লক্ষ্মীপুরে অটোরিকশা সাত হাজার, লাইসেন্সধারী মাত্র ২৬টি (ভিডিও)
লক্ষ্মীপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার কারণে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। লাইসেন্স নেই বেশির ভাগ চালকের। অন্যদিকে লাইসেন্স নিতে বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ বিআরটিএর বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সড়কে সিএনজি অটোরিকশার উৎপাত যেন বেড়েই চলেছে। দিন দিন অটোরিকশার সংখ্যা বাড়ায় সড়কে ভেঙে পড়েছে শৃঙ্খলা। এদের ওপর যেন কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন চালকরা। সাত হাজার চালকের মধ্যে লাইসেন্স আছে মাত্র ২৬ জনের। অদক্ষ চালকদের কারণে সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
আব্দুল করিম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, অনুমোদন ব্যতীত সিএনজি বেড়ে যাওয়ার কারণে রাস্তা-ঘাটে যানজট দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে চালকরা বেপরোয়াভাবে সিএনজি চালাচ্ছেন। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
রফিক নামের এক যাত্রী জানান, অটোরিকশার লাইসেন্স থাকলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে।
এদিকে সময়মতো লাইসেন্স না পাওয়ার জন্য বিআরটিএকে দূষলেন চালকরা।
শহীদ নামের এক চালক জানান, লাইসেন্সের জন্য বিআরটিতে গেলে তারা সঠিক ফিস বলেন না। ৭-৮ হাজার টাকা চান।
চালক আবদুল্লাহ বলেন, টাকা বেশি লাগার কারণে আমরা লাইসেন্স করতে পারছি না। মালেক নামের অপর এক চালক বলেন, রাস্তায় আমাদেরকে অনেক টাকা-পয়সা দিতে হয়। এখন সংসার চালাব না এগুলো (লাইসেন্স) করব।
তবে সরকারি ফির বাইরে টাকা নেয়ার কোনও সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ।
লক্ষ্মীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, এখানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সংখ্যা খুবই নগন্য। আর বাড়তি টাকা নেয়ার তো প্রশ্নই আসে না।
জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বাসিন্দারা আশা করছেন সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
আরও পড়ুন :
জেবি/পি
মন্তব্য করুন