রাস্তায় বাস নেই, মোটরসাইকেলই যখন ভরসা
আজ সকালে অফিস যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে রীতিমত হোঁচট খায় অফিসগামী মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে মিলেনি যাত্রীবাহী বাস কিংবা রিকশা। রীতিমত অনেকেই হেঁটেই রওনা দেয় অফিসে। দেখে যেন মনে হয় হাঁটার প্রতিযোগিতা। এর মাঝে অনেকেই রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের মাধ্যমে গন্তব্যে যান। তবে রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের আওতায় থাকা কোম্পানিগুলো চুক্তিভিত্তিকই বেশি যাচ্ছে।
রোববার রাজধানীর ব্যস্ততম মহাসড়কগুলোতে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাংলামটর, ফার্মগেট, শাহবাগ, মতিঝিল, মগবাজারও মহাখালীর মোড়গুলোতে দেখা যায়, অ্যাপস ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি। অ্যাপসের মাধ্যমে যাওয়া এসব মোটরসাইকেল রীতিমত হাঁক ডেকে যাত্রী তুলছেন। অনেকে আবার অ্যাপসের মাধ্যমে মোটরসাইকেল ডাকলেও মোটরসাইকেল চালকরা যাত্রীদের কাছে বাড়তি ভাড়া চাচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় অ্যাপস ভিত্তিক কোম্পানিগুলোতে সহজে প্রবেশ করতে পারছেন না যাত্রীরা।
আব্দুর রহিম নামের একজন ব্যাংক কর্মকর্তা কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিলে যাবেন। তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সিএনজি না পেয়ে রাইড শেয়ারিং এ যাওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে অ্যাপসে প্রবেশের চেষ্টা করেও পাননি।
এদিকে মিরপুর-১ এ যাওয়ার জন্য শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী মোটরসাইকেল চালকের কাছ থেকে ভাড়া শুনে রীতিমত ক্ষোভে বলেই ফেললেন আপনারা তো দেখছি রিকশাচালকের মতো হয়ে গেছেন। মৌসুমে দাম বাড়িয়ে তুলেছেন। তবে এমন ক্ষোভ শুধু শহিদুল নয় অনেক যাত্রীকে করতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি রাইড শেয়ারিং এর চালক আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বেশিরভাগ মানুষ অ্যাপসের ঝামেলার চেয়ে দর-দাম করেই যাচ্ছেন। অনেক চালক আবার অ্যাপসের চেয়ে একটু বাড়তি ভাড়া যোগ করছে। কারণ দূরে যাওয়ার সময় জ্যাম ও রাস্তা খারাপের কারণে এ বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে যাত্রীরা বলেন, যদি রাস্তা কিংবা জ্যামের অজুহাতে বাড়তি ভাড়া নেয় রাইড শেয়ারিং, তাহলে রাইডশেয়ারিং এর কি দরকার?
সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা বাতিলসহ ৮ দফা দাবিতে সারাদেশে শ্রমিকদের ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছে পরিবহন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন :
এমসি/এসএস
মন্তব্য করুন