১ বাড়িতেই পাবেন দু’দেশের নাগরিকত্ব
৭ হাজার বর্গ ফুটের একটাই বাড়ি। কিন্তু তারই মধ্যে দু’টো আলাদা আলাদা দেশ। হয়তো বেডরুম এক দেশে। আর বাথরুম অন্য দেশে। এ বাড়ির বাসিন্দা হলে একসঙ্গে পাওয়া যাবে দু’টি দেশের নাগরিকত্ব।
এমন বাড়ির খোঁজ মিলেছে আমেরিকা আর কানাডার সীমান্তে।
বিশাল এ বাড়ির মধ্যে দিয়ে চলে গেছে আমেরিকা আর কানাডার সীমান্ত। বাড়ির এক দিকে আমেরিকার ভেরমন্ট, অন্য দিকে কানাডার কিউবেক।
সম্প্রতি নিলামে উঠেছে এ বাড়ি। বাড়িটির দাম ধার্য হয়েছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা।
প্রায় ৪০ বছর আগেবাড়িটি কিনেছিলেন ব্রায়ান ও ডুমোলিন। বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে কানাডার বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি এবং আমেরিকার কাস্টম অ্যান্ড প্রোটেকশন পোস্ট। ব্রায়ান ও তাঁর স্ত্রী ডুমোলিনের দু’টি দেশেরই নাগরিকত্ব রয়েছে।
কিন্তু এখন সেই বাড়ি বিক্রি করে সন্তানদের কাছে অন্টারিওতে গিয়ে থাকতে চান এ দম্পতি।
এমন অদ্ভুত বাড়িটি কিনতে আগ্রহী হন অনেকেই।
কিন্তু ব্রায়ান বলেন, এমন অবস্থান হওয়ার জন্যই নাকি বার বার আটকে যাচ্ছে বিক্রির সম্ভাবনা। প্রথমত দু’টি দেশের মধ্যে হওয়ায়, প্রচুর অফিশিয়াল নথিপত্রের হিসাব রাখতে হয়।
দ্বিতীয়ত ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারি ব্যবস্থাও সহ্য করতে হয়। পাশাপাশি বাড়িটিকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য মেরামতিও করতে হবে। আর এর জন্যও দরকার পড়বে দেশের অনুমতি।
প্রতিদিন অন্তত ১০-১২ জন বাড়িটি কেনার জন্য আসেন। তবে এখনও খদ্দের জোটেনি ব্রায়ানদের।
ব্রায়ান জানালেন, আমেরিকা ও কানাডা দু’দেশের দিক থেকেই প্রবেশ করা যায় বাড়িটিতে। একটি গোপন দরজাও রয়েছে এতে। তবে আমেরিকান সুরক্ষা বাহিনী আপত্তি জানানোর পর থেকে সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
এপি
মন্তব্য করুন