• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মাদক অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন হচ্ছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২০ জুন ২০১৮, ১৬:৫৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদকবিরোধী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন, আলোচনা সভা ও সেমিনার অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মাদকবিরোধী পোস্টার, লিফলেট, স্টিকার, স্যুভেনির প্রকাশ ও বিতরণের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মাদক অপরাধীদের কঠোর শাস্তি প্রদানের লক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এবং মোবাইল কোর্ট আইন সংশোধনের কার্যক্রম চলছে।

আজ সংসদে প্রধানমন্ত্রী তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে গত বছর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সব সংস্থা ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৮৩ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৬টি মামলা দায়ের করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০টি মামলায় ৩৫ হাজার ১১২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করছে। জেলা প্রশাসনও এ বিষয়ে সহযোগিতা করে অবৈধ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাদক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সাথে ডিসি-ডিএম পর্যায়ে সভা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হালনাগাদ তালিকা করে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজার জেলায় ৯৪ জনবলের বিশেষ জোন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্ডার লিয়াঁজো অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

------------------------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ
------------------------------------------------------------------------------------

শেখ হাসিনা বলেন, ইয়াবাসহ অপরাপর মাদকের প্রবাহ রোধকল্পে মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে স্ট্র্যাটেজিক কমিটি, সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগ এনফোর্সমেন্ট কমিটি এবং সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগকে আহ্বায়ক করে মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি এবং সামাজিক আন্দোলন সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মাদক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে নিয়মিত ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার রোধে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি সভাতেই মিয়ানমারকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এবং মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

বর্তমানে চলমান উল্লেখিত মাদকবিরোধী কার্যক্রমের ফলে মাদকদ্রব্যের চোরাচালান ও এর ব্যবহার বন্ধ করে যুব সমাজকে সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবো বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন :

এসআর/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
‘বিদ্যুৎ সংকটে লোডশেডিং গ্রামে নয়, হবে গুলশান-বনানীতে’
প্রাণ দিয়ে বড় ক্ষতি থেকে বাঁচালেন পাইলট জাওয়াদ
‘মাটির নিচ দিয়ে টানা হবে সব ধরনের সংযোগ তার’
X
Fresh