• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শব্দদূষণের কারণে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে রাজধানী

মুক্তা মাহমুদ

  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:০৬

শব্দদূষণের কারণে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে রাজধানীর অনেক এলাকা। উচ্চ শব্দের কারণে বিরক্তি ও কান ঝালাপালার এমন হাজারো গল্প আছে রাজধানীর প্রায় প্রতিটি মানুষের। নিয়মিতভাবে দূষণের শিকার হওয়ায় বধিরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আগামী প্রজন্ম।

শব্দের কারণে নগরবাসী যেন বিরক্ত না হন তাই ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫’-এর ক্ষমতাবলে সরকার ‘শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬’ প্রণয়ন করে। বিধিমালায় নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা চিহ্নিত করে শব্দের মানমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া আছে। এসব এলাকায় নির্ধারিত মানমাত্রা অতিক্রম করলে প্রথম অপরাধের জন্য একমাস কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড এবং পরবর্তীতে অপরাধের জন্য ছয়মাস কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।

এদিকে ‘পরিবেশ অধিদপ্তর’ ও ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনে’র ২০১৭ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, নীরব এলাকায় দিনে শব্দের মাত্রা প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে দেড় গুণ বেশি। রাতে কিছুটা কম হলেও আবাসিক এলাকায় দিনের বেলার অবস্থা প্রায় এক।

এছাড়া, মিশ্র ও বাণিজ্যিক এলাকায় দিন-রাতের শব্দের অবস্থাও মারাত্মক। আর আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, সময়ের সঙ্গে দূষণ কমার বদলে বাড়ছে।

পবা সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান এ অবস্থার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।

আর এটি দেখা যাদের দায়িত্ব সেই পরিবেশ অধিদপ্তর দায় চাপালো আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীর ওপর।

তবে এ বিষয়ে নাক, কান, গলারোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত আরটিভিকে জানান, উচ্চ শব্দ শিশু, গর্ভবতী মা ও হৃদরোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

এছাড়া এ শব্দদূষণের ফলে, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, হৃদরোগসহ, নানা জটিল সব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্করা। এমন সব উদ্বেগজনক তথ্যও দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

তবে এভাবে একে অন্যের ঘাড়ে দায় না চাপিয়ে সমস্যা সমাধানে কঠোর হওয়ার হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

আরকে/জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিয়ে, বিনোদন ও মাহফিলের মাইক নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
X
Fresh