• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

টিকিট তো নয়, যেন আকাশের চাঁদ!

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৪ জুন ২০১৮, ১৪:৫৫

ঈদে বাড়ি যেতে অগ্রিম টিকিটের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৩ জুনের টিকিট পেতে রোববার দিনগত রাত থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় করছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।

আজ সোমবার চতুর্থদিনের মতো ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। বেশ কয়েকঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট মিললেও অনেকে পাননি পছন্দের শ্রেণির টিকিট।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, টিকিট বিক্রির বুথগুলোর সামনের জায়গা কানায় কানায় ভর্তি। টিকিটপ্রত্যাশীদের সারিগুলো কাউন্টার থেকে প্লাটফর্ম ছাড়িয়ে রাস্তায় এসে পড়েছে। আবার কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেয়ে তৃপ্তির হাসি হাসছেন অনেকে।

ভোর থেকে টিকিট কাউন্টারের সামনের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনিসুল ইসলাম। ১৩ জুনের খুলনার টিকিট নেবেন। তিনি বলেন, আমার আব্বু-আম্মু, ভাইয়া আর আমি মিলে ঈদ করতে খুলনা যাব। কিন্তু বিক্রি শুরুর অল্পসময় পরই এসি কেবিনের টিকিট চাওয়া হলে কাউন্টার কর্তৃপক্ষ জানায়, টিকিট শেষ।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : জুনে দেশে বন্যার আশঙ্কা
--------------------------------------------------------

রামপুরা থেকে আসা নাদির হোসেন জানান, তিনি ভোররাতে এসেছেন। সিল্ক সিটি ট্রেনের দুটি টিকিট দরকার। চারঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পেয়েছেন। তার মতো অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে পছন্দের টিকিট পেয়ে খুশিমনে বাড়ি ফিরেছেন।

আবার অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও পছন্দের টিকিট পাননি। ব্যাংক কর্মকর্তা রিয়াজুল হাসান জানান, হাওর এক্সপ্রেসে বার্থের (কেবিন) টিকিটের জন্য এসেছিলেন। পাঁচঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে যখন কাউন্টারে পৌঁছান, ততক্ষণে কেবিনের টিকিট শেষ। শেষে প্রথম শ্রেণির দুটি টিকিট সংগ্রহ করেছেন।

কাউন্টার থেকে ধীরগতিতে টিকিট দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন লাইনে অপেক্ষমাণ অনেকে। এমন এক অভিযোগকারী সুজন জানান, লাইনে দাঁড়ানোর পর স্টেশন থেকে একটি চাহিদাপত্র দেয়া হচ্ছে। এতে যাত্রীর তথ্য লিখে টিকিট কাটার সময় কাউন্টারে জমা দিতে হচ্ছে। এরপরও টিকিট দিতে অনেক দেরি হচ্ছে।

কমলাপুর রেলস্টেশনে নারীদের অগ্রিম টিকিট দেয়ার জন্য একটি আলাদা কাউন্টার খোলা হয়েছে। নারী কাউন্টারে সকালে কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও বেলা ১১টার দিকে ফাঁকা হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন নুরজাহান বেগম। তিনি বলেন, 'ঈদের সময় বাসে চট্টগ্রাম যেতে যানজটের কারণে অনেক সময় লাগে। তাই ট্রেনের টিকিট নিলাম।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫ জুন পাওয়া যাবে ১৪ জুনের এবং সর্বশেষ ৬ জুন দেয়া হবে ১৫ জুনের টিকিট।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন ২৩ হাজার ৫১৪টি করে টিকিট সরবরাহ করা হচ্ছে। এ টিকিটের ২৫ শতাংশ অনলাইনে সরবরাহ ছাড়াও ৫ শতাংশ রেলের কর্মচারী ও ৫ শতাংশ ভিআইপিদের জন্য বরাদ্দ। বর্তমানে যে পরিমাণ টিকিট প্রতিদিন দেয়া হচ্ছে এ সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বাড়বে। ১৩-১৫ জুনের জন্য ৪-৬ জুন টিকিট বিক্রি করা হবে। ওই সময়ে মেইল, এক্সপ্রেস ও লোকাল মিলে প্রতিদিন ৬০ হাজার টিকিট দেয়া হবে।

আরও পড়ুন :

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি, সেই হলে যাচ্ছেন আদর-পূজা
রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট
১৬০০ মিটার দৌড়ে যেমন করলেন টাইগাররা
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড চূড়ান্ত, বিমানের টিকিট পাচ্ছেন যারা 
X
Fresh