• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রধানমন্ত্রীকে নিজের হাতে তৈরি উপহার দিতে চায় সানজানা (ভিডিও)

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৭ আগস্ট ২০১৭, ১৬:২২

মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা একটি আবেগ আর ভালোবাসার নাম। তাইতো একজন কোরবান আলী সুদূর ভোলা থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে ছুটে আসেন গণভবনে। আবার কেউ কেউ নিজের জীবনকে বাজি রেখে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনেন শেখ হাসিনাকে। এমনকি ছোট ছোট শিশুকিশোরদের কোমল হৃদয়েও শেখ হাসিনা স্থান দখল করে আছেন।

এমনি একজন ঢাকা সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সানজানা ইসলাম। সে দুই বছর ধরে পুতির দানা দিয়ে শেখ হাসিনার জন্য নৌকা, জাতীয় পতাকা ও চারটি কলমে সুতার কাজ করেছে। তার ইচ্ছে এই উপহারগুলো সে নিজের হাতেই শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিবে। সুতার কাজ দিয়ে সাজানো চারটি কলমের মধ্যে দুটিতে শেখ হাসিনার নাম লিখেছে। এর একটিতে বাংলায় আর অন্যটি ইংরেজিতে। অপর দুটি কলমে সুতা দিয়ে শেখ মুজিব ও ফজিলাতুন্নেসার নাম লিখেছে সে।

সানজানা আরটিভি অনলাইনকে বলেছে, ‘রাত-দিন পরিশ্রম করে প্রধানমন্ত্রীর জন্য উপহারগুলো তৈরি করেছি। এগুলো আমি নিজ হাতে উনাকে দিতে চাই। আমার এই ইচ্ছা পূরণ হলে আমি খুবই খুশি হব।’

প্রধানমন্ত্রীর কাছে সানজানার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। সে জানায়, সামনের বছর আমি এসএসসি পরীক্ষা দেব। আমি উনাকে উপহারগুলো দিয়ে দোয়া নিতে চাই। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আর কোনো চাওয়া নেই।

সানজানা বরিশালের বানাড়ীপাড়া উপজেলার মাছরাঙা গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। সাত মাস বয়সেই সে মাকে হারায়। এরপর থেকে ফুফুদের কাছেই বড় হয় সে। তার বাবা গ্রামের বাড়িতে ছোটখাটো ব্যবসা করেন। সেখানেই একটি স্কুলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর এ বছর সানজানাকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলে ভর্তি করা হয়। সে মগবাজারে ফুফুর বাসায় থাকে।

সানজানার আত্মীয় রাহাত হোসেন আরটিভি অনলাইনকে জানান, সানজানার দাদা স্বাধীনতার আগে পশ্চিম পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছুটিতে বাড়ি আসলে আর চাকরিতে যোগদান করেননি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু তাকে পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ডাবল প্রমোশন দেন। দাদার কাছে এসব গল্প শুনে শুনেই সানজানা বড় হয়েছে। যার কারণে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের প্রতি মেয়েটির ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। সেই ভালোবাসা থেকেই সানজানা শেখ হাসিনার জন্য দুই বছর পরিশ্রম করে উপহারগুলো তৈরি করেছে।

তিনি আরো বলেন, একদম ছোট বেলায় মা মারা যাওয়ার কারণে সানজানা একটু আবেগপ্রবণ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারলে তার খুব ভালো লাগত।

সানজানা উপহারগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য গেলো দুই বছর ধরে অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু অনেকের কাছে ঘুরেও সে প্রধানমন্ত্রীর দেখা পায়নি। অনেকে তাকে আশ্বাস দিলেও তা আর বাস্তবে পরিণত হয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে সে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছে।

জেবি/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh