• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলা ভাষায় মুক্তি পাবে ‘পুষ্পা টু’, কণ্ঠ দিচ্ছেন যে বাঙালি গায়ক
আল্লু অর্জুন ও রাশমিকা মান্দানা অভিনীত সিনেমা ‘পুষ্পা’। ২০২১ সালে মুক্তির পর ব্যাপক সাড়া পেয়েছিল সিনেমাটি। রীতিমতো ঝড় তুলেছিল বক্স-অফিসে। শিগগিরই আবারও ধামাকা নিয়ে আসছেন দক্ষিণের জনপ্রিয় এই অভিনেতা। এবার জানা গেল, বাংলা ভাষায় মুক্তি পাবে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমা। আর এতে কণ্ঠ দিচ্ছেন বাংলার জনপ্রিয় এক গায়ক। ‘পুষ্পা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আল্লু অর্জুন। শুধু তাই নয়, রাতারাতি আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবে উত্তরণও ঘটেছে তার।   শোনা যাচ্ছে, ‘পুষ্পা টু’ সিনেমায় বাংলা ভাষায় মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি সেখানে কণ্ঠ দিতে যাচ্ছেন বাংলার জনপ্রিয় গায়ক তিমির বিশ্বাস। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে গায়ক জানান, সবটাই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনই কোনো কিছু খোলসা করতে রাজি নন তিনি। গেল বছর এপ্রিলে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার প্রথম পোস্টার মুক্তি পেয়েছিল আল্লু অর্জুনের জন্মদিনে। সে সময় পোস্টারে আল্লু অর্জুনের ‘লুক’ দেখে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল নেটদুনিয়ায়। এর আগে অভিনেতাকে এই রূপে কখনও দেখা যায়নি। লাল টকটকে কপাল আর নীলাভ গাল। জোড়া ভ্রুর মাঝে জ্বলজ্বল করছে চন্দনের ফোঁটা। ওই পোস্টারে আল্লু অর্জুনের পরোনে ছিল শাড়ি, গলায় লেবুর মালা, মুখে দাড়ি-গোঁফ। হাতে ধরা বন্দুক। খানিকটা বৃহন্নলার সাজেই ধরা দিয়েছিলেন এই অভিনেতা। এর মাঝেই চলতি বছরের ৮ এপ্রিল মুক্তি পায় সিনেমাটির টিজার।   সেখানে একবারে নীল রঙের পট্টু শাড়িতে দেখা যায় আল্লুকে। তারপর থেকে যেন অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। দ্বিতীয় বার ‘পুষ্পা’কে বড় পর্দায় দেখতে অপেক্ষা করছেন দর্শকেরা।  প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ আগস্ট মুক্তি পাবে ও আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। সিনেমায় তিনি ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— রাশমিকা মান্দানা এবং ফাহাদ ফাসিল। এটি নির্মাণ করেছেন সুকুমার। তামিল, তেলুগু, মালায়ালম, কন্নড়, হিন্দি ছাড়া বাংলাতেও মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি।     সূত্র : আনন্দবাজার 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৭

‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। বুধবার (২৭ মার্চ) প্রবাসীকল্যাণ ভবনের বিজয়-৭১ হলে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্য সম্ভব হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস। তাই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে তথা বাংলাদেশকে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন তিনি লক্ষ্য স্থির করেছে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক বঙ্গবন্ধু চেয়ার ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:১২

একমাত্র বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে : দুদু
এই উপমহাদেশে পাঠান-পাঞ্জাবসহ বহু জাতি থাকা স্বত্বেও একমাত্র বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সেগুনবাগিচা মেট্রো লাউঞ্জে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এই উপমহাদেশে পাঠান-পাঞ্জাবসহ বহু জাতি রয়েছে। সবাই সাহসী। তবে একমাত্র বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। বাঙালি একমাত্র জাতি যারা উই রিভোল্ট বলে স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা নিয়ে এসেছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতির নাম উঁচু করেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’ তিনি বলন, ‘দেশের যে জনগণের জন্য স্বাধীনতা তারাই আজ কোণঠাসা। শুধু তাই নয়, তারা এতটাই নির্যাতনের শিকার যে, এই উপমহাদেশের অন্য কোনো দেশে তা দেখা যায় না। আজ আমাদের শিশুরাও অসহায়। এমনকি রাষ্ট্র দ্বারাও নির্যাতনের শিকার। তাদের ভালো স্কুলে ভর্তি বা অর্থের যোগানটাও রাষ্ট্র কিংবা তাদের পিতা-মাতা দিতে পারে বলে আমার মনে হয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‌‘দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। এর কারণে সমাজের সবক্ষেত্রে নীতিবান, বিবেকবান মানুষ উপেক্ষিত। আমার ভাবতে অবাক লাগে মসজিদের ইমাম কীভাবে খুতবা দেবেন সেটাও সার্কুলারের মাধ্যমে বলে দেওয়া হচ্ছে। যখন সমাজে অন্যায়-অবিচার থাকে তখন শিশুরা অবহেলিত হয়। আর আমাদের দেশে আজ গণতন্ত্র নেই বলেই এগুলো হচ্ছে।’
২৬ মার্চ ২০২৪, ২২:১৩

কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি মেনে নেবে না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনোদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে। সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশের ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। যুদ্ধ করে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- জাতির পিতা নির্দেশিত এই বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেই আমরা দেশ পরিচালনা করি। আমাদের কোনো প্রভু নেই, আছে বন্ধু। তাই কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনোদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে। শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসররা এখনও তৎপর রয়েছে পরাজয়ের বদলা নিতে। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত হানবে। এ সময় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সামনে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ছলে-বলে-কৌশলে নিশ্চিহ্ন বা দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য। কাজেই কাণ্ডারি হুঁশিয়ার। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ আওয়ামী লীগ বন্ধ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ আমরা চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছি। দেশের সব গণতান্ত্রিক দল এবং সাধারণ মানুষকে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার জন্য অতদ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের সংবিধানই গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়া ও সমুন্নত রাখার সর্বোচ্চ রক্ষাকবচ। সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে বা পদদলিত করে কোনো কিছু করার চেষ্টার অর্থ হচ্ছে গণতন্ত্রকে খর্ব করা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে। জাতীয় সংসদকে আমরা রাষ্ট্রের সব কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছি। স্থানীয় সরকারের সব স্তরে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার এবং ১৯৭৫ এর পর পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করেছে। একই সঙ্গে আমার দল আমাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব অর্পন করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশবাসীর প্রতি আমার কর্তব্য হিসেবে এবং আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজ আরও এগিয়ে নেয়ার জন্য আমি বারবার এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি সকলের সমর্থন এবং সহযোগিতা নিয়ে এদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফোটাবার। তিনি বলেন, আজকে ২০২৪ সালে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোন অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ওপরে আস্থা রাখার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের ওপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য, যে উন্নয়ন-অগ্রগতি আমরা এখন পর্যন্ত সাধন করেছি, তা আরও এগিয়ে নিয়ে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।
২৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০৩

‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির শত শত বছরের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ’
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম. আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতির শত শত বছরের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু অসাধারণ কণ্ঠস্বর ও কথা বলার শক্তির মাধ্যমে বাঙালির আকাঙ্ক্ষার মূর্ত রূপ দেন। সে সময় এ ভাষণ দেশের কয়েক কোটি লোককে মাসের পর মাস উজ্জীবিত রেখেছিল। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ বাঙালির কণ্ঠে, হৃদয়ে ও মস্তিষ্কে অনুরণিত হয়। ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র জাতির অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকালে পথ দেখায়।  আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মহৎ কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তা আমাদের মানবিক গুণাবলীর উন্নয়নসহ দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। এ ছাড়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনার মিনিস্টার ড. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ। সকালে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দীকী। এ সময় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ হাইকমিশনার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:১১

‘একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা ‍ও আত্মবিকাশের দিন’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ বলেছেন, মায়ের ভাষার অধিকার ও রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল বীর বাঙালি জাতির লড়াই-সংগ্রাম আর বীরত্বের গৌরবগাঁথা অধ্যায়। শহিদের রক্তে রঞ্জিত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মবিকাশ ও আত্ম-বিশ্লেষণের দিন।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা লিখেন তিনি। সজীব ওয়াজেদ জয় স্ট্যাটাসে লিখেছেন, পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসন ও শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিসত্তা বিনির্মাণের প্রথম সোপান। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে না হতেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’ কেড়ে নিতে চায়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হয়ে ওঠে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার ছাত্র-জনতা। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট ও হরতালের আহ্বান করা হয় উল্লেখ করে তিনি আরও লেখেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই হরতাল কর্মসূচির নেতৃত্ব প্রদান করেন। যার ফলে তার ওপর পুলিশি নির্যাতন চালানো হয় এবং ওইদিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠন করা হয়। সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ২৪ জন নেতৃবৃন্দকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক এই উপদেষ্টা আরও লেখেন, ১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু আটকাবস্থায় গোপনে বৈঠক করে ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন ও সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি ১৯৫২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জেল হাসপাতালে থেকে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারি হরতাল ডেকে গণপরিষদ ঘেরাও করার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে জানিয়ে পোস্টে সজীব ওয়াজেদ লেখেন, কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত সংঘবদ্ধ ছাত্র-জনতাকে কোনোভাবেই দাবিয়ে রাখা যায়নি। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বাংলার আকাশ-বাতাস। ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অগণিত শহিদের রক্তে। ভাষা আন্দোলনের গতিবেগ দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরীণ রাখে। তবে জেলে অবস্থানকালেই বঙ্গবন্ধু ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রতিষ্ঠা’ ও ‘রাজবন্দীদের মুক্তি’র দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের অনশন করেছিলেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের ওই পোস্টে সকল ভাষা শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে জয় লিখেছেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?’
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩

বইমেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, অমর একুশে বইমেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বইমেলা আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিকাশে একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পড়ার বিকল্প নেই। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।       রাষ্ট্রপতি বলেন, অমর একুশে বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি আয়োজিত এ বইমেলা লেখক-পাঠক-সংস্কৃতিকর্মীসহ সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে হয়ে ওঠে এক অনন্য মিলনমেলা। তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগে নতুন প্রজন্মকে বইপড়া ও সাহিত্য চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে মাসব্যাপী বইমেলা ও ভাষাচর্চার এই আয়োজন কার্যকর অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির পাদপীঠ হিসেবে মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে নানানভাবে ধারণ করে আছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকা পালন করছে। আশা করি ভাষা শহীদদের রক্তস্নাত পথ ধরে গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। বাঙালির প্রাণের এই মেলা বই কেনার পাশাপাশি আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবে সংস্কৃতির অমিয় সুধা। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন। ‘অমর একুশে বইমেলা’ মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে- এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতি ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’ উপলক্ষে বইপ্রেমিক বাঙালি, পাঠক, প্রকাশক, আয়োজক, সংগঠক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। একইসঙ্গে তিনি বইমেলার প্রাক্কালে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতির প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০০

বিএনপি বাঙালি জাতির স্বপ্ন হত্যা করেছে : কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি ২৯৮ নম্বর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, যারা এ দেশের শান্তি চায় না, তারা রাস্তার পাশের গাছ কেটে ব্যারিকেড দেয়। আবার বিএনপি-জামায়াত হরতাল ডাকলে স্থানীয় অপশক্তিও হরতাল ডাকে। বিএনপি বাঙালি জাতির স্বপ্ন হত্যা করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধান করতে পারে একমাত্র শেখ হাসিনা। কারণ, শেখ হাসিনা করে, শেখ হাসিনা পারে। সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেল থেকে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় গণসংযোগ, পথসভা ও সমাবেশ করেছেন তিনি। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজির হোসেনের সঞ্চালনায় জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, একাত্তর-পঁচাত্তরের পরাজিত শত্রুরাই সারাদেশেই নির্বাচন বাতিলে উঠেপড়ে লাগে। তারা দেশের গণতন্ত্রকে নষ্ট করার জন্য ‘জ্বালাও-পোড়াও’ কর্মসূচি নিয়ে জনগণের জানমাল ধ্বংসে মেতে উঠেছে। ২০০১ সালে ৪ দলীয় জোট সরকার গঠন করেছিল তারা। তিনি আরও বলেন, বিএনপির এক দফা-এক দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর আওয়ামী লীগের এক দফা-এক দাবি, আগামী ৭ জানুয়ারি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। কোনো অপশক্তি আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বকুল চন্দ্র চাকমা, সহসভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, মনীর খান, তপন দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব, উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা, স্থানীয় জনগণসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়