বুড়িগঙ্গার পর হুমকির মুখে পড়েছে ধলেশ্বরী নদী (ভিডিও)
পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি একটি আধুনিক চামড়া শিল্প নগরী গড়তে প্রধান বর্জ্য পরিশোধনাগার বা সিইটিপি নির্মাণের জন্য ২০১৩ সালে দায়িত্ব দেয়া হয় চীনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জেএলইপিসিএল’কে। তবে পর পর সাতবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পরও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি শিল্প নগরীর সবচে’ জরুরি স্থাপনাটির। চারটি মডিউলের মধ্যে চালু করা গেছে কেবল দু’টি।
এমন দুর্দশার জন্য চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে প্রকল্প পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বুয়েট সিইটিপিতে ভয়াবহ দূষণের আলামত পেয়েছে। বুয়েটের গবেষণায় দেখা দেছে, সিইটিপি’র প্রতি লিটার পানিতে ‘কেমিকেল অক্সিজেন ডিমান্ড’ বা সিওডি পাওয়া গেছে ১১৫৩ মিলিগ্রাম, যার সহনীয় মাত্রা ২০০ মিলিগ্রাম।
আর ‘বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড’ বা বিওডি’র মাত্রা ১০০ মিলিগ্রাম থাকার কথা থাকলেও, পাওয়া গেছে ৪৭৫ মিলিগ্রাম।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখওয়াত উল্লাহ জানান, হাজারীবাগ থেকে চামড়া শিল্প নগরী সাভারে স্থানান্তর করা হয়েছে শুধু মাত্র পরিবেশ বান্ধব চামড়া উৎপাদনের জন্য।
তবে যদি সিইটিপি’র কারণে পরিবেশ দূষণ হয় তাহলে এ দায়-দায়িত্ব এক মাত্র বিসিককেই নিতে হবে।
সিইটিপি’র পানি সরাসরি ফেলা হচ্ছে ধলেশ্বরী নদীতে। তাই বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি ধলেশ্বরীও এখন পরিণত হবে বিষাক্ত পানির নদীতে।
সাভার চামড়া শিল্প নগরী প্রকল্প পরামর্শক দেলোয়ার হোসেন জানান, দ্রুত সিইটিপি’র কাজ শেষ করতে বিসিককে আরো তৎপর হতে হবে।
এদিকে সিইটিপি’র পানিতে সহনীয় মাত্রার অনেক বেশি দূষণ পেয়েছেন বুয়েটের গবেষকরা। এতে বুড়িগঙ্গার পর হুমকির মুখে পড়েছে ধলেশ্বরী নদী।
তবে এসব বিষয় নিয়ে বিসিক অফিসে কথা বলতে গেলে কথা বলতে রাজি হননি শিল্প নগরীর প্রকল্প পরিচালক।
আরকে/জেএচই
মন্তব্য করুন