• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনা / ৭ মরদেহ হস্তান্তর, মৃত একজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি 
রাঙ্গামাটির সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সাতটি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একটি মরদেহের স্বজনদের সন্ধান মেলেনি। অপরটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাঘাইছড়ি সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল চৌধুরী বলেন, দুটি মরদেহ হিমাগারে রাখা হয়েছে। স্বজনরা এলে হস্তান্তর করা হবে। তদন্তসাপেক্ষে দুর্ঘটনার কারণ বলা যাবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ৯০ ডিগ্রি এলাকার একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক খাদে পড়ে। এ ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন কক্সবাজারের জসিম উদ্দিন (২৮), ময়মনসিংহের এরশাদুল (৩০), নজরুল ইসলামের ছেলে আবুল মোহন (১৮), চান মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন বাবু (২০), শহিদুল্লাহর ছেলে শাহ আলম (২৮) ও হেলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন (২৯), গৌরীপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে তপু হাসান (১৭) ও সাগর (২০) এবং গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার মহিউদ্দিন মোড়লের ছেলে ওলি উল্লাহ ওলি (৪০)। নিহতদের পাঁচ লাখ ও আহতদের দুই লাখ করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আহতরা হলেন, গাজীপুরের আখির উদ্দিনের ছেলে সামিউল উদ্দিন (১৯), ঢাকার হাসান আলীর ছেলে আমির উদ্দিন (৪৫), ময়মনসিংহের গোরীপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে জাহিদ হাসান (২৪), ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জের আবুল হাশেমের ছেলে মো. লালন (২৭) ও মকবুল হোসেনের ছেলে মোবারক হোসেন (৩২) ও কুড়িগ্রামের আফজাল মিয়ার ছেলে লালন মিয়া (১৮)।
১৩ ঘণ্টা আগে

গাজায় হাসপাতালে মিলল গণকবর, ৫০ লাশ শনাক্ত 
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে খান ইউনিস শহরে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরে ৫০টি মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। ফিলিস্তিনের জরুরি সেবা বিভাগ গণকবরটির উন্মোচন করে। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলি বাহিনী এই শহরটি ছেড়ে যায়।  রোববার (২১ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে ৫০টি মৃতদেহ সংবলিত একটি গণকবর উন্মোচন করেছে ফিলিস্তিনি জরুরি পরিষেবা। পরিষেবাটি বলেছে, ‘আমাদের দলগুলো আগামী দিনে অবশিষ্ট শহীদদের খোঁজে তাদের অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত রাখবে। কারণ তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এখনও (গণকবরে) রয়েছে।’ আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত ৭ এপ্রিল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে। আর এরপরই সেখানে এই গণকবর শনাক্ত হলো। মূলত কয়েক মাসের নিরলস ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং ভারী লড়াইয়ের পরে গাজার এই শহরের বেশিরভাগ অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনো ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে। ইসরায়েল গাজার ওপর ব্যাপকভাবে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এর ফলে এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠী বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা অনাহারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৭

২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৩৮৮ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১২

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৬
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের। এদিন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ জন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৮৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৫টি। এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ১৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ সময়ে একজন আইসোলেশনে এসেছেন এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পাননি। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৬৬ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭১৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৫১ জন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৩

২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৬১১ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৩ জনে অবস্থান করছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৩০৮ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১০

আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৯ জন। শনিবার (৩০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।   এতে বলা হয়, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪৮টি। ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৬ হাজার ৮১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ আইসোলেশনে আসেনি এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৫৫ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭০৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৪৯ জন।  দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৩ জনের। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর দেশে প্রথম একজনের করোনায় মৃত্যু হয়।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২১:১১

২৪ ঘণ্টায় ৪২ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৯ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। শুক্রবার (২২ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৬ হাজার ৫৫৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৬৮৭ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ১১ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৩

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’র অবস্থান শনাক্ত
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। বর্তমানে জাহাজটি সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ৭২ মাইল দূরে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরোর (আইএমবি) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ৭২ মাইল দূরে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে ‘এমভি আবদুল্লাহ’র পিছু নিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘এমভি আবদুল্লাহ’ এবং এতে থাকা নাবিকদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বিষয়টি জানিয়ে তাদের সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। ২৩ নাবিককে উদ্ধারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কুয়ালালামপুরে পাইরেসি রিপোর্টিং সেন্টার, নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়ান ফিউশন সেন্টার, যুক্তরাজ্য মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) এবং এশিয়ায় দস্যুতা ও সশস্ত্র ডাকাতি প্রতিরোধে আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় সিঙ্গাপুরে অবস্থিত দপ্তরকে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৫

আরও ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৭ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯২ জনের।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৩২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ১৩টি। এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ জন সুস্থ হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৬ হাজার ৪৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ। এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চারজন আইসোলেশনে এসেছে এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছে চার লাখ ৫২ হাজার ৯৪২ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে চার লাখ ২৩ হাজার ৬৭৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছে ২৯ হাজার ২৬৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৫

ডিএনএ পরীক্ষায় সেই অভিশ্রুতির পরিচয় শনাক্ত
অবশেষে বেইলি রোডের আগুনে মারা যাওয়া সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) পরিচয় নিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) পরীক্ষায় তার পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টির ডিএনএ। অর্থাৎ অভিশ্রুতিই আসলে বৃষ্টি খাতুন। রোববার (১০ মার্চ) এই তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যান বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার লাশ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর মন্দিরের পুরোহিত তাকে সনাতন ধর্মালম্বী দাবি করেন। অন্যদিকে সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন বাবা-মা দাবি করে জানান, নিহত তরুণী অভিশ্রুতি নয়, তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তাদের সন্তান। এমন পরিস্থিতিতে পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএ’র সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে। বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন। মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা থানার কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ শনাক্তের বিষয়ে সিআইডি এখনও আমাদের কোনোকিছু জানায়নি। ডিএনএ যদি শনাক্ত হয়, তবে অবশ্যই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে বৃষ্টির বাবা শাবলুল আলম সবুজ জানান, মরদেহ নেওয়ার জন্য এখনও তাদের কিছু জানানো হয়নি। অপেক্ষায় আছেন।
১০ মার্চ ২০২৪, ২৩:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়