• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মেয়েটিকে আনতে এজলাস ছেড়ে থানায় গেলেন বিচারক

অনলাইন ডেস্ক
  ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:৪২

শরীরটা ভাল লাগছে না। এ কথা বলে এজলাস থেকে নেমে এলেন বিচারক। বাড়ি না গিয়ে চলে গেলেন থানায়।

ঘটনাটি ভারতের হাঁসখালি থানায়। ডিউটি অফিসারের কাছে জানতে চাইলেন মেয়েটি কোথায়?

বিচারকের সামনে হতভম্ব পুলিশ লকআপ থেকে মেয়েটিকে বের করে নিয়ে এলেন।

মেয়েটির হাত ধরে পুলিশের কাছে জানতে চাইলেন তাকে (মেয়েকে) জিজ্ঞেস করে কিছু পেলেন? না শুধুই আটকে রেখেছেন।

পুলিশের অগোছালো উত্তর দেখে, মেয়েটিকে নিয়ে এলেন সঙ্গে করে এজলাসে।

এলোমেলো চুল, ময়লা পোশাকের কুড়ি বছরের মেয়েটির হাত ধরে ফের অস্ফূটে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ভয় নেই, চলো।’

ঘটনাটি হচ্ছে গরীব বাবার মেয়েকে পুলিশ অসত্য অভিযোগে থানায় আটকে রাখে। মেয়েটির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। টাকা না দিলে ছাড়া হবেনা। এটিই ছিলো পুলিশের দাবি।

কোনো উপায় না দেখে আইনজীবীর মাধ্যমে বিচারকের দারস্থ হন মেয়েটির বাবা।

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে, পরের ‘ডেট’ দিয়ে মামলার দীর্ঘসূত্রিতার দিকে গেলেন না বিচারক। সোঁজা থানায় গিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে এলেন তিনি।

কলকাতা হাইকোর্টের এক প্রবীণ আইনজীবী বলছেন, ‘একটু বাড়তি উদ্যোগ, এটাই তো কাম্য। বিচারকের এমন সক্রিয়তা আমি অন্তত দেখিনি।’

ময়ূরহাট গ্রামের গোবিন্দ বিশ্বাসকে (মেয়ের বাবা) বলা হয়েছিলো, ‘মেয়েকে ছাড়াতে হলে দু’লক্ষ টাকা লাগবে!’

মেয়েটির আইনজীবী দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘মেয়েটি দিল্লিতে কাজ করে। দিন কয়েক আগে বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু, ২৩ ডিসেম্বর রাতে হাঁসখালি থানার পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে থানায় আটকে রাখে।’

তিনি জানান, টাকা না দিলে মেয়েটির বিরুদ্ধে ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে মামলা দায়ের করার হুমকিও দিয়েছিল পুলিশ। এ পিটিশন দাখিল করতেই এজলাস থেকে নেমে সটান থানায় হাজির হয়েছিলেন ওই বিচারক।

তারপরই সরজেমিনে বিষয়টা দেখে মেয়েটিকে নিয়ে আসেন আদালতে। নেয়া হয় তার জবানবন্দি।

নদিয়া জেলা পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাজারিয়ার দাবি, এলাকায় অচেনা মুখ, ওই মেয়েটিকে তুলে আনা হয়েছিল ‘নারী পাচারকারী’ সন্দেহে।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh