• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পাহাড়ে ভোটের হাওয়া

খাগড়াছড়িতে আ.লীগে একাধিক, একক প্রার্থীতে শক্ত অবস্থানে বিএনপি

খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা

  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৫৩

জাতীয় নির্বাচনী হাওয়া বইছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলছে আঞ্চলিক সংগঠনের প্রার্থীরাও।

এদিকে এ আসনে বিএনপি থেকে এখন পর্যন্ত একক প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া রয়েছেন শক্ত অবস্থানে। তবে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে রয়েছে বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী।

এ তালিকায় রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।

৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত ২৯৮ নম্বর সংসদীয় আসন খাগড়াছড়ি। এ আসনে সর্বমোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৯২ জন। এর মধ্যে পরুষ ২ লাখ ২৬ হাজার ৬০৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ১৬ হাজার ৮৯ জন।

বিগত ১৯৯১/৯৬ দুই দফায় এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রয়াত কল্পরঞ্জন চাকমা এরপর ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়া নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে ফের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ৯৯ হাজার ৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

এবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ভরসা রাখছেন দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর। তারা বলছেন, দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেবে জেলা আওয়ামী লীগ তার পক্ষে কাজ করবে।

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন ও শান্তির জন্য নৌকার বিকল্প নেই। দেশনেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবে জেলা আওয়ামী লীগ তার পক্ষে কাজ করবে।

তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা জানান, দল থেকে তাকে প্রার্থী করলে অবশ্যই জনগণ তাকে নির্বাচিত করবেন অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করার জন্য।

এদিকে যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় সেক্ষেত্রে দলটি প্রস্তুত রয়েছে নির্বাচনের জন্য। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক তারা এগোবেন।

খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবধ্য বলে জানান জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমএন আবছার। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এ আসনে বিএনপি জয়ী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অন্যদিকে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে জাতীয় দলগুলোর মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছে আঞ্চলিক সংগঠনের প্রার্থীরা। বিগত নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করা ইউপিএফ (প্রসীত গ্রুপ) এবারো প্রার্থী দেয়ার কথা বলছেন। তবে এই বিষয়ে কেউ কথা বলতে রাজী হননি। তবে সদ্য গঠিত ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক তারা নিজেদের প্রার্থী দেয়ার কথা ভাবছেন বলে জানান ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মিটন চাকমা। অপরদিকে চুক্তি স্বাক্ষরকারী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রার্থী থাকছে না নির্বাচনে।

দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সংসদ নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের কমতি নেই স্থানীয় ভোটারদের মাঝে। স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য নিরাপদ ভোটের অধিকার এবং যোগ্য প্রার্থীর কথা বলছেন সাধারণ ভোটাররা। স্থানীয়দের প্রত্যাশা দল থেকে এমন প্রার্থী নির্বাচিত করা হোক যিনি এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করে উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।

আরও পড়ুন :

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তাপদাহে স্থগিত বিএনপির সমাবেশ শুক্রবার
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: কাদের
বিএনপির জন্য মায়াকান্না করছে ওবায়দুল কাদের: রিজভী
বিএনপি নেতা আমানকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিলেন আদালত
X
Fresh