• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কুর্দি কিশোরীকে ছয়মাস ধর্ষণ করেছে আইএস (ভিডিও)

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৪ জুলাই ২০১৭, ১৪:২৭

ইরাকের উত্তরাঞ্চলের সংখ্যালঘু কুর্দি ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের এলাকা ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়। নির্বিচারে ইয়াজিদি পুরুষদের হত্যা করতে থাকে তারা। এরপর নারী ও শিশুদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদেরই একজন ইয়াজিদি ইকলাস। অন্যদের মতো এই কিশোরীও আইএসের হাত থেকে রেহাই পায়নি।

২০১৪ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি তথাকথিত ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীর (আইএস) হাতে বন্দি হন। তারপর থেকে জঙ্গিদের নিয়মিত পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি।

প্রায় ছয় মাস জঙ্গিদের আস্তানায় অসহনীয় জীবন কাটিয়ে অবশেষে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন ওই কিশোরী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি শোনালেন তার লোমহর্ষক বন্দিজীবনের গল্প।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের দিকে আইএস জঙ্গিরা ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় সংখ্যালঘু কুর্দি সম্প্রদায়ের ইয়াজিদি বংশীয় লোকালয়গুলো দখলে নিয়ে নেয়। তারপর সেখানকার বহু মানুষকে তারা হত্যার পর অনেক নারী ও শিশুকে অপহরণ করে নিজেদের আস্তানায় বন্দি করে রাখে।

সাক্ষাতকারের এক পর্যায়ে ওই কিশোরী আইএসের পাশবিকতার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন।

তিনি বলেন, অন্য অনেক নারীর মতোই আইএসের হাতে আমাকে যৌনদাসী হিসেবে বন্দিজীবন পার করতে হয়েছে। ওদের আস্তানাতে প্রায় ছয় মাস ধরে প্রতিদিন আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

বন্দি অবস্থায় আইএস যোদ্ধার চালানো যৌন নির্যাতনের মুখে আত্মহত্যাও করতে চেয়েছিল ইকলাস।

তিনি বলেন, নিজেকে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করেছি।

তবে আত্মহত্যা করতে ব্যর্থ হলেও একপর্যায়ে আইএসের বন্দিশিবির থেকে পালাতে সক্ষম হয় ইকলাস।

আইএসের এক জঙ্গি যুদ্ধ করতে বাইরে যাওয়ার পর সুযোগ বুঝে পালাতে সক্ষম হন বলে তিনি জানান।

আইএসের বন্দিশালা থেকে পালানোর পর একটি শরণার্থী শিবিরে ইকলাসের ঠাঁই হয়। এখন তিনি জার্মানির একটি মানসিক হাসপাতালে আছেন। সেখানে থেরাপি নেয়ার পাশাপাশি লেখাপড়াও শিখছেন ইকলাস। আইনজীবী হবার স্বপ্ন তার।

আইএসের নির্যাতনের বিবরণ দেয়ার সময় ইকলাসের চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ ফুটে ওঠে। কিন্তু তার চোখে পানি ছিল না। ইকলাস বলেন, ‘আমার চোখের পানি শেষ হয়ে গেছে।’

এপি/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh