• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আমেরিকার যতো ফার্স্ট লেডি

দুরুল হক

  ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ২২:২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর পদমর্যাদার নাম ফার্স্ট লেডি। স্বামীর সঙ্গে তারা হোয়াইট হাউসে বাস করেন। শোনা যায়, প্রেসিডেন্ট পদে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালনে স্বামীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন তিনি।

তবে শুনে আশ্চর্য হবেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্টের সহধর্মিনীকে বিশেষ কোনো নামে ডাকা হতো না। ওই সময়ে নিজস্ব দক্ষতা, যোগ্যতা, সক্ষমতা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের লেডি, মিসেস প্রেসিডেন্ট, মিসেস প্রেসিডেন্ট্রেস বা কুইন অব দ্য হোয়াইট হাউস নামে ডাকা হতো। যেমন-প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের স্ত্রীর পদবী ছিল লেডি ওয়াশিংটন।

প্রচলিত তথ্যমতে, ১৮৪০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফার্স্ট লেডি পদবীর প্রচলন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওই সময়ের প্রেসিডেন্ট জ্যাকারি টেইলরের স্ত্রী ছিলেন ডলি মেডিসন। প্রিয়তমা স্ত্রীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক উদযাপনের সময় তিনি স্ব-লিখিত ও উচ্চ প্রশংসাযুক্ত কবিতায় তাকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

১৮৬৩ সালে একটি প্রকাশনাতে সর্বপ্রথম লিখিতভাবে ফার্স্ট লেডি শব্দটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

ফার্স্ট লেডি কোনো নির্বাচিত পদ নয়। তারা কোনো সরকারি দায়িত্ব পালন করেন না। বেতনও পান না। তা সত্ত্বেও নানা সরকারি কাজ ও অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এসব কাজে তাকে সহায়তা করার জন্য স্টাফও থাকে।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, অতীতে অন্য নারীও ফার্স্ট লেডি'র মর্যাদা পেয়েছেন।যেমন-প্রেসিডেন্টকন্যা মায়ের অনিচ্ছাজ্ঞাপন, অক্ষমতাজনিত কারণে শূন্যস্থান পূরণে বিকল্পভাবে ফার্স্ট লেডির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট বিপত্নীক বা কুমার হলে হোয়াইট হাউসে বসবাসরত অন্য নারী এ দায়িত্ব পালন করতেন।

বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে ফার্স্ট লেডির মর্যাদা উপভোগ করছেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ও সংবাদ সংস্থাগুলো প্রায়ই অন্য দেশের প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে ব্যক্ত করে। তবে, কোনো দেশে যদি প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর নির্দিষ্ট উপাধি থাকে, তাহলে এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে।

আরেকটি মজার তথ্য, বিশ্বের কিছু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নারীরা এগিয়ে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাদের স্বামী অর্থাৎ পুরুষদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈপরীত্য হিসেবে ফার্স্ট জেন্টেলম্যান উপাধি দেয়া হয়। সেই হিসেবে এবারের নির্বাচনে হিলারি নির্বাচিত হলে মিস্টার বিল ক্লিনটন হবেন প্রথম মার্কিন ফার্স্ট জেন্টেলম্যান।

এবার চলুন চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক মার্কিন ফার্স্ট লেডির তালিকায়। এ তালিকায় তাদের বৈবাহিক অবস্থা বা স্বামীর নাম উল্লেখ নেই। কারণ, সবাই প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ছিলেন না।

১. মার্থা ড্যানড্রিজ (১৭৮৯-১৭৯৭) : যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের শাসনামলে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৫৭ বছর ৩৩২ দিন বয়সে এ পদমর্যাদা লাভ করেন।

২. অ্যাবিগেইল স্মিথ (১৭৯৭-১৮০১) : দ্বিতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামসের আমলে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৫২ বছর ১১৩ দিন বয়সে তিনি এ পদমর্যাদা পান।

৩. মার্থা ওয়েলিস স্কেলটন ও মার্থা জেফারসন র‌্যানডল্ফ : স্কেলটনকে নামেই ফার্স্ট লেডি ধরা হয়। কারণ, প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন ক্ষমতায় আসীন হবার ১৯ বছর আগেই তিনি মারা যান। এরপর জেফারসন কন্যা র‌্যানডল্ফ ফার্স্ট লেডি হন। তার মেয়াদকাল ১৮০১-০৯। তিনি ২৮ বছর ১৫৮ দিন বয়সে এ পদমর্যাদা পান।

৪. ডলি পেনি (১৮০৯-১৮১৭) : ৪০ বছর ২৮৮ দিন বয়সে এ পদ অলঙ্কৃত করেন। তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্ট জেমস মেডিসনের ফার্স্ট লেডি।

৫. এলিজাবেথ কোর্টরাইট (১৮১৭-১৮২৫) : ৪৮ বছর ২৪৭ দিনে এ পদমর্যাদা লাভ করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট জেমস মনরোর ফার্স্ট লেডি ছিলেন।

৬. লৌইসা ক্যাথরিন জনসন (১৮২৫- ১৮২৯) : জন কুইন্সি অ্যাডামসের আমলে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৫০ বছর ২০ দিনে এ পদমর্যাদা পান।

৭. র‌্যাচেল ডোনেলসন : প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের স্ত্রী ছিলেন। তবে তিনি নামে মাত্রই ফার্স্ট লেডি ছিলেন। নির্বাচনে স্বামীর জয়লাভ দেখে যেতে পারলেও ক্ষমতা নেয়ার আগেই মারা যান। এ স্থানে বসেন প্রেসিডেন্ট ভাগ্নি এমিলি ডোনেলসন।

৮ . হান্নাহ্ হোস ও অ্যাঞ্জেলিকা ভ্যান বিউরেন : হান্নাহ হোস প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভ্যান বিউরেনের স্ত্রী ছিলেন। তবে স্বামীর ক্ষমতাগ্রহণের ১৮ বছর আগেই মারা যান। তাই ফাস্ট লেডির দায়িত্ব পালন করেন বিউরনের পুত্রবধূ অ্যাঞ্জেলিকা। মাত্র ২০ বছর ৩২২ দিন বয়সে তিনি এ পদে আরোহন করেন। মেয়াদকাল ১৮৩৯-১৮৪১।

. অ্যান্না তুথিল সিম্মেস (১৮৪১-১৮৪১) : প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসসের ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৬৫ বছর ২২২ দিনে এ পদ অলঙ্কৃত করেন।

১০. লিশিয়া ক্রিশ্চিয়ান (১৮৪১-১৮৪২) ও জুলিয়া কার্ডিনার (১৮৪৪-১৮৪৫) : প্রেসিডেন্ট জন টেইলরের দু’জন ফার্স্ট লেডি ছিলেন। প্রথমজন ৫০ বছর ১৪৩ দিনে এ পদে আসীন হন। আর দ্বিতীয়জন ২৪ বছর ৫৩ দিনে এ পদে উঠেন। তবে তাদের মধ্যে সম্পর্ক কি ছিল তা উল্লেখ নেই।

১১. সারা চিল্ড্রেস ( ১৮৪৫-১৮৪৯) : তিনি জেমস নক্স পোকের আমলে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৪১ বছর ১৮১ দিন বয়সে এ পদ অলঙ্কৃত করেন।

১২. মার্গারেট ম্যাকল স্মিথ (১৮৪৯-১৮৫০) : প্রেসিডেন্ট জ্যাকারি টেইলরের আমলে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৬০ বছর ১৬৪ দিন বয়সে এ পদে উঠেন।

১৩. অ্যাবিগিল পাওয়ারস (১৮৫০-১৮৫৩) : প্রেসিডেন্ট মিলার্ড ফিলমোরের আমলে ফার্স্ট লেডির দায়িত্ব পালন করেন। ৫২ বছর ১১৮ দিনে তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত হন।

১৪. জানে মিনস অ্যাপলটন (১৮৫৩-১৮৫৭) : তিনি ফ্রাঙ্কলিন পিয়ার্সের প্রেসিডেন্ট মেয়াদে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৪৬ বছর ৩৫৭ দিনে এ পদে কাজ শুরু করেন।

১৫. হ্যারিয়েট রেবেক্কা লেন (১৮৫৭-১৮৬১) : প্রেসিডেন্ট জেমস বুকানানের মেয়াদে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। মাত্র ২৬ বছর ২৯৯ দিনে এ পদ অলঙ্কৃত করেন। তিনি সম্পর্কে প্রেসিডেন্টের ভাতিজী ছিলেন।

১৬. ম্যারি অ্যান টোড (১৮৬১-১৮৬৫) : মহান মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের আমলে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৪২ বছর ৮১ দিনে তিনি এ পদে আসীন হন।

১৭. এলিজা ম্যাককার্ডল (১৮৬৫-১৮৬৯) : প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসনের শাসনামলে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৫৪ বছর ১৯৩ দিনে এ পদ অলঙ্কৃত করেন।

১৮. জুলিয়া বগস ডেন্ট (১৮৬৯-১৮৭৭) : তিনি দু’বার মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ইউলিসেস সিম্পসন গ্রান্টের ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৪৩ বছর ৩৭ দিনে এ পদে উঠেন।

১৯. লুসি ওয়ার ওয়েব (১৮৭৭-১৮৮১) : প্রেসিডেন্ট রাদারফোর্ড বিরচার্ড হায়েসের শাসনামলে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৪৫ বছর ১৮৮ দিনে এ পদে অধিষ্ঠিত হন।

২০. লুক্রেশিয়া রুডল্ফ (১৮৮১-১৮৮১) : তিনি জেমস আব্রাহাম গারফিল্ডের শাসনামলে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৪৮ বছর ৩১৯ দিনে এ পদে আসীন হন।

২১. এলিন লুইস হার্নডন : তিনি চেস্টার অ্যালান আর্থারের স্ত্রী ছিলেন। তবে দু:খের বিষয়, স্বামীর ক্ষমতায় আরোহনের মাত্র ১৯ মাস আগে মারা যান।

২২. ফ্রান্সেস ক্লারা ফোলসোম (১৮৮৬-১৮৮৯) : প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ক্লিভল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে বিয়ে করেন। যাকে বিয়ে করেন তিনিই ফোলসোম। এ সুবাদে মাত্র ২১ বছর ৩১৬ দিন বয়সে এ পদর্মর্যাদা পান।

২৩. ক্যারোলিন লেভিনিয়া স্কট ( ১৮৮৯-১৮৯২) : প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন হ্যারিসনের ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৫৬ বছর ১৫৪ দিনে এ পদে আসীন হন।

২৪. ফ্রান্সেস ক্লারা ফোলসোম : ফের তিনি ফার্স্ট লেডি হন। তার মেয়াদকাল ১৮৯৩-১৮৯৭।

২৫. ইডা স্যাক্সটন ( ১৮৯৭-১৯০১) : তিনি উইলিয়াম ম্যাককিনলের আমলে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৪৯ বছর ২৬৯ দিনে এ পদে কাজ শুরু করেন।

২৬. এডিথ কারমিট কারো (১৯০১-১৯০৯) : তিনি বিখ্যাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট’র আমলে ফাস্ট লেডি ছিলেন। ৪০ বছর ৩৯ দিনে এ পদ অলঙ্কৃত করেন।

২৭. হেলেন লুইস হেরন (১৯০৯-১৯১৩) : প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম হাওয়ার্ড টাফটের আমলে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৪৭ বছর ২৭৫ দিনে এ পদে অধিষ্ঠিত হন।

২৮. এলেন লুইস অ্যাক্সন (১৯১৩-১৯১৪) ও এডিথ বোলিং গল্ট (১৯১৫-১৯২১) : বৈশ্বিক কাঠামো পাল্টে দেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের দু’জন ফার্স্ট লেডি ছিলেন। প্রথমজনের পর দ্বিতীয় স্ত্রী এ পদ অলঙ্কৃত করেন। তাদের দু’জনের বয়সই ছিল ৪০-৫০ এর মধ্যে।

২৯. ফ্লোরেন্স মাবেল কিং (১৯২১-১৯২৩) : প্রেসিডেন্ট ওয়ারেন গ্যামালিয়েন হার্ডিং’র ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৬০ বছর ২০১ দিন থেকে এ পদে কাজ শুরু করেন।

৩০. গ্রেস অ্যান্না গুডহুই (১৯২৩-১৯২৯) : তিনি কেলভিন কুলিজের ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৪৪ বছর ২১১ দিনে এ পদে আসীন হন।

৩১. লৌ হেনরি (১৯২৯-১৯৩৩) : ৫৪ বছর ৩৪০ দিনে এ পদ অলঙ্কৃত করেন। তিনি হার্বার্ট ক্লার্ক হুভারের ফার্স্ট লেডি ছিলেন।

৩২. অ্যান্না এলিনর রুজভেল্ট (১৯৩৩-১৯৪৫) : তিনি বিশ্ব কাঁপানো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের স্ত্রী ছিলেন। এ সুবাদে সেই পদে আসীন হন। ফার্স্ট লেডি হবার সময় তার বয়স ছিল ৪৮ বছর ১৪৪ দিন।

৩৩. এলিজাবেথ ভারজিনিয়া ‘বিস’ ওয়ালেস ( ১৯৪৫-১৯৫৩) : তিনি হ্যারি এস ট্রুম্যান এর আমলে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৬০ বছর ৫৮ দিনে এ পদে অধিষ্ঠিত হন।

৩৪. মেমি জেনেভা ডুড (১৯৫৩-১৯৬১) : তিনি ডেভিড আইসেন হাওয়ারের আমলে ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৫৬ বছর ৬৭ দিনে এ পদ অলঙ্কৃত করেন।

৩৫. জ্যাকুলিন ‘ জ্যাকি’ লি বৌভিয়ার (১৯৬১-১৯৬৩) : তিনি জন এফ কেনেডির ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ওই পদে আরোহনের সময় তার বয়স ছিল ৩১ বছর ১৭৬ দিন।

৩৬. ক্লাউডিয়া আল্টা ‘লেডি বার্ড’ টেইলর ( ১৯৬৩-১৯৬৯) : বয়স ৫১ বছরের ১ দিন কমে এ পদে উঠেন। তিনি প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বেইনস জনসনের ফার্স্ট লেডি ছিলেন।

৩৭. থেলমা ‘প্যাট’ ক্যাথেরিন রায়ান (১৯৬৯-১৯৭৪) : তিনি রিচার্ড নিক্সন’র ফাস্ট লেডি ছিলেন।৫৬ বছর ৩১০ দিনে তিনি এ পদে আসীন হন।

৩৮. এলিজাবেথ ‘বেটি’ অ্যান্না ব্লুমার (১৯৭৪-১৯৭৭) : বয়স ৫৬ বছর ১২৩ দিনে এ পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি জিরাল্ড ফোর্ড জুনিয়র’র সময়ে ফাস্ট লেডি ছিলেন।

৩৯. এলিনর রোজালিন স্মিথ ( ১৯৭৭-১৯৭১) : তিনি শান্তিতে নোবেলজয়ী জিমি কার্টার’র সময়ে ফাস্ট লেডি ছিলেন। এ পদে ওঠার সময় তার বয়স ছিল ৪৯ বছর ১৫৫ দিন।

৪০. ন্যান্সি ডেভিস ( ১৯৮১-১৯৮৯) : তিনি রোনাল্ড রিগ্যান’র ফার্স্ট লেডি ছিলেন। ৫৯ বছর ২০৩ দিন বয়সে এ পদে আসীন হন।

৪১. বারবারা পিয়ার্স ( ১৯৮৯-১৯৯৩) : তিনি জর্জ হারবার্ট ওয়াকার বুশ’র ফার্স্ট লেডি ছিলেন। এ পদে ওঠার সময় তার বয়স ছিল ৬৩ বছর ২২৬ দিন।

৪২. হিলারি ডিয়ানে রুডহাম ( ১৯৯৩-২০০১) : তিনি বিল ক্লিনটন’র স্ত্রী ছিলেন। সেই সুবাদে এ পদে উঠেন। এ পদে ওঠার তার বয়স ছিল ৪৫ বছর ৮৬ দিন।

৪৩. লরা লেন ওয়েল্চ ( ২০০১-২০০৯) : তিনি জর্জ ডব্লিউ বুশ’র স্ত্রী ছিলেন। এ পদ অলঙ্কৃত করার সময় তার বয়স ছিল ৫৪ বছর ৭৭ দিন।

৪৪. মিশেল লা ভন রবিনসন (২০০৯-বর্তমান) : তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামার স্ত্রী। এর সুবাদে তিনি এ পদে আসেন।পদ অলঙ্কৃত করার সময় তার বয়স ছিল ৪৫ বছর ৩ দিন। বেশ উৎসাহের সঙ্গে তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh