• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জবি উপাচার্যের সঙ্গে কোনো গোপন বৈঠক হয়নি : লিটন নন্দী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৬ আগস্ট ২০১৭, ২৩:১১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, ওই আন্দোলনকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে প্রতিপক্ষ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী।

তবে এমন অভিযোগকে 'ভুল ও অসত্য তথ্য' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য অপসারণ বিরোধী আন্দোলনের এ নেতা।

লিটন নন্দী ঘটনাটিকে একেবারেই গুজব আখ্যায়িত করে আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ভাস্কর্য অপসারণের মামলায় ওইদিন আমার আদালতে হাজিরা ছিল, সেখান থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের নিয়ে উপাচার্য মীজানুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দেখাই হয়নি। গোপন বৈঠক হবে কিভাবে? কোনো গোপন বৈঠক হয়নি।

তিনি বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই গোপন বৈঠকের অভিযোগ করা হয়েছে। এ আন্দোলন ব্যক্তি আরেফিন সিদ্দিকের অপসারণ কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলন নয়। তবে ছাত্র ইউনিয়ন ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট মনে করে, ডাকসু নির্বাচন দিতে না পারায় আরেফিন সিদ্দিক ব্যক্তিগতভাবে ভূমিকা রাখতে শতভাগ ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি গেলো সাড়ে ৮ বছরে একটিবারের জন্যও নির্বাচনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

লিটন নন্দী বলেন, আমরা বারবার বলে আসছি, সিনেটে ক্রমাগত ছাত্র প্রতিনিধি ফাঁকা রেখে অগণতান্ত্রিক সিনেটের মাধ্যমে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন অবৈধ। ১০৫ সদস্যের সিনেট পূর্ণাঙ্গ করার পর যে-ই উপাচার্য নির্বাচিত হোন, সেখানে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। কিন্তু বৈধ প্রক্রিয়ায় সবকিছু করতে হবে। ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

এর আগে রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে কেন্দ্রীয় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক অভিযোগ করেন, লিটন নন্দীর সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমানের সঙ্গে গোপন বৈঠকের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন করা হচ্ছে।

জবাবে লিটন নন্দী জানিয়েছিলেন, আপনার কাছে গোপন বৈঠকের কোনো প্রমাণ আছে? আর তা ছাড়া, একাধিকবার আপনার কাছে বক্তব্য দিয়েছি, তারপরও একই অভিযোগ করছেন, এটি একধরনের হলুদ সাংবাদিকতা।’ ওই সাংবাদিক বলেন, তাঁকে অধ্যাপক মীজানুর রহমান নিজেই বলেছেন, বাম নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘটনার জবাব দেন ছাত্রফ্রন্টের (একাংশ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ রানা। তিনি দাবি করেন, লিটন নন্দী নন, বরং তাঁদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র জোটের অংশগ্রহণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের দিন শিক্ষার্থীদের ওপর ‘হামলায়’ জড়িত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওই স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল।

ছবি : ভাস্কর্য অপসারণবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন লিটন নন্দী

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh