কী বললেন বেঁচে যাওয়া যাত্রী?
নেপালের রাজধানীর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানের বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের একজন হলেন বসন্ত বহরা। তিনি রাস্বিত আন্তর্জাতিক ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের একজন কর্মকর্তা।
বিমান দুর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিমানটিতে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির ১৬ জন নেপালি ছিলেন। আমরা ট্রেনিংয়ের জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, বিমানটি ঢাকা থেকে স্বাভাবিকভাবেই ছেড়েছিল। কিন্তু কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় সবকিছু অস্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। হঠাৎ বিমানটি কেঁপে ওঠে এবং প্রচণ্ড শব্দ হয়। আমি জানালার পাশে ছিলাম এবং জানালা ভেঙে ফেলি।
বসন্ত বলেন, প্লেন থেকে বের হওয়ার পর যা কিছু ঘটেছে, তার কিছুই মনে নেই আমার। কারা যেন আমাকে সিনামঙ্গল হাসাপাতালে নেয়। পরে সেখান থেকে আমার বন্ধুরা আমাকে নর্ভিকে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, আমি মাথায় ও পায়ে আঘাত পেয়েছি। কিন্তু আমি ভাগ্যবান, কারণ কঠিন একটা সময় পার করতে হয়েছে।
কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া এই বিমানে ৪ ক্রুসহ ৭১ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও দুটি শিশু ছিল।
নেপাল পুলিশ জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় দুই শিশুসহ ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ২৭ জন মারাত্মক আহত এবং ১০ জন নিখোঁজ আছেন। ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজ ১০ জনও মারা গেছেন।
বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন হাফিজের কাছে গ্রাউন্ড থেকে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:
কে/পি
মন্তব্য করুন