বিক্রি হচ্ছে রোহিঙ্গা মেয়েরা: জাতিসংঘ
বাংলাদেশের ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মেয়েদের বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। নিজেদের খরচ যোগাতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাতে অল্পবয়সী মেয়েদের তুলে দিচ্ছে রোহিঙ্গা পরিবারগুলো। পরে তাদের জোরপূর্বক কাজে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা বলছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৯৯টি মানবপাচারের ঘটনার তথ্য পেয়েছে তারা। এই ধারা অব্যাহত আছে। তাই প্রকৃত সংখ্যাটি এর চেয়ে বড়।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা(আইওএম) এক প্রতিবেদনে জানায়, পাচার হওয়াদের মধ্যে ৩৫ জন মেয়ে আর ৩১ জন নারী। মেয়েদের ৩১ জন এবং নারীদের ২৬ জনকে বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হয়।
আইওএম’র মুখপাত্র ডিনা পারমার এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা যে ঘটনাগুলো শুনেছি, সেগুলো খুবই দুর্বিষহ। মানবপাচারকারীরা কাজ এবং আরও উন্নত জীবনের আশা দিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
তিনি আরও বলেন, অন্যদের কাছে এটা শুধু বিপজ্জনক মনে হতে পারে কিন্তু এসব পরিবারের পরিস্থিতিটা একবার ভেবে দেখুন। তারা এর থেকেও মারাত্মক কিছু করতে পারে। সম্ভবত পরিবারের একজন আরেকজনের জন্য জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত।
ইয়াং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন(ওয়াইপিএসএ) নামের এক বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এসব শরণার্থীর মধ্যে মানবপাচার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ক্যাম্পেইন শুরু করেছে।
সংস্থাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যিশু বড়ুয়া জানান, এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মানবপাচারের শিকার হয়েছেন।
গত আগস্টে জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রকাশ করা প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ১০ হাজার রোহিঙ্গা হত্যা এবং সেখানকার সাত লাখ রোহিঙ্গাকে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। এই লক্ষ্যে সামরিক প্রচারণায় অংশ নেয়া মিন অং হ্লাইয়াংকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
আরও পড়ুন :
- তুরস্কের কাছে খাশোগি খুনের শক্ত প্রমাণ চায় যুক্তরাষ্ট্র
- ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাবেক পর্ন তারকার মানহানির মামলা খারিজ
কে/এসআর
মন্তব্য করুন