• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

না বুঝে আমিও হাততালি দিয়েছিলাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:৩২

ব্রিটেনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সেলিনা বেগম বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সম্মানজনক এটন পুরস্কার জিতেছেন। ১৬ বছর বয়সী এই কিশোরী পূর্ব লন্ডনের একটি স্কুলে পড়াশোনা করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড রহিত করার পক্ষ নিয়ে বিতর্ক করছিলেন তিনি। সেলিনা ২শ’ জনকে হারিয়ে প্রথম হয়েছেন। খবর বিবিসি, ডেইলি মেইলের।

পূর্ব লন্ডনের নিউহ্যাম কলিজিয়েট সিক্সথ ফর্ম কলেজে এ লেভেলে পড়াশোনা করেন সেলিনা।

সেলিনা জাঙ্ক ফুড ও গোপনীয়তার অধিকার বিষয়ে তাৎক্ষণিক বিতর্কে অংশ নেন। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড রহিত করার পক্ষ নিয়ে বিতর্কে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তিনি।

এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এটন কলেজ, উইনচেস্টার কলেজ এবং ওয়েস্ট মিনিস্টার কলেজের মতো সম্মানজনক কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

সেলিনা বলেন, সবাই আমার দিকে তাকিয়েছিল। যখন বলতে শুরু করি আমি আমার কণ্ঠস্বরে কাঁপনি অনুভব করতে পারছিলাম।

আমার ভেতর ভয় কাজ করছিল। কিন্তু আমি একটা বড় নিঃশ্বাস নিলাম তারপর সবকিছু আপনা থেকে চলে আসতে লাগল। আমি চাচ্ছিলাম সামনের সবাই যেন আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। এতে তারা আমার যুক্তির সঙ্গে একমত হবেন।

আমি বসে বসে সবার বিতর্ক শুনছিলাম। তাদের যুক্তিগুলো এতো ধারালো ছিল যে আমি নিশ্চিত ছিলাম আমার জেতার কোনো সুযোগই নেই।

এমনকি যখন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয় আমিও সবার সঙ্গে হাততালি দেয়া শুরু করি। কেননা আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমার শিক্ষক এসে বললেন, না, তুমিই জিতেছ। তখন আমি ভাবলাম, ওয়াও!

কিন্তু জয়ের পুরো কৃতিত্ব তার স্কুলে নিবেদিত প্রাণ বিতর্ক সমন্বয়ক জেরোমি সিংয়ের বলে উল্লেখ করেছেন সেলিনা।

শুরুতে আমি ভয় পাচ্ছিলাম, বলেন সেলিনা। কিন্তু সিং স্যার বলেন, ভয় পেয়ো না। তিনি বলেন, আমার যুক্তিতর্ক ভালো হচ্ছে।

সেলিনা এর আগেও বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। তবে এতো উঁচু পর্যায়ে এবারই প্রথম অংশ নিলেন সেলিনা।

পূর্ব লন্ডনে ম্যানর পার্ক এলাকায় তার বাবা-মার সঙ্গে থাকেন সেলিনা। তার বাবা অক্ষম তাই মা-ই কাজ করে পরিবার চালান।

সেলিনার বাবা-মা নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেনে পাড়ি জমান। সেলিনার বাবা-মা ঠিকমত ইংরেজিও বলতে পারেন না। বাড়িতে তারা বাংলায় কথা বলেন। তারা এমনকি কখনো এটন কলেজের নামও শোনেননি।

সেলিনার বাবা আব্দুর রহিম বলেন, সেলিনা একজন সাধারণ মেয়ে। কিন্তু আজ সে অসাধারণ কিছু করে দেখিয়েছে। আমরা তাকে নিয়ে অনেক গর্বিত।

এটন কলেজ ব্রিটেনের সম্মানজনক একটি কলেজ। এখানেই প্রিন্স চালর্সের দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্স হ্যারি পড়াশোনা করেছেন। এর জন্য বছরে তাদের খরচ হতো ৩৮ হাজার পাউন্ড।

এ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মেয়েকে ধর্ষণে বাবার মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
সিএনজিচালককে হত্যায় ২ যুবকের মৃত্যুদণ্ড 
তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
X
Fresh