• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৩ শতাংশ শিশু হয়রানির শিকার: ইউনিসেফ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ৩০ মার্চ ২০১৮, ২০:০৬

দেশের ১৩ শতাংশ শিশু-কিশোর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (সোশ্যাল মিডিয়া) হয়রানি বা উত্ত্যক্তের শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এমনকি হয়রানি বা উত্ত্যক্তের কারণে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ শিশুশিক্ষার্থী তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে।

শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে বছরব্যাপী গণসচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ জরিপ প্রকাশিত হয়। ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ম্যানেজার এ এম শাকিল ফায়েজুল্লাহ জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে এ অনুষ্ঠান যৌথভাবে আয়োজন করে ইউনিসেফ ও ফেসবুক।

জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একটি বড় অংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তিন সপ্তাহ আগে ইন্টারনেটে নিরাপত্তা নিয়ে শিশুরা কী ভাবে, তাদের পরিস্থিতি কী—এসব জানতে ইউনিসেফ সারাদেশে এই জরিপ চালায়। অনলাইনভিত্তিক এই জরিপটি নয় লাখের বেশি শিশু-কিশোরের কাছে পৌঁছায়। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১১ হাজার ৮২১ জন শিশু এই জরিপে অংশ নেয়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: রংপুরে বজ্রাঘাতে মৃত ২, শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি
--------------------------------------------------------

ইউনিসেফ বাংলাদেশের ওই জরিপে বলা হয়, জরিপে ৮১ দশমিক ২ শতাংশ শিশু-কিশোর সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিদিন সময় কাটায়। এদের ৯০ শতাংশই মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ৮০ দশমিক ১ শতাংশ শিশু-কিশোর কোনো ধরনের হয়রানির বা উত্ত্যক্তের শিকার হয়নি।

জরিপের অংশ নেওয়া শিশু-কিশোরদের ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ জানায়, কোনো অপরিচিত লোক তাদের অনলাইনে বন্ধু হতে চাইলে তারা বন্ধু হবে। তবে ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু-কিশোর বন্ধু হবে না বলে জানায়।

তুমি কী কারণে ইন্টারনেট ব্যবহার করো—এমন প্রশ্ন জরিপ করা হয়। এর উত্তরে ৬৭ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু-কিশোর জানায়, তারা শেখার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আর ২১ দশমিক ৪ শতাংশ বন্ধু বানানোর জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে চলে দিনব্যাপী নানা আয়োজন। দেশের প্রায় ১০০ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘শিশুরা ট্যাব ব্যবহার করবে, ইন্টারনেট ব্যবহার করবে—এটাই আমরা চাই। তবে ওরা নিরাপদভাবে ব্যবহার করবে। জ্ঞানের ভাণ্ডার হিসেবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে। ঝুঁকির মধ্যে যাতে কেউ না পড়ে, এ জন্য মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেসবুকের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার পলিসি প্রোগ্রাম ম্যানেজার শ্রুতি মগি, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডুওয়ার্ড বেগবেদার প্রমুখ।

আরও পড়ুন:

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মা-বাবার ঝগড়া থামাতে থানায় হাজির শিশু
এপ্রিলে বেড়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন
জার্মানিতে ৬ বছরের এক শিশুর সন্ধানে ১২০০ জন
ঝালকাঠিতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
X
Fresh