পেস অ্যাটাক নিয়ে সন্তুষ্ট রুবেল
বাংলাদেশের পেসারদের ভাগ্যই খারাপ! মাশরাফি বিন মুর্তজা থেকে মুস্তাফিজুর রহমান, দেশের প্রায় সব পেস তারকা দিনের পর দিন ইনজুরির কারণে থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে। ঠিক তেমনি ২০০৯ সালে অভিষেক হলেও গেলো নয় বছরে দেশের হয়ে মাত্র ৮১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন রুবেল হোসেন। গত সোমবার ক্যারিয়ারের শততম উইকেটটি তুলে নেন এই টাইগার পেসার। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজে উদ্বোধনী ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুখোমুখি হয় স্বাগতিকরা। নিজের পঞ্চম ও দলের ৪৮ ওভারে পর পর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন বাগেরহাটে জন্ম নেয়া এ তারকা। এতেই পৌঁছে যান এ মাইলফলকে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: হাথুরুর নেতৃত্বে প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার হার
--------------------------------------------------------
আজ বুধবার শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শততম ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয় জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা। এতে নীরব দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে মাশরাফি বাহিনীকে।
তবে অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন রুবেল হোসেন।
শততম ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন, একশটা উইকেট পেয়েছি আট-নয় বছরে। এর মধ্যে এক বছর তো ইনজুরিতেই ছিলাম। অনেক বছর লাগলো। এটা আসলে নির্ভর করে কতগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি তার ওপর। আমাদের দেশে পেস বোলাররা হয়তো এতো বেশি সুযোগ পায় না। লক্ষ্য তো এখন তেমন নাই; তারপরও চাই ২৫০-৩০০ উইকেট পেতে। এমনটা হলে ভালো লাগবে আরকি।
বেশ কয়েকমাস ধরে ‘বাটারফ্লাই ডেলিভারি’ নিয়ে কাজ করছেন রুবেল।
এ বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, ভেজা মাঠ কিংবা কুয়াশা থাকলে বাটারফ্লাই ডেলিভারি করা কষ্টের। তবে ডে ম্যাচে অবশ্যই বাটারফ্লাই দেখা যাবে। আমিও মুখিয়ে আছি ডেলিভারিটি দেয়ার জন্য।
শুক্রবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে মাঠে নামবে দল। নিজেরদের পেস আক্রমণ নিয়ে সন্তুষ্টির কথা উল্লেখ করে রুবেল বলেন, ওদের যেমন ভালো মানের পেস বোলার রয়েছে। ঠিক তেমনটা আমাদেরও। আমাদের মাশরাফি-মুস্তাফিজের মতো পেসার রয়েছে। মুস্তাফিজ আগের জায়গায় ফিরে এসেছে। তাই আমি মনে করি খুব একটা সমস্যা হবে না।
বর্তমান দলের তৃতীয় পেসার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন ২৭ বছর বয়সী এ বোলার। টাইগারদের ওপেনার বোলার হিসেবেই যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তবে দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করছেন বলে জানান তিনি।
রুবেল বলেন, নতুন বলে অবশ্যই বোলিং করতে ইচ্ছা করে। নতুন বলে বোলিং করার জন্য অনেক কাজ করছি। টিমের পরিস্থিতিতে যখনই নতুন বলে ওপেন করা বোলার মার খেয়েছে, আমি তখনই বোলিং করতে চলে এসেছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালোও করছি। আমি প্রস্তুত সব সময়ের জন্য। অধিনায়ক যখন যেখানে দরকার মনে করবেন আমি প্রস্তুত আছি বল করার জন্য।
আরও পড়ুন:
ওয়াই/জেএইচ
মন্তব্য করুন