মৃত সন্তানের সঙ্গে দু’সপ্তাহ
আটিলা জ্যাকেজ-শালর্ট দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ২০১৫ সালে। ইংল্যান্ডের ইয়র্কের বাসিন্দা তারা। আটিলা পেশায় ইঞ্জিনিয়র, শার্লট পেইন্ট টেকনিশিয়ান।
শার্শলটের ২১ বছরের জন্মদিনে ২৯ এপ্রিল মা হতে যাচ্ছেন সুখবরটা পান তিনি।
নতুন স্বপ্ন, নতুন অতিথির আগমনের অপেক্ষায় আনন্দের মাঝে কাটছিল তাদের দিন। কিন্তু ২০ সপ্তাহ পর দুঃসংবাদটি শুনতে হলো তাদের। নেমে আসে অন্ধাকার।
চিকিৎসকরা জানান, বেবিটির মস্তিষ্কের বিকাশ ঠিক মতো হচ্ছে না। পরীক্ষায় ধরা পড়ে বিরল ক্রোমোজোমাল বিকৃতি রয়েছে তার দেহে। এই ধরনের রোগে বাঁচার আশা নেই বললেই চলে। অবশ্য ততোদিনে গর্ভপাতের নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে।
মানসিকভাবে যুদ্ধটা আগেই শুরু হয়েছিল। ১৩ ডিসেম্বর জন্ম হয় ছোট্ট ইভলিনের। অপরিণতভাবে জন্ম নেয়া শিশুটিকে রাখা হলো ভেন্টিলেটরে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়- বুঝলেন চিকিৎসকরা। শেষ সময়টুকু ইভলিন মা-বাবার কাছেই থাকুক পরামর্শ দিলেন।
বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তে তাকে ভেন্টিলেশনের বাইরে নিয়ে আসেন চিকিৎসকরা। সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায় ইভলিন।
জন্মের পর চার সপ্তাহ পৃথিবীর আলো দেখেছে ইভলিন। বাবা-মার ছোঁয়া পায়নি খুব বেশি। তাই মৃত্যুর পরেও তাকে নিজেদের কাছে রেখে দিলেন ইংল্যান্ডের এই দম্পতি।
রেফ্রিজারেট বেবি-কট ফুল, মোমবাতি, ফ্রিল দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হলো। সেখানেই চাদর জড়িয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছিল পুতুল পুতুল মেয়েটাকে। অনেক ভালবাসায় ভর করে পৃথিবীতে এসেছিল শিশুটি। বাবা-মায়ের কোলে, কখনো তার জন্য নির্দিষ্ট ‘রেফ্রিজারেটর কটে সময়। এভাবে কাটে দু’সপ্তাহ।
জেএইচ
মন্তব্য করুন