আপিলের আদেশে আমরা মর্মাহত : জয়নুল
আপিল বিভাগ আমাদের কোনো কথা না শুনেই দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে দেয়া চার মাসের জামিন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। আদালতে এ আদেশে আমরা মর্মাহত ও ব্যথিত। বললেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
বুধবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আদালতে এ আদেশে আমরা মর্মাহত ও ব্যথিত। অতীতে এ ধরনের কোনো আদেশ দেয়া হয়নি। এ আদেশের ফলে সারা দেশের মানুষের আদালত সম্পর্কে বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হবে।
সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন রোববার (১৮ মার্চ) পর্যন্ত স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই আদেশ দেন। এই সময়ের মধ্যে জামিন স্থগিতের আবেদনকারীদের নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়েছে।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে মঙ্গলবার খালেদার জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করলে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বিষয়টি বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানি জন্য নির্ধারণ করেন। সে ধারাবাহিকতায় আজ সকালে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
নিম্ন আদালত থেকে ওই মামলার নথি হাইকোর্টে আসার পর তা দেখে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১২ মার্চ সোমবার খালেদার চার মাসের অন্তর্বর্তীকালিন জামিন মঞ্জুর করেন। সেই সঙ্গে তার আপিল শুনানির জন্য ওই সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে পেপারবুক প্রস্তুত করারও নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। ওইদিন থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
এ মামলার অপর চার আসামি হলেন- সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। এদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।
আরও পড়ুন:
এমসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন