• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে কুপিয়েছে সভাপতির গ্রুপ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৯ মে ২০১৮, ২৩:১৫

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের দুইকর্মীকে শনিবার দুপুরে কলেজের সামনে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা। গুরুতর আহত দুই ছাত্রলীগকর্মী হলেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল রানা ও নিরব রানা। এদের মধ্যে সোহেল রানার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রতিপক্ষের চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত সোহেলের পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে সোহেল রানাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোহেলের মাথায় ৯টি এবং ঘাড়ে ১৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানায়, সম্প্রতি সম্মেলনের মাধ্যমে কলেজ শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি করা হয় অর্থনীতি বিভাগের রিপন মিয়াকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের জুয়েল মোড়লকে। কমিটির সভাপতি কলেজ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার করতে তার গ্রুপের মুরাদ হাসান জন, গোলাম সরওয়ার বাবু, রাসেল, আতিক, ছোটনসহ প্রায় ১০ জনের একটি গ্রুপ শনিবার দুপুর পোনে ১টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে কলেজের সামনে অবস্থান নেয়।

এ সময় কলেজ গেট দিয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সোহেল রানা এবং নিরব রানা বের হতে চাইলে মুরাদ হাসানসহ অন্যরা তাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করে। একপর্যায়ে তারা আহত অবস্থায় সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়।

ঘটনাস্থলে থাকা রাজিব জানান, যখন তাদের কোপানো হচ্ছিল তখন ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি রিপন মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। মারামারি শেষে সভাপতির মোটরসাইকেলে চেপে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে জয়সহ অন্যরা।

তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ বলেন, সকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সম্পর্কিত কিছু লিফলেট সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করেছি। বিতরণ শেষে কলেজ থেকে বাইরে বের হওয়ার সময় গেটের সামনে বাইকে বসে থাকা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন ও সহসভাপতিসহ আরও কয়েকজন কর্মীকে নির্দেশ দেন সোহেল ও রানাকে কোপানোর জন্য। নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে তারা এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পরে সব শিক্ষার্থী ছুটে এলে তারা সেখান থেকে চলে যায়।

তিনি বলেন, এটা পূর্বপরিকল্পিত। তাই তারা আগে থেকে সঙ্গে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ওই দুজনকে হত্যা করা।

এ বিষয়ে তিতুমীর কলেজ ছত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া বলেন, মারামারির ঘটনা জানতে পেরে আমি সেখানে গিয়ে উভয়কে মিটমাট করে দিই। পরে জানতে পারি তাদের মধ্যে আবারও মারামারি হয়েছে। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের 
বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, যা জানাল মন্ত্রণালয়
যেসব জেলায় মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে আজ
X
Fresh