউটি দিয়ে বাংলাদেশ সেখানে রপ্তানি বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।

বৈঠকে সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়াসহ ১৩ টি দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি ও যাত্রী পারাপার বন্ধ
যুক্তরাষ্ট্রের তুলায় উৎপাদিত পোশাকের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা চায় ঢাকা
শ্রীপুরে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ 
X
Fresh