• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন করবেন যেভাবে

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ০৯ মে ২০১৭, ১৪:৩২

শুরু হয়েছে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে ভর্তিচ্ছুদের আবেদন নেয়া শুরু হয়েছে। চলবে আসছে ২৬ মে পর্যন্ত।

গেলো রোববার শিক্ষামন্ত্রণালয় নিজস্ব ওয়েব সাইটে ভর্তির নীতিমালা সংক্রান্ত্র নীতিমালা জারি করে। আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য একাদশে ভর্তির বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের নীতিমালায় বলা হয়েছে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। অনলাইনের www.xiclassadmission.gov.bd ও সরকারি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক থেকে এসএমএস করেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করা যাবে।

সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারবে ভর্তিচ্ছুরা। অনলাইনে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের ১শ’ ৫০ টাকা ও এসএমএসের মাধ্যমে ১শ’ ২০ টাকা ফি দিতে হবে। যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজ নির্ধারণ করে দেয়া হবে।

আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা নিচে দেয়া হলো।

১. ৯ থেকে ২৬ মে অনলাইনে এবং টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএসে আবেদন করা যাবে।

২. যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে তাদেরও এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

৩. ২৭ থেকে ২৯ মে শিক্ষার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে।

৪. পুনঃনিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তারা ৩০ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।

৫. ৫ জুন প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে।

৬. প্রথম তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ৬ থেকে ৮ জুন সিলেকশন নিশ্চিত (যে কলেজের তালিকায় নাম আসবে ওই কলেজেই যে শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন- তা এসএমএসে নিশ্চিত করা) করতে হবে।

৭. মাইগ্রেশনের আবেদন (অপশন প্রদান) এবং নতুন আবেদন করা যাবে ৯ থেকে ১০ জুন।

৮. ১৩ মে দ্বিতীয় পর্যায়ে এবং ১৮ মে তৃতীয় পর্যায়ের ভর্তি ফল প্রকাশ করা হবে।

৯. দ্বিতীয় পর্যায়ের তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা ১৪ থেকে ১৫ জুন সিলেকশন নিশ্চিত করবে এবং মাইগ্রেশন আবেদন (অপশন প্রদান) ও নতুন আবেদন করতে হবে ১৬ থেকে ১৭ জুন।

১০. তৃতীয় পর্যায়ে তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ১৯ জুন সিলেকশন নিশ্চিত করবে।

১১. ২০ থেকে ২২ জুন এবং ২৮ থেকে ২৯ জুন দুই দফায় শিক্ষার্থী ভর্তি শেষে ১ জুলাই ক্লাস শুরু হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিভাগীয় সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের ৮৯ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

অবশিষ্ট ১১ শতাংশ আসনের মধ্যে ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য। ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারি এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

এছাড়া শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নতুন নিয়মে এবার থেকে প্রবাসীদের সন্তান এবং বিকেএসপির শিক্ষার্থীদের জন্য ০.৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বাচাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে নীতিমালায় আরো বলা আছে, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা যে কোনো বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণরা মানবিকের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তি হতে পারবে। আর ব্যবসায় শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।

জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের মেধাক্রম সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত অথবা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনা হবে।

আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ভর্তির ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে।

এক বিভাগের প্রার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট গ্রেড পয়েন্ট একই হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে অর্জিত পয়েন্ট বিবেচনায় নেয়া হবে।

এদিকে ভর্তি ফিও নির্ধারণ করে দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। উপজেলা এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশনচার্জসহ সর্বসাকুল্যে ১ হাজার টাকা, জেলা সদর এলাকায় ২ হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি ফি নেয়া যাবে না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও এমপিও বর্হিভূত শিক্ষকদের বেতনভাতা দেয়ার জন্য ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি বাবদ বাংলা মাধ্যমে নয় হাজার টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।

এছাড়াও আরো বলা হয়েছে, নীতিমালা অনুযায়ী, উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। আর দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফি যতদূর সম্ভব মওকুফ করতে হবে।

কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অনুমোদিত ফির বেশি নেয়া যাবে না। অতিরিক্ত ফি নিলে পাঠদানের অনুমতি, অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি ও এমপিও বাতিল করে ওই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এইচটি/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh