• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শাঁইজির আখড়ায় নেই জাতের বিচার

শেখ হাসান বেলাল

  ১৭ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:১৭

কে মুসলমান, কে হিন্দু আর কে খ্রিষ্টান এসবের বালাই নেই। দেশি-বিদেশি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ এখন মিলেমিশে একাকার কুষ্টিয়ার লালন শাঁইজির আখড়াবাড়ীতে। আধ্যাত্মিক জগতের মহাত্মা ফকির লালন এভাবেই সব মানুষকে একই স্রোতধারায় আনতে প্রেরণা জুগিয়েছেন।

লালনের ১২৭তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে সেখানে চলছে তিন দিনব্যাপী লালন উৎসব। সোমবার রাতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বিশাল এই উৎসবের উদ্বোধনের আগেই আখড়াবাড়ীতে ভক্তদের ঢল নামে।

১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক আধ্যাত্মিক এই সাধকের মৃত্যুর পর কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়া আখড়া কমিটি ও লালন একাডেমির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান চলে আসছে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবারো তিন দিনব্যাপী এ লালন মেলার উৎসব পালিত হচ্ছে। উদ্বোধনের পর লালন ফকিরের এই ভবেরহাটে মানুষের ঢল নেমেছে। লালন ভক্তরা এটিকে সাধুসঙ্গ বলে থাকেন। তাদের মতে, সাধুর কাছে আসলে সঠিক, সত্য, সরল ও সোনার মানুষ হওয়া যায়।

ফ্রান্সের নাগরিক দেবরা ও আমেরিকা প্রবাসী হামিদ আরটিভি অনলাইনকে জানান, লালনের দর্শন আর সঠিক পথের সন্ধানে বারবার এই সাধুসঙ্গে আসেন তারা।

একদিকে লালন মেলা, অন্যদিকে গুরু-শিষ্যের ভাব বিনিময়, প্রতিরাতে মূলমঞ্চে লালনকে নিয়ে আলোচনা, রাত গভীর পর্যন্ত শাঁইজির আধ্যাত্মিক গান পরিবেশনা, সবকিছু মিলিয়ে ভবেরহাট যেন মহামিলন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

লালন বলেছেন, নিজেকে চিনলে খোদাকে চেনা যায়, মানুষের মধ্যেই খোদা বিরাজমান। বিশ্লেষকদের মতে, নিজেকে চেনা, জানা ও লালনের অহিংস মানবধর্মে দীক্ষিত হতে হলে সাধুসঙ্গ অপরিহার্য।

লালন গবেষক অধ্যাপক আমজাদ হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, শিক্ষা দুই রকম। দেখে শেখা ও পড়ে শেখা। তবে দেখে শেখার চেয়ে উত্তম আর নেই। লালন সম্পর্কে জানতে হলে শাঁইজির ধামে আসতে হবে। এখানে তার অনুসারী অনেক বাউল রয়েছেন। তারাই গুরুর মতো পথ দেখান। এজন্য সাধুসঙ্গ অবশ্য প্রয়োজন।

বিশাল এই উৎসব নির্বিঘ্ন করতে কয়েক স্তরে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, শুধু আখড়াবাড়ী নয় পুরো এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।

জেবি/কে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
লালন স্মরণোৎসব আজ, থাকছে না মেলা
X
Fresh